অনুবাদ : মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, শোকের মাস মুহররম ১৪৪৬ হি :
জেনে রাখ যে এই মাস মহানবীর (সাঃ) আহলুল বাইত (আ) এবং তাঁদের অনুসারীদের শোকের মাস। আহলুল বাইতের (আ) ৮ম মাসূম ইমাম হযরত রিযা (আ) বর্ণিত আছে যে যখন মুহররম মাসের আগমন হত তখন আমার পিতা ( আহলুল বাইতের - আ -৭ম মাসূম ইমাম মূসা কাযিম - আ -) কে কেউ সহাস্য বদনে দেখতে পেত না । শোক ও দু:খ তার ওপর নিরবচ্ছিন্ন ভাবে প্রভাব বিস্তার করে থাকত ১০ মুহররম পর্যন্ত । আর যখন আশুরার দিবস ( ১০ মুহররম ) সমাগত হত তখন তা হত তাঁর জন্য মুসীবত, দু:খ ও কাঁদার দিবস এবং তিনি বলতেন : আজ এমন এক দিন যেদিন ইমাম হুসাইন (আ) শহীদ হয়েছিলেন।
মুহররম মাসের ১ম রাত : ইকবাল গ্রন্থে সাইয়েদ এ রাতের জন্য কয়েকটি নামায উল্লেখ করেছেন । যথা : ১. ১০০ রাকাত নামায যার প্রতি রাকাতে সূরা -ই ফাতিহা ও সূরা -ই ইখলাস পড়তে হবে , ২. দুই রাকাত নামায যার প্রথম রাকাতে সূরা -ই ফাতিহা ও সূরা -ই অন'আম এবং দ্বিতীয় রাকাতে সূরা -ই ফাতিহা ও সূরা -ই ইয়াসীন পাঠ করতে হবে; ৩. দুই রাকাত নামায যার প্রতি রাকাতে সূরা -ই ফাতিহা ও ১১ বার সূরা -ই ইখলাস পড়তে হবে। মহানবী ( সা ) থেকে এক হাদীসে বর্ণিত আছে যে যে কেউ এ রাতে এই দুই রাকাত নামায আদায় করে এবং এর ফজর যা বছরের শুরু তা ( অর্থাৎ ১লা মুহররম ) রোযা রাখে সে হচ্ছে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে পুরো বছর ধরে ভালো কাজ করেছে এবং সে ঐ বছর মাহফূয্ ( সুরক্ষিত) থাকবে। আর যদি সে মৃত্যু বরণ করে তাহলে সে বেহেশতে দাখিল হবে। আর সাইয়েদ এ মাসের হিলাল বা নতুন চাঁদ দেখা সংক্রান্ত বিশদ একটি দুআও বর্ণনা করেছেন ।
(মাফাতীহুল জিনান পৃ : ৫২১)