হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, সরকারি চাকরিতে কোটা বা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে পুরো বাংলাদেশ। আন্দোলন কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আন্দোলনকারী ছাত্রদের সংঘর্ষে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অন্তত ১০৩ জন নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতীয় গণমাধ্যম। এতদ্বসত্ত্বেও আন্দোলন ক্রমশই আরো জোরালো হচ্ছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তাই কারফিউ জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। শুক্রবার (১৯ জুলাই) রাতে জারি করা কারফিউ প্রসঙ্গে বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন “এটা অবশ্যই কারফিউ। এটা নিয়ম অনুযায়ীই হবে এবং সেটা শুট অ্যাট সাইট হবে”। অর্থাৎ, দেখা মাত্রই গুলির নির্দেশের কথা জানিয়েছেন ওবায়দুল কাদের।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে শেষে গণভবনের সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, “সারাদেশে উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে কারফিউ জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।”
তিনি বলেন, আন্দোলনকারীদের যৌক্তিক দাবি মেনে নেওয়ার পরও সহিংসতা চালানো হচ্ছে। কোটা আন্দোলনের ওপর ভর করে যেন কেউ রাজনীতি করতে না পারে সে জন্য সতর্ক আছে সরকার।
তিনি বলেন, “আন্দোলনের নামে বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বিটিভি সম্পূর্ণরুপে পুড়িয়ে দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে”।
তিনি জানান, বৈঠকে ১৪ দলের নেতারা দেশের নিরাপত্তা, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ও জনগনের জান-মাল রক্ষায় সারাদেশে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের কথা বলেন।
এদিকে, আজ শনিবার দেশের জাতীয় পত্রিকাগুলো উল্লেখ করেছে, সারাদেশে শুক্রবারের সহিংসতায় অন্তত ৫৬ জন নিহত হয়েছে।
এ নিয়ে গত চারদিনের সহিংসতায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে পত্রিকাগুলো উল্লেখ করেছে। প্রথম আলো পত্রিকা লিখেছে, শুক্রবার ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। কোনো কোনো পত্রিকা নিহতের সংখ্যা আরো বেশি বলে উল্লেখ করেছে। এ নিয়ে গত তিন দিনে নিহত হয়েছে অন্তত ১০৩ জন।
এত এত লাশের পর সাধারণ মানুষ যখন তড়িৎ সমাধানের আশা করছেন তখনও সরকার অনড় অবস্থায় রয়েছে। উপর্যুপরি সেনাবাহিনী মোতায়েনের ঘোষণায় (কারফিউ ভঙ্গকারীদের) দেখা মাত্রই গুলি করার নির্দেশের কথা জানালেন ওবায়দুল কাদের।