۲۱ آذر ۱۴۰۳ |۹ جمادی‌الثانی ۱۴۴۶ | Dec 11, 2024
ইরানের কি প্রতিরক্ষা ও পারমাণবিক খাতে তার নীতি সংশোধন করার দরকার আছে?
লেবাননের অতুলনীয় নেতা ও মুজাহিদ সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ

হাওজা / লেবাননের অতুলনীয় নেতা ও মুজাহিদ সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ লেবাননের অসামরিক অঞ্চলে ইহুদিবাদী সরকারের সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ হন।

রিপোর্ট: হাসান রেজা

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, লেবাননের অতুলনীয় নেতা ও মুজাহিদ সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ লেবাননের অসামরিক অঞ্চলে ইহুদিবাদী সরকারের সন্ত্রাসী হামলায় শহীদ হন। যা আসলে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর সহযোগিতায় ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠী কর্তৃক সংঘটিত অপরাধের ধারাবাহিকতা, কিন্তু এই অপরাধ আন্তর্জাতিক আইন যে অকেজো হয়ে পড়েছে তারও প্রমাণ।

এই হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দিয়েছিলেন নেতানিয়াহু, যাকে বিশ্বজুড়ে স্বাধীন আইনজীবীদের দ্বারা যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করা হয়েছে, জাতিসংঘে তার বক্তৃতার পর তিনি এই আদেশও দিয়েছিলেন, যা আসলে এই আইনি ব্যবস্থার প্রতি উপহাস দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ৬ মিলিয়ন নিরপরাধের গণহত্যার পরে ডাম্বারটন ওকস, ইয়াল্টা এবং সান ফ্রান্সিসকো সম্মেলনে ১১১-দফা ইশতেহার হিসাবে যার প্রতীক হিসাবে বিবেচিত হয়।

লেবাননের প্রতিরোধের কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব, সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা, পেজার দ্বারা বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা এবং দুই সপ্তাহের মধ্যে হাজার হাজার লেবাননের নাগরিককে হত্যা ও আহত করা জাতিসংঘের সনদে জীবনের অধিকারের পরিপন্থী।

আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের পরিপ্রেক্ষিতে, রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস এবং অসামরিক অঞ্চল এবং বেসামরিক নাগরিকদের উপর আক্রমণ হেগ সংবিধি এবং ১৯৪৯ সালের চারটি জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন।
মানবিক এবং মানবাধিকার আইনের ভিত্তি হল বেসামরিক এবং সৈন্যদের মধ্যে পার্থক্য করা, কিন্তু প্রমাণ দেখায় যে ইহুদিবাদী সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে এবং বারবার বেসামরিকদের লক্ষ্যবস্তু করেছে।

রোম ১৯৯৮ কনভেনশন অনুযায়ী, ফিলিস্তিন এবং লেবাননে ইহুদিবাদী শাসকের ধর্মান্ধ কর্মকাণ্ড, হিজবুল্লাহ ও হামাসের নেতাদের লক্ষ্যবস্তু হত্যা এবং নেতানিয়াহু ও জায়নবাদী কমান্ডারদের অবস্থান, এই সব যুদ্ধাপরাধ এবং জাতিগত নির্মূলের বিভাগে পড়ে। সেই হিসাবে, নেতানিয়াহু এবং জায়নবাদী সামরিক কমান্দারদেরকে আইনি অর্থে যুদ্ধাপরাধী হিসাবে গণ্য করা উচিত এবং আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে বিচার করা উচিত।

কিন্তু আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এবং এর অ্যাটর্নি জেনারেল করিম খান ইহুদিবাদী শাসকদের কাছ থেকে নেতানিয়াহু, গ্যালান্ট এবং অন্যান্যদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি করার পর মার্কিন ও ইসরায়েলের হুমকি কীভাবে দেওয়া হয়েছিল তা পুরো বিশ্ব দেখছে আর একইভাবে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতকে বাতিল করার কথা বলা হয়েছিল এবং অবশেষে, সাধারণ পরিষদের ৭৯ তম অধিবেশনের আগে এই লোকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করার প্রধান প্রসিকিউটরের ইচ্ছা পূরণ করা যায়নি যার কারণে ইহুদিবাদী সরকারের ঔদ্ধত্য বেড়েছে।

লেবানন ও ইয়েমেনে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর উন্মত্ত হামলা আর প্রতিটি প্রাণপ্রিয় প্রতিরোধ নেতা সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা বর্তমান আন্তর্জাতিক আইন ব্যবস্থার অযোগ্যতা ও পতনের আরেকটি প্রমাণ। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে ইহুদিবাদী সরকারের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বন্ধের কোনো উপায় নেই। তাই মানবজাতির বৈশ্বিক আইনের উল্লেখযোগ্য এবং মৌলিক পরিবর্তন প্রয়োজন।

এমন পরিস্থিতিতে বর্তমান বিশ্বব্যবস্থায় শিশুদের হত্যাকারী ইহুদিবাদী প্রধানমন্ত্রী নির্লজ্জভাবে জাতিসংঘের সদর দফতরে বসে ইরানকে সামরিক হামলার হুমকি দিয়ে টার্গেট কিলিং ও গণহত্যার নির্দেশ দেয় এবং বাকু থেকে জ্বালানী সরবরাহ করা হচ্ছে আর ইসরাইল ইরানের প্রতিবেশী প্রজাতন্ত্র আজারবাইজানে অস্ত্রর ভাণ্ডার তৈরি করছে।

ইরানকে তার প্রতিরক্ষা কৌশল সংশোধন করতে হবে বিশেষ করে পারমাণবিক ইস্যুতে এবং ইহুদিবাদী শাসক ও তার আঞ্চলিক মিত্রদের আগ্রাসনের মুখে তার কৌশলগত ধৈর্যের পুনর্বিবেচনা করতে হবে এবং এটি আইনত সঠিক হবে।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .