۹ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۹ شوال ۱۴۴۵ | Apr 28, 2024
আশুরার দিবসে ইমাম হুসাইনের ( আ :) শাহাদাত
আশুরার দিবসে ইমাম হুসাইনের ( আ :) শাহাদাত

হাওজা / আশুরার দিবসে ইমাম হুসাইনের ( আ :) শাহাদাত , গাদ্দার বিশ্বাস ঘাতকদের থেকে প্রকৃত মুসলিম উম্মাহকে শনাক্ত করার মাপকাঠি ।

মুহাম্মাদ মুনীর হুসাইন খান (মুহররম, ১৪৪৪ হি.)

পর্ব ৮- মুবাহালার আয়াতের ( আল -ই ইমরান : ৬১ ) শা'নে নুযূলে হাদীস :

আমির ইবনে সা'দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস , স্বীয় পিতা সা'দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস ( রা:) থেকে বর্ণনা করেছেন : তিনি ( সা'দ ) বলেন : " অত:পর এস , আমরা আহ্বান করি আমাদের পুত্র সন্তান দেরকে এবং (তোমরা আহ্বান কর ) তোমাদের পুত্র সন্তানদেরকে , আমাদের নারীগণকে ও তোমাদের নারীগণকে , আমাদের নিজ সত্তাদেরকে ও তোমাদের নিজ সত্ত্বাদেরকে ; অত:পর আমরা বিনীত ভাবে আবেদন করি এবং মিথ্যাবাদীদের উপর দেই আল্লাহর লানত ( অভিশাপ) ( সূরা - ই আল- ই ইমরান : ৬১ ) । " ------ এ আয়াত টি যখন অবতীর্ণ হয় তখন রাসূলুল্লাহ ( সা:) আলী , ফাতিমা , হাসান ও হুসাইনকে ( আ :) ঠেকে আনলেন এবং বললেন : " হে আল্লাহ , এরাই আমার আহল ( অর্থাৎ আহলুল বাইত ) । " আবূ ঈসা বলেন : এই হাদীসটি হাসান গরীব সহীহ । দ্র : প্রাগুক্ত সহীহ সুনান আত তিরমিযী , পবিত্র কুরআনের তাফসির অধ্যায , অনুচ্ছেদ ৪ : সূরা- ই আল - ই ইমরান সংক্রান্ত , হাদীস নং ২৯৯৯ , পৃ : ৭৯৮ )

হযরত আনাস ইবনে মালেক ( রা:) বলেন যে রাসূলুল্লাহ ( সা:) যখন ফজরের নামাজের জন্য বের হতেন তখন ৬ মাস হযরত ফাতিমার ( আ:) গৃহের দরজার পাশ দিয়ে গমণ করতেন আর ঐ অবস্থায় বলতে থাকতেন : হে আহলুল বাইত ( আ:) নামায : নিশ্চয়ই মহান আল্লাহ চান ( হে নবীর - সা: - ) আহলুল বাইত তোমাদের থেকে সব রিজস ( পাপ - পঙ্কিলতা , অপবিত্রতা নোংরামি ) দূর এবং তোমাদেরকে পবিত্র করার মতো ( সম্পূর্ণ রূপে ) পবিত্র করতে ( সূরা - ই আহযাব : ৩৩ ) । তিনি ( তিরমিযী ) বলেন : এটি হাসান হাদীস , গরীব .... । আর এই অনুচ্ছদে : আবূল হামরা , মা'ক্বিল ইবনে ইয়াসার ও উম্মে সালামাহ থেকেও অনুরূপ হাদীস বিদ্যমান আছে । ( প্রাগুক্ত সহীহ সুনান আত তিরমিযী , পবিত্র কুরআন তাফসীর অধ্যায় , অনুচ্ছদ ৩৪ : সূরা - ই আহযাব , হাদীস নং ৩২০৬ , পৃ : ৮৫৫ )

( প্রসঙ্গত : উল্লেখ্য যে , বিচ্যুত জাহান্নামের কীট বনী উমাইয়া খিলাফত ও প্রশাসনের ভয়ে শুধু আল - আওযায়ী ও যুহরী নয় প্রায় সকল মুসলিম উম্মাহ এবং সকল রাবী ও হাদীস বিশারদ ( মুহাদ্দিস ) হযরত আলী , হযরত ফাতিমা , হাসান ও হুসাইনের (আলাইহিমুস সালাম) ফাযায়েলের হাদীস হয় একদম বর্ণনা করতেন না অথবা কালে ভদ্রে ( খুব কমই ) বর্ণনা করতেন । কারণ তাঁদের ফাযায়েলের হাদীস বর্ণনা করলে বর্ণনা কারীদেরকে বনী উমাইয়া খিলাফত ও প্রশাসন বিভিন্ন ধরনের শাস্তি প্রদান করত এবং তাঁদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা হত। আর মুহাদ্দিসগণ আলী , ফাতিমা , হাসান ও হুসাইন ব্যতীত অন্য যে কোনো সাহাবার ফযীলতের হাদীস বর্ণনা করলে তাদেরকে উৎসাহিত বা পুরস্কৃত করা হত এবং তাদের সামাজিক মর্য্যাদা ও সম্মান বৃদ্ধি পেত । আর এ ভাবে মহানবীর আহলুল বাইতের ফাযায়েলের হাদীস আর জনসাধারণের মাঝে প্রচারিত হতো না এবং মুসলিম উম্মাহ তাঁদের ফাযায়েল সম্পর্কে অজ্ঞই থেকে যায় । অবস্থার এতটাই অবণতি হয়েছিল যে বনী উমাইয়া খিলাফত ও প্রশাসন জনগণ অর্থাৎ মুসলিম উম্মাহর অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে ইমাম হুসাইনকে (আ:) কারবালায় শহীদ করতে সক্ষম হয় এবং এমনকি সমগ্র মুসলিম বিশ্বে প্রচার করতে থাকে যে ইমাম হুসাইন ও তাঁর সমর্থক অনুসারীরাই ( শিআরা ) ইসলাম থেকে বের ( খারিজ ) হয়ে গেছে ও বিচ্যুত হয়েছে ( নাঊযু বিল্লাহ ) এবং আহলুল বাইতকে প্রকাশ্যে মসজিদ সমূহে নামাজের পর গালি দেয়ার জঘন্য বিদআত চালিয়ে যেতে থাকে যা প্রবর্তন করেছিল স্বয়ং মুআবিআ নিজেই । সহীহ তিরমিযীতে বর্ণিত হয়েছে : আমির ইবনে আবী ওয়াক্কাস স্বীয় পিতা সা'দ ইবনে আবী ওয়াক্কাস ( সাহাবী) থেকে বর্ণনা করেছেন : মুয়াবিয়া ইবনে আবী সুফিয়ান সা'দকে আমীর নিযুক্ত করে বলল : আবূ তুরাবকে ( হযরত আলী - আ: - ) গালি দেয়া থেকে আপনাকে কোন্ জিনিস বিরত রেখেছে ? ( ( অর্থাৎ আপনি কেন আলীকে - আ: - গালি দেন না ? )) তখন সা'দ বললেন : যে তিনটি বিষয় ( ফাযায়েল ) রাসূলুল্লাহ ( সা:) ( হযরত আলীর - আ: - ব্যাপারে ) বলেছেন তা আমি যত দিন স্মরণ করব ততদিন আমি কখনোই তাঁকে

গালি দিব না ; আর এই তিন ফযীলতের যে কোনো একটিরও অধিকারী যদি আমি হই তাহলে তা আমার কাছে লাল কপাল ও ললাট বিশিষ্ট চতুষ্পদ জন্তুর চেয়েও অধিকার প্রিয় হবে । যখন আলীকে কোন এক গাযওয়ায় ( যে যুদ্ধ ও জিহাদে রাসূলুল্লাহ সা: নিজে উপস্থিত থাকতেন তা গাযওয়া বলে অভিহিত ) মদীনায় ভারপ্রাপ্ত প্রতিনিধি নিযুক্ত করে রেখে যাচ্ছিলেন তখন আলী তাঁকে বললেন : " হে রাসূলুল্লাহ ( সা:) আপনি কি আমাকে নারী ও শিশু দের মধ্যে রেখে যাচ্ছেন ?! আমি রাসূলুল্লাহকে " ( হযরত আলীর এ কথার জবাবে ) বলতে শুনেছি । তিনি আলীকে বললেন : " তুমি কি এতে সন্তুষ্ট নও যে কেবল আমার পরে নুবুওয়ত ব্যতীত মূসার কাছে হারূন যেমন ছিলেন ঠিক তেমন তুমি আমার কাছে হবে ? " , খাইবর বিজয়ের দিন তাঁকে (মহানবী সা:) আমি বলতে শুনেছি : আমি অবশ্যই এমন এক ব্যক্তির হাতে পতাকা অর্পণ করব যে মহান আল্লাহকে এবং তাঁর রাসূলকে ( সা:) ভালবাসে এবং যাঁকে মহান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলও ভালবাসেন । তিনি ( সা'দ ) বললেন : " অত:পর আমরা সবাই তা ( ঐ পতাকা ) পাওয়ার আশা করছিলাম । কিন্তু তিনি ( সা:) বললেন : " আমার কাছে আলীকে ডেকে আন । " অত :পর তাঁর কাছে আলী আসলেন । কিন্তু তিনি চোখ ওঠার রোগে আক্রান্ত ছিলেন । মহানবী ( সা:) তাঁর চোখে থুথু লাগিয়ে দিয়ে ( এটা ছিল মহানবীর সা: মু'জিযা )

তাঁর হাতে পতাকা তুলে দিলেন । আর মহান আল্লাহ তাঁর হাতে বিজয় দিলেন ( অর্থাৎ খাইবর দুর্গ বিজিত হল ) । অত:পর এসো , আমরা আহ্বান করি আমাদের পুত্র সন্তান দেরকে এবং (তোমরা আহ্বান কর ) তোমাদের পুত্র সন্তানদেরকে , আমাদের নারীগণকে ও তোমাদের নারীগণকে , আমাদের নিজ সত্তাদেরকে ও তোমাদের নিজ সত্ত্বাদেরকে ; অত:পর আমরা বিনীত ভাবে আবেদন করি এবং মিথ্যাবাদীদের উপর দেই আল্লাহর লানত ( অভিশাপ) ( সূরা - ই আল - ই ইমরান : ৬১ ) ---- এ আয়াতটি ( যা মুবাহালার আয়াত নামে প্রসিদ্ধ তা ) নাযিল হলে রাসূলুল্লাহ ( সা : ) আলী, ফাতিমা , হাসান ও হুসাইনকে ডেকে আনলেন এবং বললেন : " হে আল্লাহ এরাই আমার আহল ( আহলুল বাইত ) । " আবূ ঈসা ( ইমাম তিরমিযী ) বলেন : এ হাদীসটি হাসান সহীহ গরীব .... । ( দ্র : প্রাগুক্ত সহীহ সুনান আত তিরমিযী , কিতাবুল মানাক্বিব , হযরত আলীর মানাক্বিব সংক্রান্ত অধ্যায় : ২১ , হাদীস নং ৩৭৩৩ , পৃ: ৯৮০ ) ।…চলবে…

تبصرہ ارسال

You are replying to: .