হাওজা নিউজ এজেন্সি বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ২- নোটিশের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকেঔ ওই ১৩ ফিলিস্তিনি পরিবারের ১৩০ সদস্য তাদের আবাস থেকে উচ্ছেদ হওয়ার শঙ্কায় প্রহর গুণছিলেন।
মসজিদুল আকসার কাছে আরব ও মুসলমানদের বসতির উপস্থিতি কমিয়ে এনে জেরুসালেমের জনসংখ্যাগত কাঠামো পরিবর্তনের ইসরাইলি নীতির অংশ হিসেবে এই উচ্ছেদ করা হচ্ছে বলে স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানায় ফিলিস্তিনি সংবাদমাধ্যম।
পূর্ব জেরুসালেমে পুরনো শহরের দক্ষিণে অবস্থিত সিলওয়ান মহল্লা। মহল্লার ৩৩ হাজার বাসিন্দা বছরের পর বছর ধরে ইসরাইলি দখলদারিত্বের শিকার হয়ে আসছেন। অনেক ক্ষেত্রে তারা তাদের বাড়ি ইহুদি বসতিস্থাপনকারীদের সাথে ভাগাভাগি করে আসতে বাধ্য হচ্ছিল।
সিলওয়ানের আল-বুস্তান কোয়ার্টারে বর্তমানে ৮৮টি ভবনে মোট ১১৯টি ফিলিস্তিনি পরিবার বাস করছে। ইসরাইলের আর্কিওলজিক্যাল পার্ক গড়ে তোলার পরিকল্পনায় এই পরিবারগুলো তাদের নিজ বসতবাড়ি থেকে উচ্ছেদ হওয়ার শঙ্কায় রয়েছে।
২০০৫ সালে প্রথম আল-বুস্তান মহল্লার বাসিন্দাদের উচ্ছেদের নোটিশ পাঠানো হয়। ওই সময় মোট ৯০টি পরিবারকে নিজেদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদের আদেশ দেয়া হয়।
ইতোমধ্যেই জেরুসালেমের ইসরাইলি মিউনিসিপ্যালিটি আল-বুস্তানের নাম পরিবর্তন করে 'গান হামেলেখ' (রাজার বাগান) রেখেছে। ইসরাইলিদের দাবি, দুই হাজার বছর আগে জেরুসালেম থেকে ইহুদিদের উচ্ছেদের আগে এখানে ইসরাইলি রাজাদের বাগান ছিল। সুতরাং দুই হাজার বছর ধরে এখানে বসবাস করা ফিলিস্তিনিদের ঘর-বাড়ি ভেঙে সেখানে পূনরায় 'রাজার বাগান' গড়ে তোলা হবে!
১৯৬৭ সালে আরব-ইসরাইল যুদ্ধের পর ইসরাইল পুরো জেরুসালেম দখল করে নেয়। ১৯৮০ সালে ইসরাইলি আইন পরিষদ নেসেটে এক আইন পাসের মাধ্যমে অবিভক্ত জেরুসালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখনো যার স্বীকৃতি দেয়নি।…চলবে…
লেখা: রাসেল আহমেদ রিজভী