মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
১৫ রমযানের রাত মুতাবাররিক ( মুবারক ) রাত সমূহের অন্তর্ভুক্ত । এ রাতের বেশ কিছু আমল আছে ।
যথা : ১. গোসল , ২. ইমাম হুসাইনের ( আ .) যিয়ারত , ৩. ছয় রাকাত নামায প্রতি রাকাতে সূরা ই ফাতিহা , সূরা -ই ইয়াসীন , সূরা - ই তাবারাকা ( সূরা -ই মুলক ) এবং সূরা -ই ইখলাস তিলাওয়াত করতে হবে, ৪. একশো রাকাত নামায প্রতি রাকাতে সূরা -ই ফাতিহা তিলাওয়াতের পর ১০ বার সূরা -ই ইখলাস পড়তে হবে ....... ৫. রেওয়ায়তে বর্ণিত হয়েছে যে ইমাম সাদিক ( আ .)কে জিজ্ঞেস করা হল : যে ব্যক্তি ১৫ রমযানের রাতে ইমাম হুসাইনের (আ.) মাযারে উপস্থিত থাকে তার ব্যাপারে আপনি কী বলেন ? তিনি ( আ.) বললেন : ঐ ব্যক্তিকে অভিনন্দন যে ১৫ রমযানের রাতে ইমাম হুসাইনের ( আ .) মাযারে ইশার নামাযের পরে ১০ রাকাত নামাজ আদায় করে - আর এ ১০ রাকাত রাতের নফল নামায হতে ভিন্ন - যার প্রতি রাকাতে সূরা -ই ফাতিহার পরে ১০ বার সূরা -ই ইখলাস পড়বে এবং মহান আল্লাহর কাছে জাহান্নামের আগুন থেকে পানাহ ( আশ্রয় ) চাইবে মহান হক ( আল্লাহ ) তায়ালা তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্ত বলে সাব্যস্ত করবেন এবং বেহেশতের সুসংবাদ দাতা ফেরেশতাদেরকে এবং দোযখের আগুন থেকে তাকে যে সব ফেরেশতা নিরাপদ রাখবে ও রক্ষা করবে তাদেরকে স্বপ্নে না দেখে এ দুনিয়া থেকে সে বিদায় নেবে না ।
১৫ রমযানের দিন অত্যন্ত মুবারক দিন । কারণ দ্বিতীয় হিজরীর এ দিনে বেহেশতের যুবকদের নেতা , রাসূলুল্লাহর ( সা.) প্রথম দৌহিত্র এবং ইমাম আলীর আ ) ও বেহেশতের নারীদের নেত্রী হযরত ফাতিমা যাহরার (আ.) জ্যৈষ্ঠ সন্তান , আহলুল বাইতের ( আ .) বারো ইমামের ২য় মাসূম ইমাম হযরত হাসান ( আ .) জন্ম গ্রহণ করেন । সুতরাং এ মহান ইমাম - ই হুমামের শুভ জন্মদিন উপলক্ষ্যে সবাইকে জানাচ্ছি আন্তরিক শুভেচ্ছা , তাবরীক ও তাহনিয়ত ( অভিনন্দন ) । মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে এ মহান ইমামের যথাযথ অনুসরণ ও ইতাআত করার তৌফিক দিন এবং আমাদেরকে সেই জান্নাতে প্রবেশ করান যার যুবকদের নেতৃদ্বয়ের একজন হচ্ছেন ইমাম হাসান মুজতাবা ( আ .) এবং অপরজন ইমাম আবু আব্দিল্লাহ হুসাইন সাইয়েদুশ শুহাদা ( আ .) । স্মর্তব্য যে জান্নাতবাসী নরনারী সবাই হবে যুবক যুবতী এবং তাদের মধ্যে থাকবে না কোনো বৃদ্ধ বৃদ্ধা এবং প্রৌঢ় প্রৌঢ়া । সহীহ মুতাওয়াতির ( অকাট্য সূত্রে প্রতিষ্ঠিত ) হাদীসে বর্ণিত আছে : মহানবী ( সা.) বলেছেন : হাসান ও হুসাইন বেহেশতের যুবকদের নেতা ।
( চলবে ) প্রথম পর্ব সমাপ্ত