হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী: উত্তম আচার-আচরণ এবং গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত, পর্ব ২-
এরপর যাদের সঙ্গে সুন্দর আচরণ করতে বলা হয়েছে তারা হচ্ছেন চারপাশের মানুষ, অর্থাৎ পরিবার-পরিজন, আত্মীয়স্বজন। তাদের ভাগ-বিভাগও সুস্পষ্ট করে বলা হয়েছে। যেমনঃ
১. 'যিল কুরবা': নিকটাত্মীয় অর্থাৎ ভাই-বোন, ভগ্নিপতি, ভাগিনা-ভাগ্নি, ফুফু, ফুফা, ফুফাতো ভাই-বোন, মামা-মামি, মামাতো ভাই ও বোন, খালা-খালু, খালাতো ভাই ও বোন। তাদের সঙ্গে সুন্দর আচরণ করা ইবাদত।
২. 'ওয়াল ইয়াতামা': অর্থাৎ পিতা-হারা সন্তান কিংবা মা-হারা সন্তান ইয়াতিম। তাদের সঙ্গে আপনি সদয় ব্যবহার উচিত। তাদের অধিকার রক্ষায় সুন্দর সহযোগিতার মন নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। এটাও আমাদের জন্য ইবাদত।
৩. 'ওয়াল মাসাকীন': অর্থাৎ আশেপাশের মানুষ, প্রতিবেশী কিংবা সহকর্মী; যিনি লজ্জা-শরম ও আত্মসম্মানের ভয়ে তার অভাবের কথা প্রকাশ করছেন না, অথচ তার অভাব পূরণ করা এখনই প্রয়োজন। কিংবা অন্তত তিনি সুন্দর ব্যবহারেও ভালো থাকতে পারে। এমন মানুষের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করাও ইবাদত।
৪. 'ওয়াল জারিজিল কুরবা': আপনার নিকটাত্মীয়ের প্রতিবেশী। ছেলে বা মেয়ের শশুর বাড়ির মানুষ, তাদের সঙ্গে যদি ভালো ব্যবহার করা হয়, তাহলে এটিও ইবাদত স্বরূপ। অনুরূপভাবে, যত নিকটাত্মীয় আছেন তাদের প্রতিবেশীর সঙ্গে ভালো ব্যবহার করাও ইবাদত।
৫. 'ওয়াল জারিল জুনুবি': অর্থাৎ নিকটতম পাড়া-প্রতিবেশী। যেখানে আমরা বাস করি, তার আশেপাশের মানুষজন আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী। তাদের সাথে ভালো আচার-আচরণ করাও নামাজ-রোজার মতোই গুরুত্বপূর্ণ ও আবশ্যকীয় ইবাদত। এসকল ইবাদত মানুষের মধ্যে ইসলামের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে। আমাদের জীবনযাপনকে সুন্দর, সমৃদ্ধ ও সুখময় করে তোলে।
আল্লাহতালা এ সকল আমল আঞ্জাম দেওয়া তওফিক দেওয়ার মাধ্যমে আমাদের ইহকালীন ও পরকালীন কামিয়াবি দান করুক। আমিন।
লেখাঃ রাসেল আহমেদ রিজভী