۲۰ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 9, 2024
সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রিজভী

সৈয়দ ইব্রাহিম খলিল রিজভী উক্ত বিষয় সম্পর্কে বলেন: ‘সুন্নাত’ বিষয়টি দু’টি অর্থের ধারক। এক, ‘কুরআন ও সুন্নাত’ অপরটি ‘সুন্নাতে রাসূল’ (সাঃ)। অধিকাংশ মানুষ এ দু’টি বিষয়কে গুলিয়ে ফেলেন। সে কারণে বিষয়টির ব্যাখ্যা একান্ত প্রয়োজন বলে মনে করি।

-হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী : পর্ব ৩- অতঃপর তিনি কাশ্শাফ গ্রন্থের লেখক আল্লামা ষামাখশারীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন

لما نزلت هذه الایة قیل یا رسول الله من قرابتک هؤلاء الذین وجبت علینا مودتهم ؟ فقال علی و فاطمة و ابناهما؛ فثبت آن هؤلاء الاربعة آقارب النبی ص ( تفسیر کبیر الجزء ২৭ صفحه ১৬৬)

যে, ‘যখন এ আয়াতটি অবতীর্ণ হয় তখন নবী করিম (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হয়-ইয়া রাসূলুল্লাহ! পরমাত্মীয়গণ কারা যাদের প্রতি ভালবাসা ও সৌহার্দ্র আমাদের জন্য ফরজ করা হয়েছে’? নবী করিম (সাঃ) উত্তরে বললেন-“আলী,ফাতেমা ও তাদের দু’সন্তান হাসান ও হোসাইন”।

সুতরাং স্পষ্ট হয়ে গেল যে, এই চার ব্যক্তিই নবী (সাঃ) এর পরমাত্মীয়। ইমাম ফখরুদ্দীন রাযী অতঃপর বলেন-“আয়াতে উল্লেখিত সৌহার্দ্র বা ভালবাসার অর্থ হচ্ছে আনুগত্য ও অনুস্মরণ করা। দলিল হিসেবে তিনি  সূরা আলে ইমরানের ৩১ নং আয়াত এখানে উল্লেখ করেছেন। ইরশাদ   হচ্ছে - قل ان کنتم تحبون الله فاتبعونی یحببکم الله .(سوره آل عمران ایت ৩১) “হে রাসূল!) বল, যদি তোমরা আল্লাহকে ভালবাস তবে আমার অনুস্মরণ কর.....”। সুতরাং ‘ভালবাসা এবং সৌহার্দ্র’র অর্থ হচ্ছে এখানে আনুগত্য ও অনুস্মরণ করা’ (তাফসীরে কাবীর, ২৭নং, পৃ ঃ১৬৬)। দলিল বা প্রমাণ হিসেবে স্বয়ং ‘হাদীসে সাক্বালাইনও’ 

انی تارکم فیکم الثقلین کتاب الله..اهل بیتی

এখানে উল্লেখ করা যায়। উক্ত হাদীসে বর্ণিত হচ্ছে যে, “আমি তোমাদের মাঝে দুটি মূল্যবান জিনিস রেখে যাচ্ছি, এক আল্লাহর কিতাব অপরটি আমার আহলে বাইত”। (সহীহ মুসলিম, খঃ ৬,পৃঃ ১০২)।

সুন্নাতকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ঘটনা নতুন কিছু নয় এবং রাসূল (সাঃ) এর ইন্তেকালের সময় একথাই বলা হয়েছিল حسبنا کتاب الله  (صحیح البخاری صفحه ২৮৬)  “হাসবানা কিতাবাল্লাহ” আমাদের জন্য আল্লাহর কিতাবই যথেষ্ট (সহীহ্ বুখারী, খ ঃ ৩, পৃ ঃ ২৮৬)।

আর এভাবে সুন্নাতকে স্পষ্টতঃ অস্বীকার করা হলো। এ কথা বলা অবশ্যই ভুল হবে না যে ‘কুরআন যথেষ্ট’ এ শ্লোগানটি একটি রাজনৈতিক শ্লোগান ছিল। যদিও রাসূল (সাঃ) এর হাদীসসমূহের গুরুত্ব সম্পর্কে তারাও সম্যক জ্ঞাত ছিলেন । শুধুমাত্র  হযরত আলী (আঃ) এর ইমামত ও খেলাফতকে অস্বীকার করার স্বার্থে এমন শ্লোগানেরই প্রয়োজন ছিল যার আর একটি নমুনা সে সময় প্রকাশ পায়। সিফ্ফীনের যুদ্ধ চলছিল। পরিস্থিতি আলী (আঃ) এর অনুকূলে। ঠিক সে মূহুর্তে তীক্ষ্ণ বর্শার মাথায় কুরআন উত্তোলন করে  لا حکم الا لله “লা হুক্মা ইল্লা লিল্লাহ” এই শ্লোগান তোলা হয়। কুরআন ব্যতীত কোন হুকুম বা হাকিম মানিনা। অর্থাৎ, আলীর সীরাত বা আলীর খেলাফতের কী প্রয়োজন? যদিও আলীর (আঃ) সীরাত রাসূল (সাঃ) এর সীরাত দ্বারাই সুসজ্জিত আর নবীজীর সীরাত আল্লাহর হুকুমে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে।...চলবে..

تبصرہ ارسال

You are replying to: .