মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান (১৯-১২-২০২২)
হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, কানাডা নিজেই মানবাধিকার লংঘন কারী দেশ ; এ দেশে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ১৫৬ বছর ধরে ক্যাথোলিক চার্চ পরিচালিত বোর্ডিং স্কুল সমূহ যে গুলো ছিল আসলে কসাই খানা সে সব স্কুলে হাজার হাজার আদিবাসী শিশুকে তাদের পরিবার ও গোত্র থেকে জোর করে ধরে এনে সভ্য ও শিক্ষিত করার নামে নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করে গোপন গণ কবর সমূহে দাফন করেছে ।
গত দুই দশকে হাজার হাজার আদিবাসী নারীকে কানাডা সরকার গুম করেছে যাদের হদিস আজ পর্যন্ত পাওয়া যায় নি । অপরাধীদের উপযুক্ত বিচার ও শাস্তি এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ না দিয়েই কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো শুধু মৌখিক ক্ষমা চেয়েই ক্ষান্ত থেকেছে ২০১৯ সালের জুনে ।
গত তিন চার শতাব্দি ধরে কানাডার আদিবাসীদের মেরে কেটে গণহত্যা চালিয়ে একেবারে খতম ও নিশ্চিহ্ন করেছে কানাডার বহিরাগত জবরদখলকারী শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয় অভিবাসীদের বর্ণবৈষম্যবাদী সরকার । এদের মুখে মানবতা ও মানবাধিকারের কথা মোটেও শোভা পায় না । মানবাধিকার লঙ্ঘন কারী কানাডা সরকার এখন মানবাধিকারের ধ্বজাধারী ! এ যেন ভূতের মুখে রাম রাম ধ্বনি উচ্চারণের মতো । নিজ দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন কারী কানাডা সরকার রাশিয়া ইরান সহ বিভিন্ন দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ।
আজ পর্যন্ত কানাডায় মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের বরং গণহত্যাকারীদের কোনো সাজা দেওয়াই হয় নি। আসলে কানাডার বহিরাগত শ্বেতাঙ্গ অভিবাসীরা সবাই অবৈধ ভাবে দেশটি জবরদখলকারী।
এতই যদি মানবতা ও মানবাধিকারের জন্য কানাডা সরকার ও শ্বেতাঙ্গ বহিরাগত জবরদখলকারী ইউরোপীয় অভিবাসীদের হৃদয় পুড়ে ও দরদ উতলায় তাহলে তাদের উচিত গোটা কানাডাকে বেঁচে থাকা অবশিষ্ট আদিবাসীদের কাছে হস্তান্তর করে সে দেশ ত্যাগ করে ইউরোপে প্রত্যাবর্তন করা ।
কারণ ঐ হতভাগ্য আদিবাসী রাই কানাডার প্রকৃত বাসিন্দা ও মালিক । আর শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয় বংশোদ্ভূত অভিবাসীরা অবৈধ জবর দখল কারী , হানাদার দখলদার গোষ্ঠী !! তখন বোঝা যাবে কত ধানে কত চাল? আর তা না করলে প্রমাণিত হয়ে যাবে যে কানাডার বহিরাগত দখলদার বর্ণ বৈষম্য বাদী শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয় অভিবাসীদের সরকার ও সরকার প্রধান ট্রুডো গং মিথ্যুক বাতিল ভণ্ড কপট জালেম মুনাফিক ক্রিমিনাল ( অপরাধী ) ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই বলতে হয় যে শুনলে মোদের হাসি পায় মানবাধিকার লঙ্ঘন কারী কানাডা সরকার মানবাধিকারের বুলি আওড়ায় ও অন্যদেরকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য নিষেধাজ্ঞা দেয় ।
আসলে কানাডার দখলদার অবৈধ সরকারের উচিত মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধে নিজেকে নিজেই দণ্ডিত করে নিজেকেই শাস্তি দেওয়া এবং নিজের বিরুদ্ধে নিজেরই নিষেধাজ্ঞা জারি করা!!!
তা কি করবে কানাডার দখলদার ভণ্ড জালেম ক্রিমিনাল বহিরাগত শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয় অভিবাসী সরকার ?!!