হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী: হুজ্জাতুল ইসলাম মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান বলেন: পর্ব ১- সন্তান প্রতিপালন অর্থাৎ সন্তানকে সুষ্ঠু ভাবে গড়ে তোলার ( তরবিয়ত ) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর বা উপাদান ( কারণ ) হচ্ছে পিতা-মাতার সহ্য শক্তি ,
ধৈর্য ও সহিষ্ণুতা ( কষ্ট ও সমস্যা সহ্য করার শক্তি ও ক্ষমতা ) । যদি পিতা মাতা ভালো কাজ করে সন্তানকে বলে যে আমি এ কাজটা পছন্দ করি তাই তা করেছি বা করি । আমি নামায পড়া পছন্দ করি তাই নামায পড়ি ।
তিনি আরও বলেন সন্তানের তরবিয়তের ( গঠন ও প্রতিপালন ) উপর পিতা-মাতার এ ধরনের কথা বলার নেতিবাচক প্রভাব ( আছর ) হচ্ছে যে সন্তান তখন চিন্তা করবে যে বাবা মা যা পছন্দ করে ঠিক সেটাই করে । অতএব আমি যা পছন্দ করি ঠিক সেটাই করতে চাই । বাচ্চারা ( সন্তানরা ) ১২ – ১৩ বছর বয়স পর্যন্ত পিতা-মাতার অনুসরন ও অনুকরণ করে এবং পিতা-মাতার মতো হতে পছন্দ করে । তাই দেখা যায় যে নামাযী পিতা-মাতার অনুকরণে সন্তানরা নামায পড়ছে রোযা রাখছে ।
মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন বলেন এর দ্বারা যেন আমরা প্রতারিত না হই যে আমার শিশু ছেলে মেয়ে নামাযী হয়ে গেছে । কারণ এটা চিরস্থায়ী নয় । ১২-১৩ বছর বয়সের পর তারা ( ছেলে মেয়েরা ) পরিবেশ পরিস্থিতি ও সঙ্গ দোষের কারণে নামায ছেড়ে দিতে পারে । তাই মায়েদের উচিত রাগন্বিত হয়ে গেলে সন্তানের সামনে গালি না দেওয়া অর্থাৎ মুখে যা আসে তা না বলা । মাত্র এই এক মিনিটের গালি গালাজই সন্তানকে ধ্বংস করে দেবে ।
তাই মায়েদেরকে – বাবাদেরকে ধৈর্য ধরতে হবে ধৈর্য্যচ্যুত হলে চলবে না । কারণ অধৈর্য হওয়ার অনুরূপ আর কোনো দোষ হয় না এবং ধৈর্য – সহিষ্ণুতা এবং বিপদাপদ , সমস্যা ও দু:খ – কষ্ট সহ্য করার শক্তি ও ক্ষমতার অনুরূপ কোনো গুণও নেই । বাচ্চারা অবুঝ নয় ; তারা সবকিছু বোঝে । অতএব বাবা-মাদেরকে অনেক সাবধান ও সতর্ক হতে হবে ।…চলবে…