হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা আন্দুল্লাহ হোসায়েনী
কুরআনের আলো ১০ম পারার কতিপয় শিক্ষা, পর্ব-১
১) মানুষ যেসব গনিমত লাভ করবে তার এক পঞ্চমাংশ আল্লাহ, তাঁর রাসূল, আহলে বাইতের ইমামগণ এবং নবী বংশের ইয়াতিম, মিসকিন ও মুসাফিরদের জন্যে নির্দিষ্ট। ২) যুদ্ধের ময়দানে বিজয় অর্জন করতে হলে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে এবং আল্লাহকে বেশী পরিমাণে স্মরণ করতে হবে। ৩) ঈমানদার ব্যক্তিরা একে অন্যের সাথে দ্বন্দ্বে জড়ালে দুর্বল হয়ে পড়বে এবং তাদের শক্তি নিঃশেষ হয়ে যাবে। ৪) দুশমনের মোকাবেলা করার জন্য সবসময় যুগোপযোগী অস্ত্র প্রস্তুত রাখতে হবে যাতে তারা ভীত সন্ত্রস্ত থাকে। ৫) আল্লাহর রাস্তায় যা কিছুই খরচ করি না কেন দুনিয়া ও আখেরাতে আল্লাহ তা পরিপূর্ণরূপে ফিরিয়ে দিবেন। ৬) একজন ধৈর্য্যশীল ঈমানদার ১০ জন কাফেরের মোকাবেলা করার শক্তি রাখে, কিন্তু একজন দুর্বল ঈমানদার মাত্র দুইজন কাফেরের মোকাবেলা করতে পারে। ৭) যারা ঈমান আনবে, হিজরত করবে এবং আল্লাহর রাস্তায় সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাবে, আর যারা তাদেরকে আশ্রয় দিবে এবং সাহায্য করবে তারাই হচ্ছে প্রকৃত ঈমানদার। ৮) কোন মুশরিক আশ্রয় চাইলে তাকে আশ্রয় দিতে হবে যাতে সে আল্লাহর বাণী শুনতে পারে। কারণ আল্লাহর বাণী শোনার পর সে হয়তো মুসলমান হয়ে যাবে।
৯) মসজিদ কমিটির যেসব বৈশিষ্ট্য থাকা জরুরী: (১) আল্লাহ ও পরকালের প্রতি ঈমান থাকতে হবে, (২) নামাজ কায়েম করতে হবে, (৩) যাকাত দিতে হবে, (৪) আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ভয় করা যাবে না। অতএব যাদের এসব বৈশিষ্ট্য নেই তাদের মসজিদ কমিটিতে থাকার কোন অধিকার নাই।
১০) নিজের ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজনও যদি ইসলাম মানতে অস্বীকার করে তাহলে তাদের সাথে বন্ধুত্ব স্থাপন করা যাবে না।
কুরআন ও আহলে বাইত শিক্ষাকেন্দ্র।