۹ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۹ شوال ۱۴۴۵ | Apr 28, 2024
শিয়াদের অকাট্য জবাব
শিয়াদের অকাট্য জবাব

হাওজা / মুসলিম মনীষীবর্গের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে সবাইকে সর্তক করে দেয়া যে, যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে সাম্রাজ্যবাদীদের আগ্রাসী নীতি হতে কোন মুসলিম দেশ ও দল রক্ষা পাবে না।

মুল: হযরত আয়াতুল্লাহ আল উযমা মাকারেম শিরাজী

ভাষান্তর: মোহাম্মাদ মিজানুর রহমান

বইটির ভূমিকার অংশবিশেষ-

বাস্তবিক অর্থে চলমান বিশ্বের তুফান মোকাবেলায় মুসলিম উম্মাহর মাঝে পর্যাপ্ত ঐক্য ও সংহতি গড়ে উঠেনি।

এমনটির নেপথ্যে আমরা কয়েকটি প্রধান কারণ খুঁজে পাই; যথা:

১. ঐক্য প্রতিষ্ঠার নিমিত্তে যেসব উদ্যোগ গৃহীত হয়েছে তা পর্যাপ্ত ও কার্যকরী ভুমিকা রাখতে পারেনি। এগুলো এখনও মুসলমানদের চিন্তা ও চেতনার অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারেনি, যার কারণে তারা এখনও এক পতাকাতলে সমবেত হতে সক্ষম হয় নি।

২. ইসলামের দুশমনরা মুসলিম উম্মাহর বিভিন্ন মাযহাবের মাঝে মতভেদ, দলাদলি ও হানাহানি ছড়িয়ে দেয়ার হীন উদ্দেশ্য সুদূরপ্রসারী চক্রান্তে লিপ্ত। তারা তাদের হীন উদ্দেশ্যকে সফল করতে পর্যাপ্ত পুঁজি বিনিয়োগের মাধ্যমে উগ্র ও ধর্মান্ধ গোষ্ঠীগুলোকে ইন্ধন যোগাচ্ছ।

উদাহরণস্বরুপ:

ক. নির্ভরযোগ্য তথ্যর ভিত্তিতে প্রাপ্ত সংবাদ জানান হয়েছে যে, সম্প্রতি সৌদি আরবের ধর্মান্ধ ওয়াহাবী সম্প্রদায় পবিত্র হজ্বের মৌসুমে মুসলমানদের মাঝে বিভ্রান্তিকর প্রচারণার উদ্দেশ্য প্রায় এক কোটির উর্দ্ধে বিতর্কিত বই-পুস্তক (যেগুলো মূলত শিয়া মাযহাবের অনুসারীদের আকিদা সম্পর্কে অন্যান্য মুসলমানদেরকে বিষিয়ে তোলার নিমিত্তে লিখিত) সাধারণ হাজীদের মাঝে বিতরণ করেছে। মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক পবিত্র হজ্বকে তারা এভাবে অনৈক্য ও বিভেদের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করেছে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হচ্ছে প্রতি বছরই হজ্বের মৌসুমে তারা এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি করছে।

খ. ওয়াহাবী সম্প্রদায়ের খতিব ও মুফতিরা গোঁড়ামি মানসিকতার বশবর্তী হয়ে প্রতি বছর হজ্বের মৌসুমে মুসলমানদের মাঝে অনৈক্য ছড়ানোর নিমিত্তে বিভ্রান্তিকর প্রচারণায় লিপ্ত থাকে।

গ. পাকিস্তানের সিপাহী সাহাবা নামক একটি উগ্র গোষ্ঠিকর্তৃক নিরীহ ও নিরপরাধ শিয়া মুসলমানদের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে দুঃখজনক হচ্ছে তারা এহেন কাপুরুষোচিত হামলাকে নিজেদের জন্য গর্বের পরিচয় মনে করে কিছুদিন পরপর এগুলোর পুনরাবৃত্তি ঘটাচ্ছে।

ঘ. তালেবান, আল কায়েদা এবং আই এস'র ন্যায় উগ্রপন্থী দলগুলোর (যে দলগুলো আমেরিকার ছত্রছায়ায় সংগঠিত হয়েছে) ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম ইসলামের বিরুদ্ধে সাম্রাজ্যবাদীদের গভীর চক্রান্তের অন্যতম নমুনা। তারা এসব উগ্রপন্থী দলকে ব্যবহার করে একদিকে পবিত্র ইসলামকে মানবতা বিরোধী, সভ্যতা বিবর্জিত এবং উগ্র ধর্ম হিসেবে তুলে ধরছে; অপর দিকে মুসলমানদের মাঝে ভেদাভেদকে বাড়িয়ে দিচ্ছে। পরিণতিতে সাম্রাজ্যবাদীদের ছত্রছায়ায় গড়ে ওঠা এ গোষ্ঠিগুলো ঘটনাচক্রে তাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে এবং এখন তাদের বিরুদ্ধেই ছোবল তুলেছে।

কতিপয় মুসলিম সরকার প্রধানদের অদূরদর্শিতা; যারা মুসলিম জাহানের বৃহত্তর স্বার্থকে উপেক্ষা করে নিজেদের ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য মত্ত হয়ে আছে। যা মুসলিম উম্মাহর মাঝে সুদৃঢ় ও স্থায়ী ঐক্য গড়ে তোলার পথে অন্তরায় সৃষ্টি করছে।

উদাহরণস্বরূপ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি মুসলিম দেশের সরকার প্রধানরা নিজেদের ক্ষমতার মসনদকে পাকাপোক্ত করার নিমিত্তে অবৈধ রাষ্ট্র জায়নবাদী ইসরাইলের সাথে গোপন আঁতাত করে যাচ্ছে। এমনকি তারা এ ইহুদী রাষ্ট্রের সাথে যৌথ সামরিক মহড়াতেও অংশগ্রহণ করছে।

যাইহোক এহেন পরিস্থিতিতে মুসলিম মনীষীবর্গের প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে সবাইকে সর্তক করে দেয়া যে, যদি এ ধারা অব্যাহত থাকে তাহলে সাম্রাজ্যবাদীদের আগ্রাসী নীতি হতে কোন মুসলিম দেশ ও দল রক্ষা পাবে না। পাশাপাশি মুসলিম মাযহাবসমূহের বিভিন্ন আকিদা-বিশ্বাসকে পবিত্র কোরআন ও হাদীসের আলোকে বিশ্লেষণ করা, যাতে ইসলামের দুশমনদের বিষবাষ্প ছড়ানো এবং গোঁড়ামি ও ধর্মান্ধ গোষ্ঠিগুলোর অপব্যবহারের কোন সুযোগ না থাকে।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .