হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী: বিবাহ সম্পর্কে আমার মনের মধ্যে যে মানদণ্ড বিদ্যমান তা আমাদের ধর্মীয় লোকদের মনে যে মানদণ্ড রয়েছে তার থেকে খুব আলাদা নয়।
তবে আমি নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড উপেক্ষা করার উপর বিশেষ জোর দিতে চাই, অর্থাৎ, আমি যে জিনিষের উপর বেশি জোর দিতে চাই তা মানদণ্ডের প্রাচীরে সীমাবদ্ধ নয়। কারণ আপনি জানেন যে, ইসলাম এ ক্ষেত্রটি উন্মুক্ত করে রেখেছে। কিন্তু একই সাথে নৈতিক মূল্যবোধগুলিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে তবে মানুষদেরকে দেয়ালের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে সীমাবদ্ধ করে রাখেনি এবং এর উদাহরণ দেওয়া সম্ভব।
অতএব, আমি মান নির্ধারণের ক্ষেত্রে খুব বেশি জোর দিচ্ছি না, তবে নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ডকে অবহেলা করার জন্য জোর দিচ্ছি।
ধনী হওয়া।
বিভিন্ন মানদণ্ডের মধ্যে যে মানদণ্ডকে আমি কঠোর ভাবে অস্বীকার করছি তার মধ্যে একটি হল সম্পদের বিষয়টি।
যখন কোনও যুবক বিয়ে করতে চায়, তাই সে পাত্র হোক বা পাত্রী, তার সামনে থাকা ব্যক্তির সম্পদের দিকে কোনও নজর দেওয়া উচিত নয়। আমি মনে করি এটি একটি বিভ্রান্তিকর আকর্ষণ, বাস্তব আকর্ষণ নয়।
সুতরাং এ সম্পর্কে একদম বিবেচনা করা উচিত নয়। এটা আমার জন্য যেমন গুরুত্ব নয় তেমনি আমি আমার বাচ্চাদের জন্য কোনও গুরুত্ব দিলাম না।
সম্মিলিত অবস্থা দেখা।
আর একটি বিষয় যা একেবারেই উপেক্ষা করা উচিত তা হল "সামাজিক স্ট্যাটাস" এর বিষয়টি।
আমি শুনেছি যে, কিছু লোক যারা পাত্রের জন্য পাত্রী বা পাত্রীর জন্য পাত্র নির্বাচন করতে চায়, তারা নিজের জন্য জামাই বা পুত্রবধূ সন্ধান করতে চায়, তারা এটা নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করে যে, তাকে অবশ্যই সেলেব্রিটি বা বড় পোস্টের পরিবার থেকে হতে হবে। (যদিও) ভাগ্যক্রমে এই জিনিসটি ছেলে এবং মেয়েদের মধ্যে খুবই কম দেখা যায়। কেননা এই সমস্যাটি পিতামাতার সাথে সম্পর্কিত।
আমার দৃষ্টিতে এটিও একটি ভুল আদর্শ এবং এই বিষয়টি উপেক্ষা করা প্রয়োজন।
বাহ্যিক আকর্ষণ থাকা।
আমার দৃষ্টিতে যুবসমাজকে সুন্দর এবং আকর্ষণীয় দেখায় এমন কিছু বিষয়কে বিয়ের মানদণ্ড হিসাবে বিবেচ্য করা উচিত নয়।
‼ উদাহরণস্বরূপ, এদিক ওদিক ছেলে বা মেয়েদের সন্ধান করুন এবং তারপরে যিনি আপনার নজর কেড়েছেন তাকে স্ট্যান্ডার্ড হিসাবে ঘোষণা করুন !! যেখানে গিয়ে চোখ থেমে যায় সেটাকে যথেষ্ট হিসেবে বিবেচনা করা উচিত !!
এটিও এমন একটি বিষয় যা আমাদের দৃষ্টিতে খুবই বড়ো ভুল এবং এটি এড়ানো খুব জরুরি। কারণ আমি চাই না যে ছেলে-মেয়েরা এই ফাঁদে পড়ুক।
বিবাহের কিছু ইতিবাচক মানদণ্ড।
পূর্ববর্তী বিষয়গুলির বক্তব্যের পরে, সম্ভবত কোনও মেয়ে বা ছেলে এই বিষয়টির দিকে ঝুঁকতে পারে যে, তার জীবন সঙ্গী অবশ্যই উচ্চ শিক্ষিত হতে হবে। অথচ এটাও হতে পারে অন্য কেউ এর দিকে গুরুত্ব না দিতেও পারে।
এখানে আমি একটি উদাহরণটি দিতে চাই যার মাধ্যমে প্রমাণ হবে যে,
ইতিবাচক এবং গ্রহণযোগ্য মানদণ্ডের গুরুত্ব কম নয়।
মনে করুন কোন দেশ কোন একটি নির্দিষ্ট অংশের অন্তর্গত এবং তার ইচ্ছা এটা যে তার জীবন সঙ্গী সেখানকার বাসিন্দা হোক। অর্থাৎ এই বিষয়গুলিতে কোনও বাধা নেই।
আর কিছু লোকের মন চায় যে, তাদের জীবন সঙ্গী অবশ্যই এমন কেউ হোক যে আল্লাহর পথে কিছু করেছে, সংগ্রাম করেছে, আহত হয়েছে, শহীদদের পরিবার থেকে হতে হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। যদিও কিছু লোক তাদের মানদণ্ডে এই জাতীয় জিনিস অন্তর্ভুক্ত করে না।
এ কারণেই আমি ইতিবাচক মানদণ্ড দিয়ে কোনও কিছুই বলতে চাই না যাতে সীমাবদ্ধতা না হয়ে যায়।
আমি কেবল ওই নেতিবাচক পয়েন্টগুলি উল্লেখ করতে চাই (যা পূর্ববর্তী বার্তাগুলিতে উল্লেখ হয়েছে)। যাইহোক, আমি নিজেই আমার বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলির দিকে আরও মনোযোগ দিয়েছি।
সুপ্রিম লিডার আয়াতুল্লাহ খামেনি।
(মাসুম আলী গাজী)