হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী সরকারের ক্রমাগত নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের গণহত্যার বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ হিসেবে ইউরোপসহ অন্যান্য দেশের ফিলিস্তিনি সমর্থকরা ইউরোপের শহরগুলোতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।
ফিলিস্তিনের সমর্থকরা যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক, অস্ট্রিয়া, সুইজারল্যান্ড, হল্যান্ড, জার্মানি, স্পেন, নরওয়ে এবং আয়ারল্যান্ডের বিভিন্ন শহরে মিছিল ও বিক্ষোভ করেছে এবং গাজা উপত্যকায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে।
তারা ইসরায়েলে অস্ত্র পাঠানো বন্ধ করার জন্য নিজ নিজ সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে।
জার্মানির রাজধানী বার্লিনে ফিলিস্তিনের পতাকা হাতে মিছিল করেছে শত শত বিক্ষোভকারী। জার্মান কর্তৃপক্ষ অনেক ইসরায়েল-বিরোধী সমাবেশ এবং বিক্ষোভকে নিষিদ্ধ করেছে, এগুলোকে ইহুদি-বিরোধী যুদ্ধ বলে অভিহিত করেছে।
সুইজারল্যান্ডের লুসান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিস্তিনিপন্থী ছাত্ররাও ফিলিস্তিনি পতাকার রঙে বেলুন ছেড়েছে, যাতে ফিলিস্তিনি পতাকা বা গাজায় ইসরায়েলের অপরাধের নিন্দা বার্তা সম্বলিত কাগজপত্র রয়েছে।
ফিলিস্তিনপন্থী অস্ট্রিয়ান ছাত্ররাও ভিয়েনায় অ্যাংওয়ান্তে ফেস্টিভ্যালের সময়, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার শিকারদের স্মরণে তাদের হাত লাল করে, গাজায় চলমান নৃশংসতার বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের নীরবতা এবং চলমান গণহত্যার নিন্দা জানিয়েছে।
ফিলিস্তিনের সমর্থকরা দক্ষিণ নরওয়েজিয়ান শহর ক্রিস্টিয়ানস্যান্ড এবং স্পেনের গ্রান ক্যানারিয়া (ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল দ্বীপ) তেও ব্যাপক বিক্ষোভ করেছে।
তিউনিসিয়ার জনগণও ফিলিস্তিনকে সমর্থন অব্যাহত রেখেছে এবং রবিবার মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার এবং গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী শাসকের আগ্রাসন বন্ধের দাবি জানিয়েছে।
গাজায় গণহত্যা বন্ধ এবং ফিলিস্তিনি জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে সমর্থন দেওয়ায় দেশটির রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবিতে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেছে তিউনিসিয়ানরা।
৭ অক্টোবর থেকে, তিউনিসিয়ার জনগণ ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের সমর্থনে এবং ইহুদিবাদীদের অপরাধের নিন্দা জানিয়ে ক্রমাগত বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে।