হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ৩- মুসলিম তার সহীহ গ্রন্থে এভাবে বর্ণনা করেছেন :
فَقُلْ تَعَالَوْاْ نَدْعُ أَبْنَاءنَا وَأَبْنَاءكُمْ وَنِسَاءنَا وَنِسَاءكُمْ وَأَنفُسَنَا وأَنفُسَكُمْ ثُمَّ نَبْتَهِلْ فَنَجْعَل لَّعْنَةَ اللّهِ عَلَى الْكَاذِبِينَ
অর্থাৎ ‘বলুন : (হে নবী) এসো আমরা আমাদের সন্তানদের আর তোমরাও তোমাদের সন্তানদের এবং আমরা আমাদের নারীদের তোমরা তোমাদের নারীদের এবং আমরা আমাদের নিজেদেরকে (নাফসকে) আর তোমরা তোমাদের নিজেদেরকে ডেকে নিয়ে এসো। অতঃপর আমরা (আল্লাহর দরবারে) আবেদন জানাই এবং মিথ্যাবাদীদের উপর আল্লাহর অভিশাপ বর্ষণ করি।’ (আলে ইমরান : ৬১)
যখন আয়াতটি অবতীর্ণ হল তখন মহানবী (সাঃ) আলী, ফাতেমা, হাসান ও হোসাইন (আঃ)-কে ডেকে আনলেন। তিনি বললেন :
اللهم هولاءِ أهْلُ بَيْتِي
‘হে আল্লাহ এরাই আমার আহলে বাইত।’
নবী (সাঃ) এর বর্ণনা সমূহে আহলে বাইত ও কোরআনের বন্ধন : নবী (সাঃ) তাঁর আহলে বাইতের অনেক ফযিলতের কথা বর্ণনা করেছেন। তাঁর ঐ সব বর্ণনা আহলে বাইতকে তাঁর উম্মতদের মধ্যে অতি উচ্চ আসনে আসীন করেছে। এই ফযিলতগুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে কোরআন ও আহলে বাইতের একাত্মতা এবং তাদের মধ্যকার অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক। তাদের মধ্যে যে দৃঢ় বন্ধন রয়েছে তা কেয়ামত পর্যন্ত অবশিষ্ট থাকবে। শিয়া সুন্নী সকলেই যে হাদীসের ব্যপারে একমত তা হাদীসে ‘সাকালাইন’ নামে পরিচিত। নবী করিম (সাঃ) এরশাদ করেছেন :
إنّى تارِكٌ فِيكُمْ الثَقْلَيْنِ کِتَابَ اللهِ و عِتْرَتِی أَهْلَ بَيْتِی إنْ تَمَسَّکْتُمْ بِهِمَا لَنْ تَضِلُّوا أبَداً
‘আমি তোমাদের জন্য অতি মূল্যবান দুটি বস্তু রেখে যাচ্ছি। একটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব, অপরটি হচ্ছে আমার রক্তসম্পর্কীয় নিকটাত্মীয়, আমার আহলে বাইত। তোমরা যদি এ দুটিকে শক্ত করে আঁকড়ে ধর তবে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না।’
এই হাদীসটি নবী করিম (সাঃ) এর অনেক বিশিষ্ট সাহাবী বর্ণনা করেছেন। এই হাদীসটি মুতাওয়াতির (অসংখ্য) সূত্রে বিভিন্ন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। অনেকেই উল্লিখিত হাদীসটি বিশেরও অধিক সংখ্যক সাহাবী থেকে বর্ণনা করেছেন। এই হাদীসের প্রেক্ষাপট ও দলীল সমূহের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যায় যে নবী (সাঃ) এই কথাগুলি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাঁর সাহাবা ও অনুসারীদের সামনে বলেছেন এবং আহলে বাইত ও কোরআনের মধ্যে যে দৃঢ় বন্ধন রয়েছে, তা বোঝানোর চেষ্টা করেছেন।…চলবে…
লেখকঃ মো. ফয়সাল বারী