۷ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۷ شوال ۱۴۴۵ | Apr 26, 2024
খাতুনে জান্নাত মা ফাতেমা যাহরা (সা. আ.)
খাতুনে জান্নাত মা ফাতেমা যাহরা (সা. আ.)

হাওজা / রাসূল (সা.)-র ওফাতের পর আহলে বাইতের উপর অত্যাচার নির্যাতনের সূত্রপাত ঘটে কয়েকজন ক্ষমতালোভী ব্যক্তি কর্তৃক ওহী গৃহে আক্রমণের মাধ্যমে।

লেখা: আবুল কাসিম

পর্ব ১- রাসূল (সা.)-র ওফাতের পর আহলে বাইতের উপর অত্যাচার নির্যাতনের সূত্রপাত ঘটে কয়েকজন ক্ষমতালোভী ব্যক্তি কর্তৃক ওহী গৃহে আক্রমণের মাধ্যমে। নাসেবীদের ইতিহাস গ্রন্থে এই বিষয়টি ফুটে উঠলেও শয়তানের কুমন্ত্রণা তাদেরকে এই সত্য ঘটনা পাবলিশ করতে বাধা প্রদান করে।

আর বর্তমানে একদল নাসেবী এই ইতিহাসকে ঢাকা দেওয়ার প্রচেষ্টায় লেগে আছে। বিভিন্ন উৎস থেকে বানোয়াট কাহিনী রচনা করে তারা এই সত্যকে মুছে ফেলতে চায়। মুহাম্মদ ইবনে আব্দুল ওহাবের রুহানি সন্তানেরা বলে - মা ফাতেমার শাহাদাতের বিষয়ে শিয়ারা মিথ্যা ও জাল ঘটনা বর্ণনা করে। অথচ ইতিহাস দেখলে বোঝা যায় কে বা কারা উক্ত ঘটনার জন্য দায়ী। শিয়াদের এই বিষয়ে ঐক্যমত্য থাকলেও আহলে সুন্নাতদের এক বৃহৎ অংশ এই সত্যকে তুলে ধরেছে। আর এখানে, শিয়া-সুন্নি নির্বিশেষে সত্য জিনিসের খোলাসা করা হবে।

কিছু আলেমগণ সে ‍যুগের তথাকথিত মুষ্টিমেয় কিছু সাহাবীদের অবস্থানকে বিশ্ববাসীর সম্মুখে অটল ও নিঃস্পাপ প্রমাণিত করার জন্য হযরত ফাতিমা যাহরার (সাঃআঃ) মর্মান্তিক করুন শাহাদতের ঘটনাটি বর্ণনা করেন নাই। ¹

সাইয়্যেদুন্নিছা খাতুনে জান্নাতের দাফনের সময় আমিরুল মোমেনিন আলী ইবনে আবী তালিব (আ.) বলেন :

".....নিশ্চয়ই, আপনার কন্যা আপনার সাক্ষাত লাভ করেই আপনাকে বিস্তারিত বলেছেন যে, আপনার উম্মাহ তাঁর প্রতি কতই না অত্যাচার করেছে। আপনি দয়া করে তাঁকে জিজ্ঞেস করে বিস্তারিত খবর জেনে নেবেন। এসব ঘটনা এত অল্পকালের মধ্যে ঘটেছে যে, লোকেরা এখনো আপনাকে স্মরণ করে এবং আপনার কথা বলাবলি করে।....." ²

এখানে, আলী (আ.)-র কথায় স্পষ্ট ফুটে উঠেছে যে মা ফাতেমার ওফাতের পূর্বে উনার উপরে অত্যাচার করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই অত্যাচার কে বা কারা মিলে করেছে?

শিয়া সুন্নি সকলেই এই বিষয়ে একমত যে, আবু বকরের খেলাফতের সময়ে রাসূল (সা.) এর আহলে বাইত, ঘনিষ্ঠ একদল সাহাবী, কিছু সংখ্যক আনসার ও বনু হাশিমের লোকেরা তার হাতে বাইয়াত হয়নি। কেননা তারা সকলে আলী (আ.) কেই প্রথম খলিফা ও ইমাম হিসেবে জানতো (গাদিরে খুমের ইতিহাস দ্রষ্টব্য)। এসময় উমর ও তার জনকয়েক সাহাবী তরবারীর ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক সাধারণ জনগণের বাইয়াত নিয়েছিল। আর যেহেতু এক বিশেষ অংশ আবু বকরের খেলাফতের বিপক্ষে এবং আলী (আ.)-র পক্ষে ছিলো, তাই তারা সবাই মা ফাতেমার গৃহে অবস্থান করছিল।

এ প্রসঙ্গে হযরত উমর বলেন-

“আল্লাহ্ যখন তাঁর রাসূলকে দুনিয়া থেকে নিয়ে গেলেন তখন আমাদের নিকট খবর এল যে, আলী, যুবায়র ও অন্য কয়েকজন আমাদের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে ও ফাতেমার গৃহে সমবেত হয়েছে।" ³

ঐতিহাসিকগণ তাঁদের কয়েকজনের নাম উল্লেখ করেছেন। তাঁদের মধ্যে আলী ছাড়াও ছিলেন আব্বাস, উতাইবাহ্ বিন্ আবি লাহাব, সালমান ফারসী, আবু যার গিফারী, আম্মার বিন্ ইয়াসির, মিকুদাদ বিন আওয়াদ, বারাআ বিন্ আযেব, উবাই বিন্ কা'ব্, সা'দ বিন্ আবি ওয়াক্কাছ ও তালহা বিন্ ওবায়দুল্লাহ্। এছাড়া ছিলেন বনি হাশেমের আরো কয়েকজন লোক এবং অপর কতক মুহাজির ও আনসার। ⁴

...চলবে [“ফুছুলুল্ মুহিম্মাহ্” গ্রন্থে উক্ত দশজন ছাড়াও আরো কয়েকজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে]

تبصرہ ارسال

You are replying to: .