হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর বিন খাত্তাব বলেন, 'হযরত আলী ইবনে আবু তালিব ১২ টি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন, যার একটিও অন্য কোনো ব্যক্তির মধ্যে ছিল না। তার একটিও যদি আমার ক্ষেত্রে হতো, তাহলে আমি গর্বে উড়ে বেড়াতাম!'
হযরত আলীর জন্ম হচ্ছে কাবা ঘরে, তাঁর নাম আসমানে নির্ধারণ করা হয়। তাঁর স্ত্রী হচ্ছেন আল্লাহ'র রাসুলের (সা.) কন্যা এবং বিশ্বজগতের নারীদের মধ্যে সর্বোত্তম। তাঁর সন্তানেরা আল্লাহ'র সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠ, জান্নাতিদের নেতা। আসমানে আলী ইবনে আবু তালিবের বিয়ের আক্বদ পড়া হয়েছে, স্বয়ং আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর বিয়ের আক্বদ পড়িয়েছেন।
হযরত আলী ভূমিষ্ঠ হওয়ার সময় মহানবী' (সা.) তার চেহারার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসেন এবং খুশিতে পবিত্র কোরআনের আয়াত তিলাওয়াত করেন। তাঁর আমিরুল মু'নিনিন পদবীটি হলো বিশেষ একটি পদবী, যা আল্লাহপাক কর্তৃক প্রদত্ত। ভাষার অলঙ্কার ও প্রাঞ্জলতার দিক থেকে তাঁর মতো কেউই ছিল না, সাহসী-বীর ব্যক্তিদের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বশ্রেষ্ঠ।
বিচারকার্যের দক্ষতার ক্ষেত্রে আলী ইবনে আবু তালিব ছিলেন সমকক্ষহীন, তাঁর ইবাদত ছিল অনন্য, অতুলনীয়।
[সূত্র: যাখায়েরুল উক্ববা ফি মানাকিবি যিল ক্বুরবা, পৃষ্ঠা- ৭৭]