মাওলানা মাসুম আলী গাজী নাজাফী
-
আহলেবায়েত (আঃ) থেকে সহানুভূতি
হাওজা / ইমাম রেযা (আঃ) রেয়ান বিন শাবীবকে বললেন : যদি তুমি আমাদের সাথে জান্নাতে উচ্চ স্থানে উপনীত হয়ে সুখী হতে চাও, তাহলে আমাদের শোকে শোক প্রকাশ কর এবং আমাদের আনন্দে আনন্দিত হও।
-
অশ্রুজল হল মার্জনার উসৎ
হাওজা / ইমাম রেযা (আঃ) বলেছেন : "হে শাবীবের পুত্র! তুমি যদি ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর জন্য এত বেশি অশ্রু প্রবাহিত কর যে, অশ্রু তোমার মুখমন্ডল দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকে।
-
ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর উপর উপর ক্রন্দনের সওয়াব
হাওজা / ইমাম রেযা (আঃ) বলেছেন : ক্রন্দন কারীদের উচিত ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর মত ব্যক্তিত্বের জন্য ক্রন্দন করা। কারণ তাঁর উপর অশ্রু প্রবাহিত করলে বড় বড় পাপ ক্ষমা করা হয়।
-
ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর জন্য অশ্রু বর্ষণ
হাওজা / ইমাম রেযা (আঃ) বলেছেন : হে শাবীবের পুত্র! তুমি যদি ক্রন্দন করতে চাও তবে ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর জন্য ক্রন্দন কর। কারণ তাঁকে পশুর মতো জবাই করা হয়েছে।
-
শোকাহত ফেরেশতাগণ
হাওজা / ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেন : ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর কবরের কাছে কিয়ামত পর্যন্ত চার হাজার ধূলিকনা মাখা ফেরেশতা তাঁর জন্য ক্রন্দন করবেন।
-
শহীদের জন্য নবীজীর ক্রন্দন
হাওজা / নবী করিম (সাঃ) নিজেই যায়েদ ইবনে হারিস ও জাফর ইবনে আবি তালিবের জন্য কেঁদেছিলেন।
-
কওসার ও নয়নজল
হাওজা / ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেন : আমাদের উপর বর্ষিত নয়নজলের সওয়াব হল হাউজে কওসার থেকে তৃষ্ণা নিবারণ করা।
-
অগণিত সওয়াব
হাওজা / ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেন : "সবকিছুর কিছু না কিছু সওয়াব পাওয়া যায় কিন্তু আমাদের জন্য প্রবাহিত অশ্রুজল অসংখ্য সওয়াব রাখে।
-
শিয়াদের দ্বারা মজলুমের উপর অশ্রু বর্ষণ করা
হাওজা / ইমাম জাফর সাদিক্ব (আ) বলেছেন : "যে চোখ আমাদের নিপীড়ন বা আমাদের অধিকার জবরদখল করার জন্য অশ্রু বর্ষণ করে।
-
দুঃখি হৃদয়
হাওজা / ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেন : "হে আল্লাহ! আমাদের শোকে অশ্রু প্রবাহিত চোখের উপর রহমত বর্ষণ করুন, ওই হৃদয়ের উপর রহমত বর্ষণ করুন, যে আমাদের শোকে শোকাহত হয় এবং যারা আমাদের জন্য দীর্ঘশ্বাস ফেলে ও রোদন করে তাদের প্রতি অনুগ্রহ করুন।
-
অশ্রু বর্ষণের মূল্য
হাওজা / ইমাম হোসায়েন (আঃ) এবং আহলেবায়েত এর শোকে অশ্রু প্রবাহিত করলে মানুষ আল্লাহর রহমতের অধিকারী হয়।
-
মাজালিস-এ-হোসায়নী
হাওজা / মানুষের উচিত হোসায়নী মজলিসে আহলেবায়েত (আঃ)-এর যিকর্ করা এবং তাঁদের গুণাবলী বর্ণনা করা।
-
আহলেবায়েত (আঃ)-এর যিকর্
হাওজা / একে অপরের যিয়ারাত কর এবং একে অপরের সাথে সাক্ষাত করতে যাও। একে অপরের সাথে আলোচনা কর এবং আমাদের বেলায়েত জীবিত রাখ।
-
অশ্রুসিক্ত চোখ
হাওজা / ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর শোকে অশ্রু প্রবাহিত চোখের উপর জাহান্নামের আগুন নিষিদ্ধ।
-
শোক প্রকাশের পদ্ধতি
হাওজা / যখন আল্লাহর রাসূলের পুত্র হযরত ইব্রাহিম মৃত্যুবরণ করেন, তখন তাঁর (সাঃ) চোখ অশ্রুতে ভরে যায় এবং তারপর তিনি বললেন : চোখ কাঁদবে এবং হৃদয় দুঃখিত হবে। কিন্তু আল্লাহর কাছে কোনও অভিযোগ করব না।
-
কুড়ি বছর ধরে ক্রন্দন
হাওজা / ইমাম যয়নুল আবিদীন (আঃ)) কুড়ি বছর যাবৎ কারবালার স্মরণ করে কেঁদেছিলেন এবং যখনই তাঁর সামনে খাদ্য রাখা হত, তখন তিনি কাঁদতে শুরু করতেন।
-
অশ্রু বর্ষণের লাভ
হাওজা / ইমাম মুহাম্মদ বাক্বির (আঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তির সামনে আমাদের কথা স্মরণ করা হয় এবং সে যদি মশার পালকের মতোও অশ্রু প্রবাহিত করে, তাহলে মহান আল্লাহ তাআলা তার পরিবর্তে তাকে জান্নাতে একটি ঘর প্রদান করবেন।
-
নিজের বাড়িতে আযাদারী উদযাপন করা
হাওজা / ইমাম মুহাম্মদ বাক্বির (আঃ) বলেছেন : "প্রত্যেক ব্যক্তির উচিত নিজের বাড়িতে ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর আযাদারী ও শোক পালন করা এবং নিজের পরিবারকেও ওই একই কর্মের নির্দেশ দেওয়া।
-
আযাদারীর পুরস্কার
হাওজা / ইমাম সাজ্জাদ (আঃ) বলেছেন : যে মোমিন, ইমাম হোসায়েন (আঃ) এবং তাঁর সাহাবীদের দুঃখে রোদন করবে, এমনকি একফোটা অশ্রু যদি তার মুখ পর্যন্ত পৌঁছায় তবে মহান আল্লাহ তায়ালা তার বিনিময়ে তাকে জান্নাতে উচ্চ স্থান প্রদান করবেন।
-
এক ফোটা অশ্রুজল
হাওজা / ইমাম হোসায়েন (আঃ) বলেছেন : যে ব্যক্তি আমাদের শোকে শোকাহত হয়ে এক ফোঁটা অশ্রু প্রবাহিত করবে, (তার পরিবর্তে) মহান আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করবেন।
-
কাঁদিয়ে কাঁদিয়ে শহীদ করা
হাওজা / ইমাম হোসায়েন (আঃ) বলেন : আমি হলাম সেই শহীদ, যাকে কাঁদিয়ে কাঁদিয়ে শহীদ করা হয়। যে মোমিন আমাকে স্মরণ করবে সে অবশ্যই আমার জন্য ক্রন্দন করবে।
-
আনন্দ এবং দুঃখ
হাওজা / ইমাম আলি (আঃ) বলেছেন : সর্বশক্তিমান আল্লাহ তায়ালা শিয়া সম্প্রদায়কে আমাদের সাহায্য করার জন্য নির্বাচন করেছেন। যারা আমাদের সুখে সুখী এবং আমাদের দুঃখে দুঃখিত হয়।
-
মর্সিয়া পাঠ করা মানে, আহলেবায়েত এর সাহায্য করা
হাওজা / ইমাম রেযা (আঃ) বলেছেন, হে দে'বল! হোসায়েন বিন আলীর জন্য মর্সিয়া পাঠ কর। যতদিন তুমি জীবিত থাকবে ততদিন আমাদের সহায়ক এবং প্রশংসাকারী হও। আর কখনোই আমাদের স্মরণকে অবহেলা করবে না।
-
মহার্রাম মাসে কবিতা আবৃত্তি করা
হাওজা / হে দে'বল! আমি ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর শোকগাঁথা পছন্দ করি। কারণ এই দিনগুলো আমরা আহলেবায়েত এর জন্য খুবই শোক ও বেদনার দিন।
-
আহলেবায়েত (আঃ)-এর প্রশংসোক
হাওজা / ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেন : "মহান আল্লাহ তাআলার (অশেষ) ধন্যবাদ যে, তিনি মানুষের মধ্যে থেকে এমন কিছু মানুষকে প্রশংসোক হিসেবে নিযুক্ত করেছেন।
-
আহলেবায়েত (আঃ)-এর প্রশংসা করা
হাওজা / যে ব্যক্তি আমরা আহলেবায়েত এর জন্য কবিতার একটি পংক্তি আবৃত্তি করে, মহান আল্লাহ তাআলা তাকে জান্নাতে একটি ঘর প্রদান করবেন।
-
আযাদারীর জন্য ব্যয় করা
হাওজা / আমার পিতা ইমাম মুহাম্মদ বাক্বির (আঃ) আমাকে বলেন : হে জাফর! আমার সম্পদের মধ্যে থেকে কিছু অংশ নওহা খানদের জন্য উৎসর্গ কর, যাতে মানুষ হজ্জের সময় মেনার ময়দানে দশ বছর যাবৎ শোক পালন করতে পারে।
-
ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর শোক
হাওজা / ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) বলেছেন : "এক বছর পর্যন্ত দিবারাত্রে ইমাম হোসায়েন (আঃ)-এর জন্য নওহা পাঠ করা হয়েছে এবং শাহাদাতের দিন থেকে নিয়ে তিন বছর পর্যন্ত ওই শোক অব্যাহত ছিল।
-
মহার্রাম হল শোকের মাস
হাওজা / ইমাম খোমেনী (রহঃ) বলেন : মহার্রাম ও সফর মাসের কারণেই ইসলাম জীবিত আছে।
-
আশুরা হল শোক দিবস
হাওজা / আশুরার দিন যে ব্যক্তি শোকাহত, মুসিবত, দুঃখিত এবং রোদনের অবস্থায় থাকবে, কিয়ামতের দিন আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন তার জন্য সুখ ও পরিতোষ ঘোষণা করবেন।