۱۷ تیر ۱۴۰۳ |۳۰ ذیحجهٔ ۱۴۴۵ | Jul 7, 2024
ভারতে 'ভোলে বাবা'র গাড়ির ধুলো নিতে গিয়ে ১২১ জনের মৃত্যু!
১২১ জন নিহতদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম

হাওজা / ভারতের উত্তর প্রদেশে সৎসঙ্গ নামক একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১ জনে।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের উত্তর প্রদেশে সৎসঙ্গ নামক একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২১ জনে। আহত হয়েছেন আরও অনেক মানুষ। আহত অনেককে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গত মঙ্গলবার বিকেলে উত্তর প্রদেশের হাথরস জেলায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ধর্মীয় অনুষ্ঠানটির আয়োজন করেছিলেন ‘ভোলে বাবা’ নামে পরিচিত এক ধর্মগুরু। তাঁর অনুসারীরাই ওই আয়োজনে গিয়েছিলেন। কিন্তু ঘটনার পর থেকে আর পাওয়া যাচ্ছে না ভোলে বাবাকে।

ধর্মীয় অনুষ্ঠানে গিয়ে পদদলিত হয়ে এত মানুষ নিহতের ঘটনায় প্রশ্ন জন সাধারনের মনে। কীভাবে এত মানুষের মৃত্যু হল? প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অনুষ্ঠান শেষে ভোলে বাবা নামক ধর্মগুরুর গাড়ির চাকা থেকে ছিটকে পড়া ধুলো সংগ্রহের জন্য হুড়োহুড়ি শুরু হয়ে যায় ভক্তদের মধ্যে। এ সময় অপেক্ষাকৃত দুর্বলরা পিছিয়ে পড়েন এবং তাদের অনেকই পদদলনের শিকার হয়ে সেখানেই মারা যান। খবর এনডিটিভি।

কর্মকর্তারা জানান, প্রচণ্ড ভিড়ের মধ্যে অনেকেই ভোলে বাবার গাড়ির পেছনে দৌড়াচ্ছিলেন। ভোলে বাবা যে পথে হাঁটেন, পূজা করার জন্য সেই পথের মাটি সংগ্রহ করেন অনেকে। এসব কারণে একের পর এক মানুষ পড়ে গিয়ে পদদলিত হন।

ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে দেখা গেছে ভোলে বাবা তার গাড়িতে করে অনুষ্ঠানস্থল ছেড়ে যাচ্ছেন এবং শত শত ভক্ত ধুলো সংগ্রহ করতে তার গাড়ির পিছনে দৌড়াচ্ছেন।

এ ঘটনায় থানায় একটি এফআইআর করা হয়েছে। তাতে উল্লেখ আছে, ধর্মীয় এই আয়োজনে ৮০ হাজার মানুষ জড়ো হবে বলে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু জমায়েত ছিল আড়াই লাখের বেশি মানুষের। এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সভা চলাকালে শৃঙ্খলা রক্ষার মূল দায়িত্ব পালন করেছেন মানব মঙ্গল সদ্ভাবনা অনুষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবীরা। এ সময় মাত্র ৪০ জন পুলিশ সদস্যের একটি টিম।

এ ঘটনায় অনুষ্ঠানের আয়োজকদের আসামি করে মামলা করা হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। মামলার আসামি হিসেবে ভোলে বাবার নামও নেই। তবে ভোলে বাবাকে খুঁজছে উত্তর প্রদেশের পুলিশ।

ভারতের প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মু এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। সেই সঙ্গে প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ২ লাখ রুপি এবং এবং আহতের পরিবারকে ৫০ হাজার রুপি সহায়তা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .