۹ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۹ شوال ۱۴۴۵ | Apr 28, 2024
ইমাম বাক্বির ( আ:) এর শাহাদাত
ইমাম বাক্বির ( আ:) এর শাহাদাত

হাওজা / ইমাম বাক্বিরকে ( আ:) বিষ প্রয়োগ করলে তিনি ১১৪ হিজরীর ৭ যিল হজ্জ ৫৭ বছর বয়সে পবিত্র মদীনা নগরীতে উমাইয়া খলীফা হিশাম ইবনে আব্দুল মালেকের শাসনামলে শাহাদাত বরণ করেন ।

হাওজা নিউজ এজেন্সি বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ১- ৭ যিল হজ্জ ( যুল হিজ্জাহ ) মহানবীর ( সা:) পবিত্র আহলুল বাইতের ( আ:) ৫ম নিষ্পাপ ইমাম মুহাম্মদ আল বাক্বির ইবনে আলী ইবনুল হুসাইন  ( আ:) এর শাহাদাত বার্ষিকী । স্মর্তব্য যে , ৫ম ইমাম আবূ জাফার মুহাম্মদ আল বাক্বির ( আ:) সাইয়েদুশ শুহাদা ইমাম হুসাইন ( আ: ) পৌত্র ।

ইব্রাহীম ইবনে ওয়ালীদ ইবনে আব্দুল মালেক ইমাম বাক্বিরকে ( আ:) বিষ প্রয়োগ করলে তিনি ১১৪ হিজরীর ৭ যিল হজ্জ  ৫৭ বছর বয়সে পবিত্র মদীনা নগরীতে উমাইয়া খলীফা হিশাম ইবনে আব্দুল মালেকের শাসনামলে শাহাদাত বরণ করেন । তাঁকে জান্নাতুল বাকী গোরস্তানে পিতা ইমাম যাইনুল আবেদীন ( আ:) এবং চাচা ইমাম হাসান মুজতাবা ( আ:) এর কবরের পাশে দাফন করা হয় । ইমাম বাক্বির ( আ:) ৩রা সফর ৫৭ হিজরী মতান্তরে পহেলা রজব জন্মগ্রহণ করেন । তাঁর পিতা মহানবীর ( সা:) আহলুল্ বাইতের ( আ:)

চতুর্থ মাসূম ইমাম আলী ইবনুল হুসাইন যাইনুল আবেদীন (আ:) যিনি ছিলেন

মহানবীর(সা:)দৌহিত্র  সাইয়েদুশ শুহাদা ( শহীদদের নেতা ) বেহেশতের যুবকদের সর্দার ( নেতা ) আহলুল বাইতের ৩য় নিষ্পাপ ইমাম হুসাইন ইবনে আলী ইবনে আবী তালিবের ( আ:) পুত্র । মাত্র ৪ বছর বয়সে ইমাম বাক্বির ( আ:) পিতা ইমাম যাইনুল আবেদীন ( আ:) , দাদা ইমাম হুসাইন (আ :) এবং আহলুল বাইতের ( আ:) সাথে কারবালায় উপস্থিত ছিলেন এবং স্বচক্ষে পিতামহ ইমাম হুসাইন ( আ:) ও তাঁর সঙ্গী সাথীদের মজলূম অবস্থায় শাহাদাত বরণের দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেছিলেন ।

আমরা এই নিষ্পাপ মাসূম ইমাম -ই হুমামের শাহাদাত দিবসে তাঁর আখলাক , সীরাত ও কর্মকাণ্ডের কিছু নমুনা উল্লেখ করব যাতে আমরা সেগুলো আমাদের জীবনে বাস্তবায়ন করতে পারি :

ইমাম বাক্বির ( আ: ) এর ইবাদৎ বন্দেগী :

বর্ণিত আছে যে : একদা হজ্জ ব্রত পালনের জন্য ইমাম বাক্বির (আ:) মদীনা শরীফ থেকে মক্কা শরীফের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলেন ।  তিনি মক্কায় মসজিদুল হারামে প্রবেশ করলেন এবং কাবা শরীফের দিকে তাকিয়ে উচ্চ:স্বরে অত্যন্ত

কাঁদলেন , অত:পর তিনি কাবা শরীফ তাওয়াফ শেষ করে মাকামে ইব্রাহীমে নামায পড়লেন ।

তিনি যখন সিজদা থেকে মাথা উঠালেন তখন দেখা গেল যে তাঁর সিজদাস্থল তাঁর চোখের জলে  ভিজে গেছে  । যখন তিনি হাসতেন তখনও তিনি মহান আল্লাহকে  স্মরণ করতেন এবং বলতেন : হে আল্লাহ , আমার উপর আপনি রাগম্বিত হয়েন না । মধ্যরাত্রিতে মহান আল্লাহর কাছে তিনি মুনাজাত ও ক্বাযা- ই

হাজত প্রার্থনা কালে বলতেন :

হে আল্লাহ , আপনি আমাকে আদেশ দিয়েছিলেন আ্মি তা পালন করিনি এবং আপনি আমাকে নিষেধ করেছিলেন কিন্তু আমি (তা থেকে) বিরত থাকিনি । হে আল্লাহ আমি আপনার বান্দা ; আপনার সান্নিধ্যে হাযির ( উপস্থিত ) আমি । ( যদিও আমার কর্তব্য হচ্ছে ক্ষমা প্রার্থনা করা কিন্তু আমি এতটা দুর্ভাগা যে ) আমি ( এখনও ) ক্ষমা প্রার্থনা করছি না।…চলবে…

লেখা: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

تبصرہ ارسال

You are replying to: .