হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইয়েমেনের জাতীয় ঐক্যমত্যের সরকারের অন্যতম নেতা আলী আল-কাহুম বলেছেন, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া হত্যার প্রতিশোধ নিতে ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যে হামলা চালাবে তা একক কোনো হামলা হবে না বরং গোটা প্রতিরোধ অক্ষ ওই আক্রমণে অংশ নেবে।
তিনি বলেন, গত বছরের অক্টোবর মাসে ইহুদিবাদী ইসরায়েল গাজায় আগ্রাসন শুরু করার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যের যেসব প্রতিরোধ সংগঠন তেল আবিবের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে তাদের সবাই ইসরায়েলবিরোধী সম্ভাব্য হামলায় ইরানের সঙ্গে থাকবে।
ইসরায়েলের গবেষণা প্রতিষ্ঠান আলমাই তার সর্বসাম্প্রতিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অচিরেই একটি সর্বাত্মক হামলা চালাবে যেখানে বিপুল সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে।
আশংকা করা হচ্ছে এই হামলায় ইরানের সেনাবাহিনী ও আইআরজিসি সরাসরি অংশ নেবে এবং মধ্যপ্রাচ্যের প্রতিরোধ সংগঠনগুলো বিশেষ করে লেবাননের হিজবুল্লাহ এই হামলায় অংশ নেবে।
এদিকে, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে ইরানের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় গত কয়েকদিন ধরে গোটা ইসরায়েলে ব্যাপক আতঙ্ক বিরাজ করছে। কারণ, ইরানি কর্মকর্তারা জোর দিয়ে বলেছেন, তারা প্রতিশোধ নিতে হামলা চালাবেন এবং ইসরায়েলি কর্মকর্তারা ইরানকে সে কাজ থেকে বিরত রাখার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন।
তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার শাহাদাতের বদলা নিতে ইরানসহ প্রতিরোধ অক্ষ যে প্রস্তুতি নিচ্ছে তার প্রতি ইঙ্গিত করে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সাম্প্রতিক এক ভাষণে বলেছেন, ইরান ও তার প্রক্সি সংগঠনগুলো আমাদেরকে চারদিক দিয়ে ঘিরে ফেলতে চায়।
ইসরায়েলের ১২ নম্বর টিভি চ্যানেলের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা ফার্স জানিয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলো থেকে ইসরায়েলগামী অসংখ্য ফ্লাইট বাতিল হয়ে যাওয়ায় ইসরায়েলের বাইরে থাকা প্রায় দেড় লাখ ইহুদিবাদী বিপদে পড়েছে। তারা ইসরায়েলে ফিরতে চাইলেও ফিরতে পারছে না। চ্যানেল টুয়েলভ আরো জানিয়েছে, পশ্চিমা দেশগুলোর অন্তত ১৫টি বিমান পরিবহণ সংস্থা ইসরায়েলে ইরানের সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় তাদের তেল আবিব অভিমুখী ফ্লাইটগুলো বাতিল করে দিয়েছে।