হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট সৈয়দ ইব্রাহিম রাইসি সাম্প্রতিক দিনগুলোতে শত্রুদের দ্বারা সৃষ্ট ষড়যন্ত্রকে দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার প্রচেষ্টা হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন: এমন অবস্থায় যে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান অর্থনৈতিক সমস্যায় ভুগছে এবং অঞ্চল ও বিশ্বে অধিকতর সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে গিয়ে শত্রুরা ইরানের অগ্রগতি ঠেকাতে দেশকে বিভক্ত করার চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছে, কিন্তু শত্রুর চক্রান্ত আবারও ব্যর্থ।
ইরানের বিরুদ্ধে পশ্চিমা মিডিয়ার অপপ্রচার এবং তাদের দ্বৈত মনোভাবের কথা উল্লেখ করে হুজ্জাতুল ইসলাম ইব্রাহিম রাইসি বলেন, এমন পরিস্থিতিতে যখন ইরানে মাহসা আমিনির মৃত্যুর ঘটনাটি সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সংবেদনশীলতা ও নির্ভুলতার সঙ্গে তদন্ত ও সমাধান করা হচ্ছে সকল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিচ্ছেন। কিন্তু শত্রুপক্ষ গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে।
ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রেসিডেন্ট আফগানিস্তানে মার্কিন সমর্থিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দ্বারা একটি মহিলা স্কুলে আত্মঘাতী বোমা হামলার বিষয়ে বিশ্বের নীরবতার কঠোর সমালোচনা করেছেন।
তিনি বলেন, মার্কিন মদদপুষ্ট সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সন্ত্রাসে এত বিপুল সংখ্যক মেয়ের মৃত্যুতে মানবাধিকার নেতারা নীরব কেন? পশ্চিমা দেশগুলো কিভাবে মানবাধিকার ও নারী অধিকারের কথা বলে?
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ইসলামী বিপ্লবের শত্রুদের দ্বারা পরিচালিত মিডিয়া মাহসা আমিনীর মৃত্যুকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে ইসলামী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে তরুণদের উস্কানি দিচ্ছে। এর ফলে ইরানের অনেক শহরে দাঙ্গাবাজ ও দুর্বৃত্তদের দ্বারা সরকারি সম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
বিক্ষুব্ধ জনতা যেখানে যানবাহন, মোটরসাইকেল, ব্যাংকে আগুন দিয়েছে, সেখানে নিরাপত্তাকর্মীদের ওপরও হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। দাঙ্গাবাজদের কর্মকাণ্ডে সমাজের সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হচ্ছে। একই সঙ্গে বিদেশ থেকে পরিচালিত সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এসব দাঙ্গায় ইন্ধন দেওয়া হচ্ছে।