۵ آذر ۱۴۰۳ |۲۳ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 25, 2024
গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান ডিআইজি হারুন অর রশীদ
গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান ডিআইজি হারুন অর রশীদ

হাওজা / সূত্রের মতে হারুন রশীদ ‘গণপিটুনি’র শিকার হয়েছেন।

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, যখন তখন যাকে তাকে তুলে নেওয়া ও আইনবহির্ভূত নানা কর্মকাণ্ডে সমালোচিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) প্রধান ডিআইজি হারুন অর রশীদকে অবশেষে বরণ করতে হলো করুণ পরিণতি। ঢাকা টাইমসের হাতে আসা একটি ছবিতে দেখা গেছে তিনি ‘গণপিটুনি’র শিকার হয়েছেন। তিনি বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তা এখনো নিশ্চিত নয়।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনে হত্যা-খুনের পেছনে অন্যতম কারিগর ছিলেন এই হারুন। দেশছাড়ার চেষ্টাকালে গোয়েন্দাদের হাতে আটক হয়ে এসব তথ্য স্বীকার করেছেন তিনি। ডিএমপির সাবেক এক কমিশনারও এতে জড়িত বলে জানান তিনি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় উপস্থিত কর্মকর্তারা বিষয়টি ঢাকা টাইমকে জানিয়েছেন।

গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পতদ্যাগের পর সরকার ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তাদের মতো হারুনও পালানোর চেষ্টা করেন। মঙ্গলবার পুলিশ সদরদপ্তর থেকে দেয়াল টপকে পালিয়ে শাহজালাল বিমানবন্দরে যান হারুন। কিন্তু তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। সেখানে ছাত্র-হত্যায় পরিকল্পনাসহ নানান অপকর্মের স্বীকারোক্তি দেন। এই আন্দোলনে কয়েক শ ছাত্র-জনতা পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছেন।

হারুন এডিশনাল এসপি থাকার সময় ২০১১ সালের ৬ জুলাই, সংসদ ভবনের সামনে তৎকালীন বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুককে শারীরিকভাবে হেনস্তা করেছিলেন।

সেই থেকে সমালোচিত এই পুলিশ কর্মকর্তা শেখ হাসিনার আনুকূল্য পেতে থাকেন, আর একের পর এক পদোন্নতি ও গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পদায়ন হয় তার।

নানা অপকর্মের সঙ্গে তার যোগসাজশের পাশাপাশি স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্য সাধনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ধরপাকড়ে বড় ভূমিকা ছিল হারুনের।

সর্বশেষ কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিএনপি সমর্থন দেওয়ার পর গত ১৭ জুলাই দলের পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালান অতিরিক্ত আইজিপি হারুন। এরপর থেকে সেখানে আর কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি।

গত সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপির অক্টোবর আন্দোলনের সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে ধরে নিয়ে ডিবি অফিসে বেশ কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখেন হারুন। তাকে জোর করে আপ্যায়ন করে সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেন। একই ঘটনা ঘটে ছয় সমন্বয়ের সঙ্গে। তাদের জোর করে তুলে নিয়ে ডিবি অফিসে আটকে রাখেন।

হারুন অর রশীদকে গত ৩১ জুলাই ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা থেকে ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস বিভাগে বদলি করা হয়।

২০২২ সালের ১৩ জুলাই ডিএমপির ডিবি প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পান হারুন অর রশীদ। তার আগে ২০২১ সালের মে মাসে যুগ্ম পুলিশ কমিশনার হিসেবে গোয়েন্দা বিভাগে পদায়ন হয় তার। এর আগে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার এবং নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

সূত্র: ঢাকা টাইমস

تبصرہ ارسال

You are replying to: .