হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ৬- ২৩. মহানবী (সা:) বলেছেন:
যার তাসবীহ ও তামজীদ পাঠ বেশি ( যে ব্যক্তি বেশি বেশি মহান আল্লাহর তাসবীহ পাঠ ও গুণকীর্তন করবে ) , এবং পানাহার ও নিদ্রা কম হবে তার সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য ফেরেশতারা উদগ্রীব থাকবে ও অধীর ভাবে আকাঙ্ক্ষা ও কামনা করবে । ( দ্র: তান্বীহুল খাওয়াতির , ২/১১৬)
২৪. মহানবী ( সা: )বলেছেন:
যখন মহান আল্লাহ কোনো বান্দার মঙ্গল ও কল্যাণ চান তখন তিনি ঐ বান্দাকে কম কথা বলা , কম আহার করা ও কম ঘুমানোর ব্যাপারে অনুপ্রাণিত ( ও উৎসাহিত ) করেন।
( দ্র: মুস্তাদরাকুল ওয়াসাইল : ১৬/ ২১৩/ ১৯৬৩৪)
২৫. মহানবী ( সা :) বলেছেন:
স্বল্প আহার ( খাদ্যাভ্যাস) হচ্ছে সচ্চরিত্রতা ( শুদ্ধতা) ও শালীনতার অন্তর্গত এবং অধিক আহার হচ্ছে অপচয়ের ( ইসরাফ) অন্তর্ভুক্ত । ( দ্র: মুস্তাদ্রাকুল ওয়াসাইল : ১৬/২১৩)
২৬. মহানবী ( সা :) বলেছেন:
তোমাদেরকে পেটপূজা ( পেটপুরে পানাহার ) থেকে সাবধান ও সতর্ক করে দিচ্ছি । কারণ এটা দেহের ধ্বংস সাধন করে , রোগ - ব্যাধি সৃষ্টি করে এবং ইবাদত - বন্দেগীতে শিথিলতা ও আলস্য আনয়ন করে । ( বিহারুল আনোয়ার : ৬২/ ২৬৬/৪১)
২৭. মহানবী ( সা :)বলেছেন:
পেট যখন খালি থাকে (অর্থাৎ খাদ্য দিয়ে ভরা ও ঠাসা থাকে না) তখন অন্তর প্রজ্ঞা ( হিকমত ) ধারণ করতে সক্ষম হয় ; আর পেট ভরা থাকলে অন্তর প্রজ্ঞাকে প্রত্যাখ্যান করে । ( তান্বীহুল খাওয়াতির : ২/২১৯/৪১)
২৮. মহানবী ( সা :)বলেছেন:
( খাবার খেয়ে) ভরা ঠাসা পেটের চেয়ে আর কোনো কিছুই মহান আল্লাহর কাছে অধিক ঘৃণ্য
নয়। ( মুস্তাদরাকুল ওয়াসাইল : ১৬/২১২/ ১৯৬২৯)
২৯. মহানবী ( সা:) বলেছেন:
যে ব্যক্তি স্বীয় উদর পূর্তি করে সে আসমান ও জমিনের মালাকূতে ( ঐশ্বরিক মহিমার জগৎ , রাজত্ব ও রাজ্যে ) প্রবেশ করবে না । ( তান্বীহুল খাওয়াতির : ২/১০০)
৩০. মহানবী ( সা: ) বলেছেন:
মানুষ তার নিজের পেটের চেয়ে নিকৃষ্ট আর কোনো পাত্রই পূর্ণ করে নি ও ভরে নি ।
( তান্বীহুল খাওয়াতির , ২ ) (সমাপ্ত)
( মুহাম্মাদ মুনীর হুসাইন খান)
১৭ রবীউল আওওয়াল , ১৪৪৩ হি.