۱۷ تیر ۱۴۰۳ |۳۰ ذیحجهٔ ۱۴۴۵ | Jul 7, 2024
আপনার সন্তানকে নিয়ে নিয়মিত কুরআন পাঠ করুন, এতে সে কুরআন পাঠে আগ্রহী ও অভ্যস্থ হয়ে উঠবে!
আপনার সন্তানকে নিয়ে নিয়মিত কুরআন পাঠ করুন, এতে সে কুরআন পাঠে আগ্রহী ও অভ্যস্থ হয়ে উঠবে!

হাওজা / কুরআন ও দ্বীনি বিষয়ে শিশুদের আগ্রহী করে তোলার ক্ষেত্রে আরও বেশি ধৈর্যশীলতা ও কৌশল অবলম্বনের প্রয়োজন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, শিশুদের কোনো বিষয়ের প্রতি মনোযোগী করে তোলা বেশ কষ্টসাধ্য ও সময়সাপেক্ষ কাজ। কুরআন ও দ্বীনি বিষয়ে শিশুদের আগ্রহী করে তোলার ক্ষেত্রে আরও বেশি ধৈর্যশীলতা ও কৌশল অবলম্বনের প্রয়োজন পড়ে। তবে নিয়ম, কুরআন ও হাদীসের নির্দেশনা মেনে ধারাবাহিকভাবে চেষ্টা করলে ফলাফল পাওয়া সম্ভব। নিম্নে কুরআনের প্রতি শিশুদের আগ্রহী করে তোলার কয়েকটি কার্যকরী করণীয় তুলে ধরছি:

১. গর্ভাবস্থায় কুরআন শোনা ও পড়া:

এই সময়ে পবিত্র কুরআন শ্রবণ করা ও পড়া শুধু মায়ের আত্মিক ও মানসিক প্রশান্তিই বাড়ায় না, তা ভ্রূণের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

২. শিশুকে দুগ্ধ দানকালে কুরআন শোনা:

শিশুকে মাতৃদুগ্ধ দানকালে মা ও শিশু যদি কুরআন শ্রবণ করে, তবে তা শিশুর শ্রবণশক্তি কুরআনের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

৩. উপহার হিসেবে কুরআন দেয়া:

শিশুকে একটি কুরআন উপহার দিন, যা হবে একান্তই তার; এটি শিশুর মধ্যে মধ্যে মালিকানা-বোধ জাগ্রত করবে। ফলে তার ও তার নিজের কুরআনের মধ্যে একটি বিশেষ সম্পর্ক তৈরি হবে।

৪. কুরআন পাঠে উৎসাহ দেয়া:

সন্তানেরা যখন কুরআন তেলাওয়াত করে বা কোনো সুরা হেফজ করে, কিংবা পুরো কুরআন হেফজ করে তখন তার এই সাফল্যে সামর্থ মতো উদযাপন করুন, তাকে উপহার দিন। এতে সে আরো উৎসাহিত হবে।

৫. কুরআনে উল্লেখিত গল্প বলা:

শিশুরা গল্পের প্রতি বেশ আগ্রহী হয়। তাই কুরআনে উল্লেখিত গল্পগুলো বলে কুরআনের সাথে তাদের সংযোগ বাড়ানোর চেষ্টা করুন।

৬. মা-বাবার কুরআন পাঠের অভ্যস্থতা:

শিশুরা তার মা-বাবাকেই সবচেয়ে বেশি অনুসরণ ও অনুকরণ করে থাকে। তাই শিশুরা যদি তার মা-বাবাকে নিয়মিত কুরআন পাঠ করতে দেখে, তবে তারাও দেখাদেখি কুরআন পাঠে আগ্রহী হয়ে উঠে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা আমাদের ও আমাদের সন্তানদের কুরআন ও আহলে বাইতের (আ.) সঙ্গে সম্পৃক্ত জীবন গড়ার তাওফিক দান করুক। আমিন ইয়া র'ব্বাল আলামিন।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .