۱۴ مهر ۱۴۰۳ |۱ ربیع‌الثانی ۱۴۴۶ | Oct 5, 2024
ছবি: বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

হাওজা / সরকার ও দলের মধ্যে সর্বগ্রাসী দুর্নীতির কারণে অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী দল আওয়ামীলীগ!

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান দুই কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের তথ্য নিয়ে দেশ জুড়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সূত্র ও তার এক উপদেষ্টা দেশ রূপান্তরকে বলেছেন, প্রথম ধাপে আগামী ছয় মাসে অন্তত ৪০ জন দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হবে। শুধু আমলা বা বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যই নয়, রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

৪০ জনের এই তালিকায় কারা আছেন, সেটি খুঁজে বের করার নানা চেষ্টা করা হলেও বের করা যায়নি। তাছাড়া কারা আছেন সেটি প্রকাশ্যে আসুক, তা কোনোভাবেই চান না এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত সরকারের কর্তাব্যক্তিরা। জানা গেছে, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলতে থাকবে সরকারের পুরো মেয়াদ জুড়ে। আগামী বছর সরকারের দুর্নীতিবিরোধী অবস্থান আরও কঠোর হবে।

তবে ওই দুটি সূত্র আরও জানায়, সরকারের পাশাপাশি দলকে (আওয়ামীলীগ) দুর্নীতিবাজমুক্ত করতে চান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরকার ও দলের একাধিক সূত্র জানায়, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মতিউর রহমান (পরে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে বদলি), এনবিআরের প্রথম সচিব (কর) কাজী আবু মাহমুদ ফয়সালের দুর্নীতির তথ্য সামনে নিয়ে আসা দুর্নীতিবিরোধী সরকারের অভিযানেরই অংশ।

তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা মনে করেন, আওয়ামী লীগের ত্যাগের ও আদর্শের রাজনীতির যে ঐতিহ্য ছিল, তা ম্লান করে দিচ্ছেন দুর্নীতিবাজ কিছু রাজনীতিবিদ। এখন তা অসহনীয় পর্যায়ে চলেশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের বর্তমান দুই কর্মকর্তার অবৈধ সম্পদের তথ্য নিয়ে দেশ জুড়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ সূত্র ও তার এক উপদেষ্টা সংআাদ মাধ্যমকে বলেছেন, প্রথম ধাপে আগামী ছয় মাসে অন্তত ৪০ জন দুর্নীতিবাজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদ প্রকাশ্যে নিয়ে আসা হবে। শুধু আমলা বা বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যই নয়, রাজনীতিবিদদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সর্বগ্রাসী দুর্নীতির কারণে দলের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পর্যায়েও চলে গেছে বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। বিদায় বেলায় এ দুর্নীতিই তার সব অর্জনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে, এমন আশঙ্কা রয়েছে সরকারপ্রধানের। তাই দুর্নীতির লাগাম টানতে আবারও কঠোর অবস্থান নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার সরকার ও দলের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা ও নেতাদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।

জানা গেছে, দুর্নীতিবাজদের পদপদবি কেড়ে নেওয়া হবে। এমনকি তাদের আধিপত্যে যারা পদপদবি পেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রেও এ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া দল থেকে জঞ্জাল দূর করতে এ মেয়াদে আরও কিছু কাজ করার পরিকল্পনা রয়েছে আওয়ামী লীগ সভাপতির। তবে সেই পরিকল্পনা ঠিক কী, তা জানা যায়নি।

দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপ ফলপ্রসূ করতে দলের বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্যও (এমপি) যারা দুর্নীতিতে জড়িত, তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। তবে এসব করতে গিয়ে সরকারে যাতে অস্থিরতা তৈরি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখা হবে। সে কারণে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক নেতাও দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে ধরা পড়তে পারেন।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .