হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, তেল-আবিবের অভ্যন্তরে ইয়েমেনের হুথি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নিখুঁত হামলায় অন্তত ১ ইহুদী নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এই হামলা সম্পর্কে কোনো পূর্বাবাসই দিতে পারেনি দখলদার বাহিনী প্রতিরোধ ব্যবস্থা এবং কি হুথিদের ড্রোন তেল-আবিবে আঘাত হানা পর্যন্ত কোনো সিগনালও পায়নি ইহুদিবাদীদের গর্বের আয়রন ডোম। ফলে ড্রোনটি পিন পয়েন্ট আঘাত হানে। এতে ইহুদিবাদী দখলদার বাহিনীর প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে দর্প চুপসে গেছে।
ইয়েমেনের হামলার পরপরই দখলদার ইসরায়েলের চ্যানেল টুয়েন্টি ফোর এক প্রতিবেদনে লিখে, তেল আবিবে ইয়েমেনিদের ড্রোন হামলার ঘটনা ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর জন্য বড় ধরণের পরাজয়। তারা আরও লিখে, ইয়েমেনি হুথিদের হামলার পর ইসরায়েলে আর কোনো নিরাপদ স্থান নেই।
ওই ড্রোন হামলা সম্পর্কে ইয়েমেনের আনসারুল্লাহ বাহিনী মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি বলেন, ''আমরা নতুন অত্যাধুনিক ড্রোন দিয়ে তেল-আবিবে হামলা করেছি, যা যে কোনো ধরনের রাডার ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম।''
মুখ রক্ষার্থে হুথি প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ওই হামলার জবাবে ইয়মেনের হোদেইদাহ বন্দরে পাল্টা বিমান চালিয়েছে দখলদার ইসরায়েল।
ইহুদিবাদী চ্যানেল- ১২ দাবী করে ইয়েমেনের বন্দরে ইসরায়েলের ওই বিমান হামলায় সৌদির যোগসূত্র রয়েছে কিন্তু সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইয়েমেনের হোদেইদাহ বন্দরে হামলায় জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।