মাওলানা মাসুম আলী গাজী নাজাফী
১- তাঁর (আঃ) যিকর্ করা ইবাদত।
রাসূল আল্লাহ (সাঃ) বলেন : মাওলা আলী (আঃ)-এর মুখমন্ডলের দর্শন করা ও তাঁর (আঃ) যিকর্ করা ইবাদত। কোন মানুষের ঈমান ততক্ষণ পর্যন্ত কবুল হবে না যতক্ষণ না সে, তাঁর (আঃ) বেলায়েত (অভিভাবকত্ব) গ্রহণ করে এবং তাঁর শত্রুদের থেকে অপ্রসন্নতা প্রকাশ করে।
২- ইমাম আলী (আঃ)-এর গুণাবলী প্রচার করা।
মহানবী (সাঃ) বলেনঃ
মহান আল্লাহ তাআলা আমার ভাই আলী ইবনে আবি তালিব (আঃ)-এর অনেক ফজিলত বর্ণনা করেছেন।
যে ব্যক্তি তাঁর (আঃ) ফজিলত সমূহের মধ্যে একটি ফজিলত উল্লেখ করে এবং তা স্বীকার করে, মহান
আল্লাহ তাআলা তার অতীত ও ভবিষ্যতের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন, তা যত বড় গুনাহই হোক না কেন।
যে ব্যক্তি তাঁর (আঃ) ফজিলত সমূহের মধ্যে একটি ফজিলত লিপিবদ্ধ করে, যতক্ষণ পর্যন্ত তার লেখা অবশিষ্ট থাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত ফেরেশতাগণ তার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে থাকবেন।
যে ব্যক্তি তাঁর একটি ফজিলত শুনবে, মহান আল্লাহ তাআলা তার কান দ্বারা কৃত গুনাহ মাফ করে দেবেন।
যে ব্যক্তি তাঁর (আঃ) জন্য লিখিত ফজিলত সমূহের উপর দৃষ্টিনন্দন করে, মহান ক্ষমাপরায়ণ আল্লাহ তাআলা চোখ দ্বারা কৃত তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন।
৩- ইমাম আলী (আঃ)-এর শ্রেষ্ঠত্ব।
উমর ইবনে খাত্তাব বলেন, আমি আল্লাহর রাসূলকে বলতে শুনেছি :
এই উম্মতের উপর ইমাম আলী (আঃ)-এর শ্রেষ্ঠত্ব ও ফজিলত এমনই, যেমন পবিত্র রমজান মাসের অন্যান্য মাসের উপর।
এই উম্মতের উপর ইমাম আলী (আঃ)-এর শ্রেষ্ঠত্ব এমনই, যেমনটি শবে ক্বদরের অন্যান্য রাতের উপর।
এই উম্মতের উপর ইমাম আলী (আঃ)-এর শ্রেষ্ঠত্ব এমনই, যেমনটা শুক্রবারের অন্যান্য দিনের উপর।
সৌভাগ্যবান সেই ব্যক্তি, যে তাঁকে (আঃ) আঁকড়ে ধরে এবং তাঁর অভিভাবকত্ব গ্রহণ করে। আর দুর্ভাগ্য সেই ব্যক্তি, যে তাঁর (আঃ) অভিভাবকত্ব ও হক্বকে অস্বীকার করে আর কিয়ামতের দিন এমন ব্যক্তিকে তাঁর রহমত থেকে বঞ্চিত করা সর্বশক্তিমান আল্লাহর কর্তব্য এবং হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর শেফায়াত কখনোই তার নসীবে হবে না।
বিহারুল আনওয়ার খন্ড ৩৮..
এহক্বাক্বুল হক্ব খন্ড ৫...
আমালী শেখ সাদুক্ব খন্ড ১...
হিলইয়াতুল আবরার খন্ড ১...
রওযাতুল অয়েযীন খন্ড ১...
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মদ ওয়া আ'লে মুহাম্মদ ওয়া আজ্জিল ফারাজাহুম ওয়াহ শুরনা মাআহুম ওয়াল আন আদুওয়াহুম।