হাওজা নিউজ বাংলা রিপর্ট অনযিায়ী, বুধবার বাহরাইনের সিনিয়র ধর্মীয় নেতা এবং ইসলামী আন্দোলনের প্রধান আয়াতুল্লাহ শেখ ইসা কাসিম টুইটারে এক বিবৃতিতে নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন।
বাহরাইনের রাজতন্ত্র দ্বারা পরিচালিত নির্বাচন আত্ম-পরাজয় ছাড়া কিছুই নয়। তিনি বলেন, এ ধরনের ভোটে অংশ নেওয়া যুক্তি, শরিয়ত ও চিন্তাধারার পরিপন্থী।
বাহরাইনের ইসলামী আন্দোলনের প্রধান বলেন, এমন নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করা উচিত যাতে জনগণের সমস্যা ও ইস্যুকে উপেক্ষা করা হয় এবং স্বৈরাচারের প্রচার করা হয়।
উল্লেখ্য, অক্টোবর মাসে বাহরাইনের সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এর আগেও বাহরাইনের প্রবীণ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ শেখ ইসা কাসিম বাহরাইনের জনগণকে ইহুদিবাদীদের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য ও লেনদেনের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।
আয়াতুল্লাহ শেখ ঈসা কাসিম বাহরাইনের জনগণকে ইহুদিবাদীদের দ্বারা জমি ও বাড়ি বিক্রির বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছিলেন এবং এটিকে ধর্ম, ইতিহাস এবং দেশ বিক্রির সামিল বলে অভিহিত করেছিলেন।
আয়াতুল্লাহ শেখ ঈসা কাসিম আরও বলেন, অর্থের বিনিময়ে ইহুদিবাদীরা শুধু বাহরাইনের জমি দখল করে না, তাদের বিবেককেও হত্যা করে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, আজ বাহরাইন একটি ইসলামি দেশ, কিন্তু আগামীকাল, জনসংখ্যার অনুপাত বিকৃত করার ইহুদিবাদীদের এজেন্ডায় এই দেশটি হবে ইহুদিবাদী ও মুসলমানদের দেশ।এবং এর পরবর্তী পর্যায়ে, বাহরাইন হবে একটি ইহুদিবাদী দেশ যেখানে মুসলমানদের পিষ্ট করা হবে।
আয়াতুল্লাহ শেখ ঈসা কাসিম বলেন, ইহুদিবাদীদের কাছে জমি বিক্রি করা মানে শুধু মাটি-পাথর বিক্রি নয়, জাতি, উম্মাহ এবং সব ধর্মীয় মূল্যবোধকে ইহুদিবাদের হাতে বিক্রি করা।
উল্লেখ্য, আল-খলিফা সরকার বাহরাইনে একটি ইহুদিবাদী ভূখণ্ড গড়ে তোলার ষড়যন্ত্র করেছে, যা এই ইসলামি ভূখণ্ডে ইসরাইলের দখলদারিত্বের আশঙ্কা তৈরি করেছে।
বাহরাইনে ২০১১ সালে আলে-খলিফার স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে একটি জনপ্রিয় আন্দোলন শুরু হয়েছিল, যা রাজকীয় সরকার রিয়াদের সহায়তায় ব্যর্থভাবে দমন করার চেষ্টা করেছিল।
বাহরাইনের জনগণ স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার ও গণতন্ত্র ভিত্তিক সরকার চায়, কিন্তু আলে-খলিফা জনগণের আন্দোলনকে দমন করতে এবং জনগণের দাবিকে দমন করতে এদেশের শত শত নাগরিককে হত্যা করেছে এবং হাজার হাজার মানুষকে আহত ও কারারুদ্ধ করেছে।
আলে-খলিফা কয়েক হাজার বিরোধীদের নাগরিকত্বও কেড়ে নিয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো বাহরাইনের স্বৈরাচারী সরকারের কারাগারে নিয়মতান্ত্রিক নির্যাতনের নিন্দা করেছে এবং রাজনৈতিক সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে।
বাহরাইনের রাজকীয় সরকার তার ক্ষমতা বাঁচাতে সৌদি আরব, আমেরিকা ও ইসরাইলের সমর্থনের আশ্রয় নিচ্ছে, যার ফলে বাহরাইনের জনগণের দুঃখ-বেদনা বাড়ছে। রতকারীদের জন্য বাংলাদেশি ছাত্রদের পক্ষ থেকে একটি মৌকিব খোলা হয়েছে।