۳ آذر ۱۴۰۳ |۲۱ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 23, 2024
প্রশ্চিমা দেশেগুলোতে
কানাডা

হাওজা / কানাডার নেটিভদের জন্য পরিস্কার বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই । তারা বিভিন্ন ধরণের ব্যাকটেরিয়া ও রোগজীবাণুর দূষণ এবং রাসায়নিক দূষণযুক্ত ( অবিশুদ্ধ ও দূষিত ) পানি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে।

হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, কানাডা সরকার এ সব নেটিভ ফার্স্ট নেশনস কমিউনিটির জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থা করে নি এমনকি কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ২০১৫ সালে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে নেটিভদের পরিস্কার ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন । কিন্তু তা তার শাসনামলে আজ পর্যন্ত বাস্তবায়িত হয়নি ।

কানাডা বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও সম্পদশালী দেশসমূহের অন্তর্ভুক্ত এবং এ দেশটিতে বিশ্বের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে বিশাল সুপেয় পানীয় জলের রিজার্ভও রয়েছে । কিন্তু এতদসত্ত্বেও এ দেশের সরকার সংখ্যালঘু নেটিভ ফার্স্ট নেশনস কমিউনিটিগুলোর সাথে পানীয় জল নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে চরম অমানবিক বর্ণবাদী বৈষম্যমূলক আচরণ করেই যাচ্ছে বহু দশক ধরে ।

পানির অপর নাম জীবন এবং নিরাপদ পানি সম্পদ ও পানীয় জল সকল মানুষের অধিকার । আজ কানাডার নেটিভ ফার্স্ট নেশনস কমিউনিটি সমূহ দেশটির ভূমিপুত্র আদিবাসী হয়েও নিজ দেশে পরবাসী হয়ে পরাধীন জীবন যাপন করছে উড়ে এসে জুড়ে বসা , বহিরাগত , জবরদখলকারী ( দখলদার ) , গণহত্যাকারী ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ অভিবাসীদের কর্তৃত্ব ও আধিপত্যে । তারা সব ধরনের সুযোগ সুবিধা ও অধিকার থেকে বঞ্চিত হয়েছে দেশটির বহিরাগত সংখ্যাগরিষ্ঠ শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয় বংশোদ্ভূতদের সরকার কর্তৃক ।

কানাডা হচ্ছে তথাকথিত ঐ সব গণতান্ত্রিক দেশের উদাহরণ যে সব দেশে সংখ্যালঘুদের উপর চলে সংখ্যা গরিষ্ঠদের স্বৈরাচার ও অত্যাচারের চাবুক ও স্টিম্ রোলার । তাই কানাডীয় সরকার একদিকে তথাকথিত গণতান্ত্রিক হওয়া সত্ত্বেও আসলে স্বৈরাচারী অত্যাচারী এবং গণহত্যাকারীও বটে । আবার এই কানাডীয় সরকার মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতার ধ্বজাধারীও ! কানাডীয় সরকার ইরানের মতো পাশ্চাত্যের বৈরী দেশগুলোর বিরুদ্ধে প্রায় সময় মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতা লংঘনের বানোয়াট অভিযোগের ছড়িও ঘোরায় !!

আজ (২৬ /১/২০২২ ) কানাডায় ক্যাথলিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে একটি আবাসিক বিদ্যালয়ের নিহত শিক্ষার্থী আদিবাসী নেটিভ শিশুদের আরো একটি গোপন গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে । গত বছরের মে মাস থেকে এ পর্যন্ত ক্যাথোলিক গির্জা পরিচালিত দিবারাত্রি ২৪ ঘন্টার আবাসিক বিদ্যালয় সমূহের নিহত হাজার হাজার নিহত শিক্ষার্থী আদিবাসী নেটিভ শিশুদের শত শত লুক্কায়িত গোপন গণকবর আবিষ্কৃত হয়েছে যা কানাডার আদিবাসীদের সাংস্কৃতিক গণ ও প্রজন্ম হত্যা বলেও ইতিমধ্যে খ্যাতি লাভ করেছে । এ ছাড়া এই গত তিন দশকে পূর্ববর্তী কানাডীয় সরকার সমূহ কর্তৃক হাজার হাজার আদিবাসী নারী ও মেয়ে শিশুকে অপহরণ করে গুম করে ফেলা হয়েছে যাদের হদিস কেউ জানে না এবং ট্রুডো নিজেও ১২০০ আদিবাসী নারী ও মেয়ে শিশুর অপহরণ ও গুম হয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করে অপরাধীদের ন্যায় বিচার , যথোপযুক্ত শাস্তিদান এবং হতভাগ্য ভিকটিমদের পরিবার ও আত্মীয়স্বজনদেরকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া তো দূরের কথা কেবল মৌখিক ক্ষমা চাওয়ার মধ্যেই ক্ষান্ত থেকেছে !

বিগত চার পাঁচ শতাব্দী ধরে বহিরাগত দখলদার হানাদার ইউরোপীয় শ্বেতাঙ্গ অভিবাসীরা কানাডার আদিবাসী দেরকে মেরে কেটে চরম সংখ্যালঘু বানিয়ে তাদেরকে নিজ দেশে পরবাসী করে দিয়েছে !

আর যে অল্প কিছু সংখ্যক আদিবাসী আছে তাদেরকেও খতম ও নিশ্চিহ্ন করে দেয়ার জন্য দশকের পর দশক ধরে পরিস্কার বিশুদ্ধ নিরাপদ পানীয় জলের অধিকার থেকেও বঞ্চিত রেখেছে ।

এই হলো সভ্য কানাডার প্রকৃত স্বরূপ ও চিত্র ।

আসলে কানাডা তথা পাশ্চাত্যে এ ধরণের পরস্পর বৈরী ও বিপরীত ধর্মী চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের সমাবেশ ( جمعُ الْأَضْدَادِ জামউল আযদাদ্ ) ঘটেছে যার পরিণতি সত্যি ভয়ঙ্কর প্রলয়ঙ্কারী ও ধ্বংসাত্মক ছাড়া আর কিছুই নয়। আর ইতিহাসও এ মহা সত্যের সাক্ষী ।

মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

২৬/১/২০২২

تبصرہ ارسال

You are replying to: .