হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, তালেবানকে ‘একঘরে’ করে রাখলে আরও বেশি অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করেছে কাতার। আফগানিস্তানের নিরাপত্তা ও আর্থসামাজিক পরিস্থিতির স্বার্থেই সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর সঙ্গে অন্য দেশগুলোকে সম্পর্ক গড়ার আহ্বান জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। খবর প্রকাশ করেছে আল-জাজিরা।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান আল থানি বলেছেন, ‘আমরা যদি শর্ত আরোপ করতে এবং যোগাযোগ বন্ধ করতে থাকি, তাহলে একটি শূন্যস্থান রেখে আসা হবে। প্রশ্ন হচ্ছে, সেই শূন্যস্থান কে পূরণ করবে’। কাতারের রাজধানী দোহায় এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস তার পাশে ছিলেন। কয়েক বছর ধরে তালেবানের সঙ্গে আলোচনাকারীদের মধ্যে অন্যতম দেশ হয়ে উঠেছে কাতার। ২০১৩ সাল থেকে সশস্ত্র এ গোষ্ঠীর রাজনৈতিক অফিস রয়েছে সেখানে।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত সরকার হিসেবে কোনো দেশ তাদের স্বীকৃতি দেয়নি। তবে অনেক দেশই বিদ্রোহী গোষ্ঠীটিকে মানবাধিকার রক্ষা ও একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছে।