۲۱ آبان ۱۴۰۳ |۹ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 11, 2024
সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রিজভী

সুন্নাত’ বিষয়টি দু’টি অর্থের ধারক। এক, ‘কুরআন ও সুন্নাত’ অপরটি ‘সুন্নাতে রাসূল’ (সাঃ)। অধিকাংশ মানুষ এ দু’টি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলেন। সে কারণে বিষয়টির ব্যাখ্যা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করি।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী : পর্ব ১-  সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রিজভী উক্ত বিষয় সম্পর্কে বলেন:   ‘সুন্নাত’ বিষয়টি দু’টি অর্থের ধারক। এক, ‘কুরআন ও সুন্নাত’ অপরটি ‘সুন্নাতে রাসূল’ (সাঃ)। অধিকাংশ মানুষ এ দু’টি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলেন। সে কারণে বিষয়টির ব্যাখ্যা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করি।

তিনি আরও বলেন: ‘কুরআন ও সুন্নাত’ একটি ফিকাহগত পরিভাষা। পক্ষান্তরে, ‘সুন্নাতে রাসূল’ ঐ সকল কর্মকে বলা হয় যা মুস্তাহাব অর্থাৎ ইসলাম অনুমোদিত। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’তের দৃষ্টিতে কুরআন ও সুন্নাত বলতে قول رسول ‘কাওলে রাসূল’ (সাঃ), فعل رسول ‘ফেল- এ রাসূল’ (সাঃ) ও تقریر رسول  ‘তাকরীরে রাসূল’কে (সাঃ) বুঝায়।

হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রিজভী বলেন: কাওলে রাসূল (সাঃ) অর্থাৎ, নবী করিম (সাঃ) যা ইরশাদ রেছেন। যার অপর নাম হাদীসে রাসূল (সাঃ)। ফেল-এ রাসূল (সাঃ) বলতে রাসূল (সাঃ) স্বয়ং যে কর্ম সম্পাদন করেছেন। তাকরীরে রাসূল (সাঃ) অর্থাৎ, আল্লাহর নবীর (সাঃ) উপস্থিতিতে যে সকল কর্ম সম্পাদন করা হয়েছে। এ তিনটি বিষয়ই তাদের দৃষ্টিতে হুজ্জাত বলে বিবেচিত এবং এগুলো হাদীস অথবা হাদীসের সমপর্যায়ের। কিন্তু শিয়াদের নিকট রাসূলে করিম (সাঃ) এর পাশাপাশি  মাসুম (আঃ) গণের (এখানে মাসুমগণ বলতে নবী করিম (সাঃ) থেকে ইমাম মাহাদী (আঃ) পর্যন্ত মোট চৌদ্দজনকে বুঝানো হয়েছে) কাওল, অর্থাৎ মাসুম (আঃ) গণ যা ইরশাদ করেছেন, তারা যেসকল কর্ম সম্পাদন করেছেন এবং যে কর্মসমূহ তাঁদের সম্মুখে সম্পাদিত হয়েছে এবং তাতে তাঁরা রাজী বা সন্তুষ্ট ছিলেন তা হুজ্জাত বলে বিবেচিত। ‘কুরআন ও সুন্নাত’ আহকামসমূহের প্রকাশ ও উন্মোচনের একটি মাধ্যম। এটি এমন একটি নীতি বা বিষয় যার মাধ্যমে ঐশী আহকামসমূহ বুঝা যায় এবং প্রকাশ করা যায়। ফিকাহ শাস্ত্রের এটি মূল বিষয় (উসূলে ফিকহ্)। অথচ ‘সুন্নাতে রাসূল’ (সাঃ) সম্পর্কে  যথেষ্ট অজ্ঞতা ও ভুল বোঝাবুঝির সৃৃষ্টি করা হয়েছে। কিছু সৃষ্টি করেছে শত্র“রা আবার কিছু অজ্ঞ বন্ধুরা। ‘ইবাদত’ তো আল্লাহর করি তাহলে আবার সুন্নাতে রাসূল কেন’? মূলতঃ ইসলামী শরীয়ত দু’টি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত। এক ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ অর্থাৎ, ‘কালেমা তাওহীদ’ এবং অপরটি ‘মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ অর্থাৎ, মুহাম্মাদ (সাঃ) এর রেসালতের উপর বিশ্বাস স্থাপন। এ দু’টি ভিত্তির কারণে কুরআন ও সুন্নাত (হাদীস) উভয় হুজ্জাত। ইরশাদ হচ্ছে-

من یطع الرسول فقد آطاع الله...(سوره النساء ایت ৮০)

অর্থাৎ, “যে রাসূলের আনুগত্য করল নিঃসন্দেহে সে আল্লাহরই আনুগত্য করল....”(সূরা নিসা ঃ ৮০)। ….চলবে…

تبصرہ ارسال

You are replying to: .