۲۱ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۲ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 10, 2024
পবিত্র কোরআনের সঙ্গে আহলে বাইতের সম্পর্ক
পবিত্র কোরআনের সঙ্গে আহলে বাইতের সম্পর্ক

হাওজা / প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সাঃ) এর পরিবারের কিছুসংখ্যক সদস্যকে আহলে বাইত বলা হয়েছে।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ৫- পবিত্র কোরআনের অন্যত্র বলা হয়েছে :

هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَ الْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ

‘তিনিই সেই সত্তা যিনি সাধারণ জনগোষ্ঠীর (নিরক্ষর লোকদের) মাঝে তাদেরই মধ্য থেকে একজনকে রাসূল করে পাঠিয়েছেন যে তাদেরকে আল্লাহর আয়াতসমূহ পাঠ করে শোনায়, তাদেরকে পবিত্র করে, তাদেরকে কিতাব ও হিকমাত শিক্ষা দেয়, অথচ তারা তার পূর্বে সুস্পষ্ট গোমরাহিতে নিমজ্জিত ছিলো।’ (জুমুআ : ২)

এসব আয়াতের প্রতি লক্ষ্য করলে বোঝা যায় যে, আল্লাহর ঐশী বাণীসমূহ ব্যাখ্যার জন্য তাঁর পক্ষ থেকে মনোনীত বান্দারা সবসময় ছিলেন। সুতরাং এমন এক ব্যক্তি সর্বদা অবশ্যই থাকবেন যিনি ওহী সম্পর্কে পূর্ণ জ্ঞানের অধিকারী হবেন। নবুওয়াতের ধারা বন্ধ হওয়ার সাথে সাথে ওহী নাযিলের ধারাও বন্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু কোরআনের বাণীর আহ্বান চিরন্তন হওয়ায় কিয়ামত পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। একদিকে এই অবিনশ্বর ও চিরন্তন হওয়ার বৈশিষ্ট্য, অন্যদিকে মুসলমানরা তাদের ব্যক্তি জীবন, সমাজ জীবন ও ধর্মীয় জীবনে উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের জন্য প্রতিনিয়ত এ গ্রন্থের মুখাপেক্ষী হওয়ায় সব যুগেই কোরআনের পাশাপাশি তার সমস্ত গূঢ় রহস্য সম্পর্কে জ্ঞাত একজন ব্যাখ্যাকারক প্রয়োজন।

পবিত্র কোরআন ও আহলে বাইতের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধন থেকে প্রাপ্ত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কল্যাণ হচ্ছে নবী (সাঃ) এর ইন্তেকালের পর একমাত্র তাঁর আহলে বাইতের দ্বারাই পবিত্র কোরআনের আয়াত সমুহের নির্ভুল ও সঠিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ সম্পাদিত হয়েছে। তাঁর জীবদ্দশায় তিনি নিজেই এ দায়িত্ব পালন করতেন। নবী (সাঃ) এর ইন্তেকালের সাথে সাথে যদিও ওহী নাযিলের ধারার পরিসমাপ্তি ঘটেছে। কিন্তু আল্লাহর বাণী প্রচার, প্রসার ও বর্ণনার কাজ শেষ হয়ে যায় নি।কোরআনের আয়াত নবী (সাঃ) এর সময়কার মানুষদের যেভাবে সম্বোধন করেছে তার পরবর্তী যুগের মানুষদেরকেও ঠিক সেভাবেই সম্বোধন করেছে।

আহলে বাইত ও পবিত্র কোরআনের এই বন্ধন যদি অব্যাহত না থাকত নবী (সাঃ) এর পরবর্তী যুগে কোরআন একটি নীরব প্রতিবেদন হয়ে পড়ত। কখনোই মুসলমানদের চাহিদা মিটাতে পারতো না এবং ব্যক্তি জীবন ও সমাজ জীবনে তারা ইসলাম থেকে দূরে সরে পড়তো।

হযরত আলী (আঃ) এর বাণীতে এর সত্যতা পাওয়া যায়।

‘কোরআন আল্লাহর নির্বাক গ্রন্থ, আর আমি তার ব্যখ্যা বিশ্লেষণকারী, সুতরাং আল্লাহর সবাক পুস্তককে আঁকড়ে ধর।’…চলবে…

লেখকঃ মো. ফয়সাল বারী

تبصرہ ارسال

You are replying to: .