হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, শনিবার 'দেফায়ে মোকাদ্দাস' সপ্তাহ উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে আয়াতুল্লাহ আলী রেজা আরাফী বলেন, যদিও 'দেফায়ে মোকাদ্দাস' একটি বাহ্যিক যুদ্ধ ছিল যা ইসলামী বিপ্লবকে পরাজিত এবং সীমাবদ্ধ করার জন্য আরোপিত করা হয়েছিল, কিন্তু আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে এটি ছিল একটি সাহসী প্রতিরক্ষা।
ইরানের হাওজা ইলমিয়ার প্রধান উল্লেখ করেন যে, হাওজা ইলমিয়ার সাথে সংশ্লিষ্ট আলেমগণ বিশ্বের কাছে ইসলামী বিপ্লবের নতুন বক্তৃতা উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হবেন না এবং হাওজা ইলমিয়াকে এই ক্ষেত্রে অগ্রগামী হতে হবে।
তিনি 'দেফায়ে মোকাদ্দাস'কে শত্রুদের বিরুদ্ধে অবস্থান হিসেবে বর্ণনা করেন এবং বলেন যে মনে হয় বিপ্লবের পিছনে আল্লাহর শক্তি ছিল যার ফলে পবিত্র প্রতিরক্ষা ইসলামী বিপ্লবকে আরো শক্তিশালী করেছে।
আয়াতুল্লাহ আরাফী বলেছেন যে সকল মুজাহিদীন যারা ইসলামী বিপ্লবের সম্ভাবনাকে তুলে ধরার জন্য এই অসম যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল এবং যারা আত্মত্যাগ করেছিলেন তারা এই সম্ভাবনাকে গড়ে তোলার জন্য সমানভাবে জড়িত।
ইমাম খোমেনী (রহ:)-এর ৫৯৮ নং প্রস্তাব পাস হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ইমাম খোমেনী (রহ:) এই বক্তব্যে আট বছরের পবিত্র প্রতিরক্ষার সমৃদ্ধির সম্ভাবনা ও সুযোগের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
ইরানের হাওজা ইলমিয়ার প্রধান বলেন, যদি 'দেফায়ে মোকাদ্দাস' না হতো তাহলে আমরা ইসলামী বিপ্লবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় থেকে বঞ্চিত হতাম। ইরানের ইসলামী বিপ্লব পবিত্র প্রতিরক্ষা থেকে নতুন অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
আয়াতুল্লাহ আরাফী বলেছেন যে ইসলামী সমাজে জ্ঞান ও চেতনার উন্নতি, ধর্মীয় মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং বিভিন্ন বিজয় অর্জন, পবিত্র প্রতিরক্ষার অন্যান্য অভিজ্ঞতার মধ্যে রয়েছে। যেমন ভাবে বসনিয়া ও লেবানন অভিজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে অলৌকিক কাজকে করতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি 'দেফায়ে মোকাদ্দাস' উপলক্ষে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লেবাননের শিয়াদের ভালোবাসা সম্পর্কে বলেন যে এই ভালবাসার মাধ্যমেই তারা হিজবুল্লাহ গঠনে সফল হয়েছে, যা বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিষয় এবং রাজনৈতিক বিষয়ে তার ভূমিকা পালন করছে।
তিনি আরও বলেন, আহলুল বাইত (আ:) - এর জ্ঞানের চেতনা হচ্ছে জিহাদ, প্রচেষ্টা এবং প্রতিরোধ, এই চেতনা বিভিন্ন রূপে নিজেকে প্রকাশ করতে হবে।
আয়াতুল্লাহ আরাফী ইসলামী বিপ্লব সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে হাওজা ইলমিয়ার তত্বাবধানে একটি কর্মসূচি হিসেবে বর্ণনা করেন এবং উল্লেখ করেন যে ইসলামী বিপ্লব সম্পর্কিত বিষয়গুলোকে হাওজা ইলমিয়ার সিলেবাসে আলোচনা করা হচ্ছে ।
তিনি বলেন, গত বছর থেকে ইসলামী ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী হাওজা ইলমিয়াগুলোতে ১০০ টি বৈজ্ঞানিক প্রকল্প তৈরি করা হচ্ছে।