মাওলামা গোলাম মুস্তাফা নাজাফী
এক বাণিজ্যিক ভ্রমণের সিদ্ধান্ত নিয়ে ইমাম সাদিক (আঃ) কাছে আসলেন, আর ইমাম (আঃ) কে ইস্তেখারার দেখতে বললেন, ইমাম (আঃ) ইস্তেখারা দেখে বললেন, তোমার জন্য ভ্রমণ করা নিষেধ।
লোকটি উপেক্ষা করতে করতে বিরক্ত হয়ে পড়ে আর অবশেষে বানিজ্যিক ভ্রমনে বারিয়ে যায়, ঘটনাক্রমে বানিজ্যয় খুবই লাভ হয়, এবং ইমাম (আঃ) এর ইস্তেখারায় অবাক হয়, সুতরাং ভ্রমন শেষে ইমামের সামনে উপস্থিত হয়ে বলে,
হে আল্লাহর রাসূলের পুত্র! আপনার মনে রয়েছে, আমি কিছু দিন পূর্বে আপনার নিকটে উপস্থিত হয়ে ছিলাম, এবং ইস্তেখারা জন্য বলেছিলাম যার ফলশ্রুতি নিষেধ এসেছিল, আমি তাশর্তেও বানিজ্যিক ভ্রমনে চলে গিয়েছিলাম।
এবং আমার এই ভ্রমনে খুবই লাভ হয়েছে, যাহাতে আমি আনন্দিত হয়েছি,
ইমাম সাদেগ (আঃ) মুচকি হাসি হেঁসে তাকে বললেন: তোমার কি মনে আছে তুমি সফরে গিয়ে উমুকস্থানে ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলে?
আর তুমি মাগরিব ও ইশার নামায পড়ে, খাদ্য খেয়ে রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন, এবং সূর্য উদিত হওয়ার পরে ঘুম ভেঙ্গে ছিল, তৎপর ফজরের নামাযের সময় পার হয়ে যায়, আর তোমার নামায ক্বাযা হয়ে যায়,
সে ব্যক্তি হ্যাঁ বলল: - ইমাম (আঃ) বললেন: আল্লাহ যদি তোমাকে পৃথিবী ও তার সর্ববস্তু প্রদান করে, তোমার নামায ক্বাযা হয়ে, যে ক্ষতি হয়েছে, সেই ক্ষতিপূর্ন করতে পারবেনা,
(পুস্তক: - জেহাদ বিন নাফস, খণ্ড ১ পৃষ্ঠা ৬৬)
قال امیر المومنین علیه السلام:
لَا یَخْرُجِ الرَّجُلُ فِی سَفَرٍ یَخَافُ مِنْهُ عَلَی دِینِهِ وَ صَلَاتِهِ
ইমাম আলী (আঃ) বলেন: -
একজন মানুষকে এমন ভ্রমনে যাওয়া উচিত নয়, যাতে তার ধর্ম ও নামাজের প্রতি ক্ষতির সম্ভাবনা হয়,
(অসাইলুশ-শীয়া, খণ্ড ১১ পৃ ৩৪৪)