۱ آذر ۱۴۰۳ |۱۹ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 21, 2024
পবিত্র কুরআন
পবিত্র কুরআন

হাওজা / ইরানের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্তা, অধ্যাপক এবং ধর্মীয় গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন ড. নাসের রাফেয়ী তার এক বক্তৃতায় পবিত্র কুরআনের বিষয়বস্তু এবং আয়াতের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার গুরুত্ব এবং তাৎপর্যের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন।

অনুবাদ: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মির্জা মুহাম্মাদ শামীম

ইরানের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্তা, অধ্যাপক এবং ধর্মীয় গবেষক হুজ্জাতুল ইসলাম ওয়াল মুসলেমিন ড. নাসের রাফেয়ী তার এক বক্তৃতায় পবিত্র কুরআনের বিষয়বস্তু এবং আয়াতের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার গুরুত্ব এবং তাৎপর্যের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি এ ব্যাপারে সূরা আনকাবূতের উপর দৃষ্টিপাত করে বলেন:

«بَلْ هُوَ آيَاتٌ بَيِّنَاتٌ فِي صُدُورِ الَّذِينَ أُوتُوا الْعِلْمَ وَمَا يَجْحَدُ بِآيَاتِنَا إِلَّا الظَّالِمُونَ»

প্রকৃতপক্ষে এটা (কুরআন) সুস্পষ্ট আয়াতসমূহের সমষ্টি হিসেবে তাদের হৃদয়ে বিদ্যমান যাদের জ্ঞান দান করা হয়েছে; এবং অবিশ্বাসীরা ভিন্ন কেউ আমাদের আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে না।

সূরা আনকাবূত, আয়াত: ৪৯

এই আয়াতে জোর দেওয়া হয়েছে যে, যাদের বোঝার ক্ষমতা রয়েছে, তাদের জন্য পবিত্র কুরআন খুবই স্পষ্ট, কিন্তু যাদের বোঝার ক্ষমতা নেই তারা পবিত্র কুরআন থেকে তো উপকৃত হয় না, বরং এই আয়াতগুলোকে অস্বীকার করে।

পবিত্র কুরআনের প্রতি আমাদের প্রথম দায়িত্ব হল, কুরআন শেখা এবং সঠিকভাবে পড়ার চেষ্টা করা।

কুরআনের প্রতি আমাদের দ্বিতীয় দায়িত্ব হলো কোরআন তিলাওয়াত করা এবং কুরআন তিলাওয়াতের ক্ষেত্রে অধিক মনোযোগী হওয়া।

পবিত্র কুরআনের প্রতি আমাদের তৃতীয় দায়িত্ব হলো কুরআন তিলাওয়াত শোনা। এ ব্যাপারে মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের সূরা আ’রাফে বলেছেন:

وَإِذَا قُرِئَ الْقُرْآنُ فَاسْتَمِعُوا لَهُ وَأَنْصِتُوا لَعَلَّكُمْ تُرْحَمُونَ ﴿۲۰۴﴾

এবং যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন তোমরা মনোযোগ সহকারে তা শ্রবণ কর এবং নীরব থাক, যাতে তোমাদের প্রতি অনুগ্রহ বর্ষিত হয়।

সূরা আ’রাফ, আয়াত: ২০৪

আমাদের চতুর্থ দায়িত্ব হলো কুরআনকে সম্মান করা। পবিত্র কুরআনের অসম্মান করা বা ভুল জায়গায় রাখা অনেক খারাপ কাজ।

আমাদের পঞ্চম দায়িত্ব হলো কুরআন নিয়ে চিন্তা করা। * আল্লামা তাবাতাবায়ী বলেছেন: “আমি প্রতিদিন ১০ পারা কুরআন তিলাওয়াত করি। কিন্তু প্রতিদিন একটি আয়াত নিয়ে গভীর চিন্তা করি, কারণ গভীর চিন্তার অর্থ হল পবিত্র কুরআনের অর্থের প্রতি অধিক মনোযোগী ও সতর্ক হওয়া।

কুরআনের প্রতি আমাদের ষষ্ঠ দায়িত্ব হল এর অনুশীলন ও অনুকরণ করা। অর্থাৎ পবিত্র কুরআন অনুযায়ী আমাদের দৈনন্দিন জীবন পরিচালনা করা।

যারা কুরআন তিলাওয়াত করে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করে না, তাদের ব্যাপারে রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে, অনেকে কুরআন তিলাওয়াত করে, কিন্তু কুরআন তাদেরকে অভিশাপ দেয়; কারণ তারা কুরআনের আয়াত অনুসরণ করে না।

পবিত্র কুরআনের প্রতি আমাদের সপ্তম দায়িত্ব হল তা হেফজ বা মুখস্থ করা; আমাদেরকে যতটা সম্ভব কুরআন মুখস্থ করতে হবে।

সাইয়্যেদ মোহাম্মদ হোসাইন তাবাতাবায়ী, যিনি আল্লামা তাবাতাবায়ী (১৯০৪-১৯৮১) নামে অধিক পরিচিত। তিনি একাধারে মুফাস্সিরে কুরআন, দার্শনিক, আইনবিদ এবং ইসলামী পণ্ডিত ছিলেন। তার লেখা গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থসমূহের মধ্যে তাফসিরে আল-মিজান, উসুলে ফালসাফে (দর্শনের নীতি) এবং রাভেশে রুয়ালিসিম (বাস্তববাদের পদ্ধতি) প্রমুখ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .