۲۹ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۰ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 18, 2024
আহলে বাইতঃ
আহলে বাইতের (আঃ)

হাওজা / ভুমিকাঃ ইসলাম হলো আনুগত্য, প্রেম ও ভালবাসার ধর্ম। ইবাদতের মূলে রয়েছে ভালবাসা। আল্লাহ্ নিজে ভালবেসে হযরত মুহামদ (সাঃ)-কে তাঁর বন্ধু বানিয়েছেন। তাঁকে সর্ব শ্রেষ্ঠ নবীরূপে মানবতার মুর্ত রহমত স্বরূপ পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। তাঁকে শেষ নবী বানিয়ে নবুয়্যতের মিশনকে পরিপূর্ণতা দেয়া হয়েছে।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, পর্ব ১- ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলির মধ্যে রয়েছে মহানবী হযরত মিহাম্মদ (সাঃ) ও তাঁর আহলে বাইত (আঃ)-গণের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা পোষণ করা এবং তাদেরকে অনুসরণ করা। ইসলামের সৌন্দর্য বিকশিত হয়েছে মহানবী (সাঃ) ও তাঁর আহলে বাইতের মাধ্যমে। তারা ছিলেন মুসলিম জাতির পথ প্রদর্শক।

মহনবী (সাঃ)-এর মত তাঁরাও ছিলেন নিষ্ঠাবান ও নিষ্কলুষ চরিত্রের অধিকারী। তাঁদের জ্ঞান গরিমা ও চরিত্র মাধুর্য থেকে মুসলমানরা শিক্ষা গ্রহন করেছে, আলো পেয়েছে। তাই ইসলামের ইতিহাসে আহলে বাইত বিশিষ্ট মর্যাদার অধিকারী, এমন কি তাদের গুরুত্বকে আল কুরআনের গুরুত্বের সাথে তুলনা করা হয়েছে। হাদীস শরীফে আহলে বাইতের মর্যাদা সম্পর্কে অনেক বর্ণনা এসেছে।

মহানবী (সাঃ) যে সকল বাণী প্রচার করেছেন তা ইতিহাসে এক একটি দলিল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এরকম একটি সুপ্রসিদ্ধ হাদীস হলো "হাদীসে সাকালাইন"। এই হাদীসে মহানবী (সাঃ) বলেছেনঃ " আমি তোমাদের কাছে অতীব গুরুত্বপূর্ণ দুটি আমানত রেখে যাচ্ছি। একটি হলো আল্লাহর কিতাব আল- কুরআন এবং অপরটি আমার আহলে বাইত।

এ দুটি জিনিষ কিয়ামতের দিন হাউজে কাউসারে আমার সাথে মিলিত না হওয়া পর্যন্ত পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হবে না। যতদিন তোমরা এ দু'টিকে অনুসরণ করবে ততদিন বিপদগামী হবে না"। এই বিখ্যাত হাদীসটি বর্ণনাসুত্রে বিশিষ্ট শিয়া ও সুন্নী মাজহাবের প্রামান্য গ্রন্থ সমূহে বর্ণিত হয়েছে। ইমাম খোমেনী (রহঃ)ও তার অসিয়তনামায় এই হাদীসের উল্লেখ করেছেন।

এই হাদীসের ভাবার্থ অনুযায়ী মহানবী(সাঃ) আল কুরআনকে যে রকম গুরুত্ব দিয়েছেন, তেমনই তাঁর আহলে বাইতের গুরুত্বও তুলে ধরেছেন। আহলে বাইতের আভিধানিক অর্থ - পরিবারভুক্ত সদস্যবৃন্দ৷ কিন্তু এক্ষেত্রে এটিকে পারিভাষিক অর্থে মহানবী (সাঃ)- এর নিজ বংশের সদস্যদের বুঝানো হয়েছে। তাঁরা হলেন, তাঁর কন্যা ফাতিমা জাহরা(আঃ), তাঁর স্বামী আলী (আঃ), তাদের দুই পুত্র ইমাম হাসান (আঃ), ও ইমাম হুসাইন(আঃ)।...চলবে...

নিবেদক- মোহাম্মদ হোসাইন, বাংলাদেশ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .