হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্র্ট অনুযায়ী, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে তুর্কি প্রেসিডেন্সির যোগাযোগ অধিদপ্তর।
সোমবার (১১ নভেম্বর) বৈঠকটি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এবং আরব লীগের যৌথ শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয়। খবর ডেইলি সাবাহর।
ডেইলি সাবাহর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৈঠকে তুরস্ক এবং সৌদি আরবের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এছাড়া প্রেসিডেন্ট এরদোগান ফিলিস্তিন এবং লেবাননে ইসরায়েলের হামলা থামানোর জন্য মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সংহতির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা তুলে ধরেছেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট এরদোগান ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার দ্বারা গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং পদক্ষেপগুলোর গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।
সৌদি রাজধানী রিয়াদে সোমবার ইরানের প্রস্তাবে এক বিশেষ আরব-ইসলামী শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়েছে। যেখানে গাজা উপত্যকা এবং লেবাননে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
সোমবার (১১ নভেম্বর) সৌদি আরবের রিয়াদে ওআইসি ও আরব লীগের এক বিশেষ সম্মেলনে এরদোগান বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের ধারাবাহিক আক্রমণ ও পশ্চিম তীরে দমন-পীড়ন প্রমাণ করে যে, পরিস্থিতি কোনদিকে এগোচ্ছে’।
মূলত মুসলিম দেশগুলো ইসরায়েলের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে যথাযথ প্রতিক্রিয়া দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট।
তিনি বলেন, ইসরায়েলের ওপর চাপ প্রয়োগের জন্য মুসলিম দেশগুলোকে সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে। সেই সঙ্গে তিনি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা এবং দেশটির সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ রাখার প্রস্তাব দেন।
এরদোগান জানান, তুরস্ক গাজাসহ ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে চালানো ইসরায়েলের আক্রমণাত্মক কার্যকলাপকে ‘গণহত্যা’ হিসেবে অভিহিত করে। এ বিষয়ে তার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যুক্ত হয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলায় অংশগ্রহণ করেছে বলেও উল্লেখ করেন।