হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল ছিল ১২-ই জুলাই ৷ আজ থেকে দু বছর পূর্বে এই দিনে ২০২০ সালে জনাব মৈজুদ্দিন সাহেব ইন্তেকাল করেন ৷
দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলা হাট থানার অন্তর্গত হাচকি গ্রামের সম্মানিত ব্যক্তি ছিলেন তিনি ৷ মরহুম নূরূল ইসলাম খান সাহেবের বন্ধু ছিলেন জনাব মৈজুদ্দিন সাহেব ৷ দুই বন্ধু জামায়াতে ইসলামী হিন্দের সংগঠনে ছিলেন দীর্ঘদিন ৷ পরে কিতাব বই পত্র পত্রিকা পাঠ করে আহলে বাইতের পথে আসেন দুজনে ৷
এই ঢোলাহাট অঞ্চলে আহলে বাইতের পথকে মানুষের মনের দ্বারে পৌঁছে দিতে আত্ম নিবেদিন করেছেন সারা জীবন ৷ আহলে বাইতের প্রচারের জন্য বই ছাপানোর আর্থিক সাহায্য করেছেন মৈজুদ্দিন সাহেব, যাতে মানুষ বই পড়ে এই হকের পথকে বুঝতে সক্ষম হন ৷
বহু পরিশ্রম করে চিন্তাভাবনার দ্বারা আহলে বাইতের আর্দশকে মানুষের সামনে তুলে ধরার জন্য নানান প্রচেষ্টা চালিয়েছেন ৷
মরহুম মওলানা আব্বাস আলী যাঈদী সাহেবের সাথেও বহু কাজ করেছেন তিনি ৷
পরিশেষে জীবনের শেষের দিকে আল্লাহর ঘরে হজ সেরেছেন এবং ইমাম হুসাইন আঃএর রৌজা গিয়ে যিয়ারত করে এসেছিলেন ৷
গতকাল ছিল তার মৃত্যুবার্ষিকি, তার সুযোগ্য সন্তান ও আত্মীয়গন মিলিত প্রচেষ্টায় এই অনুষ্টানের আয়োজন করেন ৷
অনুষ্টানের প্রারম্ভেই পবিত্র কোরআন তেলায়ত করেন হাফেজ আঃ মাতিন সাহেব ৷
পবিত্র আনুষ্টানের মাধ্যমে আহলে বাইতের আলোচনাকে বক্তব্য আকারে পেশ করতে উপস্থিত ছিলেন জনাব মওলানা হাবিবুল্লাহ খান, উপস্থিত আমন্ত্রিত মানুষের সামনে মওলানা হবিব সাহেব বলেনঃ "পিতা মাতার সঙ্গে সদাচারন করার আদেশ আল্লাহপাক দিয়েছেন ৷
উপস্থিত ছিলেন সত্যের পথে পত্রিকার সম্পাদক জনাব মুস্তাক আহমদ, তিনি বলেনঃ গাদীরে খুমে নবীপাক যে 'বেলায়তের ঘোষণা দিয়েছেন, তার বিষয়ে আমাদের আন্তর্জাতিক ভাবে সচেতন হতে হবে এবং ইসলামের শত্রুকে পরাস্ত করতে বেলায়তে আলীর বাস্তবতার প্রকাশকে আঁকড়ে ধরতে হবে ৷
পরিশেষে কবর যিয়ারত ও দোয়া খায়েরের মাধ্যমে অনুষ্টানের পরিসম্পাত্তি করা হয় ৷
এছাড়া বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্মৃতিচারণ করেন মওলানা মোকাব্বির হাসান খান