۳ آذر ۱۴۰۳ |۲۱ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 23, 2024
রমজানের প্রতিদিনের দোয়া
রমজানের প্রতিদিনের দোয়া

হাওজা / আর সে মাসেই তুমি ‘মহিমান্বিত কদরের রাত’ নির্ধারণ করেছো এবং তাকে হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ করেছো। তাইতো তোমাকে ডাকছি ওহে অনুগ্রহকারী! ওহে মিন্নতকারী তোমাকে তো কেউ অনুগ্রহের মিন্নত দিতে পারে না, আমাকে দোযখের আগুন থেকে মুক্তি দেয়ার মাধ্যমে আমার প্রতি অনুগ্রহ কর (তোমার মিন্নত আমার উপরই থাকুক), যাদের ওপর তুমি অনুগ্রহ কর আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত কর। তোমার রহমতের দ্বারা আমাকে অবশ্যই বেহেশতে প্রবেশ করিও, ওহে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু!

হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা ডক্টর সামিউল হক

بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِیمِ

বিস্ মিল্লাহির রাহমানির রাহীম

শুরু করছি করুণাময়, দয়ালু আল্লাহর নামে।

اللهُمَّ ارْزُقْنِي حَجَّ بَيْتِك الحَرامِ فِي عامِي هذا وَفِي كُلِّ عامٍ ما أَبْقَيْتَنِي فِي يُسْرٍ مِنْكَ وَعافِيَةٍ وَسَعَةِ رِزْقِ ،১-

উচ্চারণ: আল্লাহুম্মার যুকনি হাজ্জা বাইতিকাল হারাম ফি আমি হাযা ওয়া ফি কুল্লি আম, মা আবকাইতানি ফি ইউসরিম মিনকা ওয়া আফিয়াতিন, ওসাআতি রিযকিন,

অনুবাদ: হে আল্লাহ্‌! এ বছর ও যতদিন তুমি আমাকে এ পৃথিবীতে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য ও সুস্থ শরীরে জীবিত রাখ এবং আমার জীবিকা প্রশস্ত রাখ ততদিন প্রতি বছর আমাকে তোমার পবিত্র কাবা গৃহের হজ্ব করার সৌভাগ্য ও তৌফিক দান কর।

وَلا تُخْلِنِي مِنْ تِلْكَ المَواقِفِ الكَرِيِمَةِ وَالمَشاهِدِ الشَّرِيفَةِ ، وَزِيارَةِ قَبْرِ نَبِيِّكَ صَلَواتُكَ عَلَيْهِ وَآلِهِ ، وَفِي جَمِيعِ حَوائِجِ الدُّنْيا وَالآخرةِ فَكُنْ لِي.

উচ্চারণ: ওয়া লা তুখলিনী মিন তিলকাল মাওয়াকিফিল কারিমাহ, ওয়াল মাশাহিদিশ শারিফাহ, ওয়া যিয়ারাতি কাবরি নাবিয়্যিকা সালাওয়াতুকা আলাইহি ওয়া আলিহ, ওয়া ফি জামিয়ি হাওয়ায়িযিদ দুনয়া ওয়াল আখিরাহ।

অনুবাদ: হে আল্লাহ্‌! ঐসকল সম্মানিত স্থান, পবিত্র যিয়ারতগাহ এবং তোমার নবী, যার উপর এবং যার বংশধরের উপর তোমার দরূদ বর্শিত হয় তাঁর কবর যিয়ারত করার সৌভাগ্য থেকে আমাকে বঞ্চিত করো না। হে আল্লাহ্! তুমি আমার ইহকাল ও পরকালের কোন অভাবের ক্ষেত্রেই আমাকে একাকী ছেড়ে দিয়ো না, তুমি আমার হয়ে যাও।

اللّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ فِيما تَقْضِي وَتُقَدِّرُ مِنَ الاَمْرِ المَحْتُومِ فِي لَيْلَةِ القَدْرِ مِنَ القَضاء الَّذِي لايُرَدُّ وَلايُبَدَّلُ

উচ্চারণ: ফাকুন লি আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা ফিমা তাকজি ওয়া তুকাদ্দিরু মিনাল আমরিল মাহতুম ফি লাইলাতিল কাদরি মিনাল কাজায়িল্লাযি লা ইউরাদ্দু ওয়া লা ইউবাদ্দাল।

অনুবাদ: ওহে আল্লাহ্‌! লাইলাতুল কাদ্‌র বা মহিমান্বিত রজনীতে কাযা ও কাদ্‌র সংক্রান্ত যেসব অবশ্যম্ভাবী বিষয় তুমি নির্ধারণ কর যা ফেরানোও যাবে না এবং পরিবর্তিতও হবে না

أَنْ تَكْتُبَنِي مِنْ حُجَّاجِ بَيْتِكَ الحَرامِ المَبْرُورِ حُجُّهُم ، المَشْكُورِ سَعُيُهُم ، المَغْفُورِ ذُنُوبُهُم ، المُكَفَّرِ عَنْهُمْ سَيِّئاتُهُمْ ،

উচ্চারণ: আন তাকতুবালি মিন হুজ্জাজি বাইতিকাল হারাম, মাবরুরু হাজ্জুহুম, মাশকুরু সায়’য়ুহুমু, মাগফুরু যুনুবুহুম, মুকাফ্ফারি আনহুম সায়্যিয়াতুহুম।

অনুবাদ: সেক্ষেত্রে আমি প্রার্থনা করছি তোমার পবিত্র কাবা গৃহের ঐসব হজ্ব আদায়কারীদের মধ্যে আমাকে অন্তর্ভুক্ত কর যাদের হজ্ব পুণ্যময়, যাদের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়, যাদের পাপ ক্ষমা করা হয়েছে এবং যাদের অসৎ কাজসমূহের কাফ্‌ফারা আদায় করা হয়েছে।

وَاجْعَلْ فِيما تَقْضِي وَتُقَدِّرُ أَنْ تُطِيلَ عُمْرِي وَتُوَسِّعَ عَلَيَّ رِزْقِي ، وَتؤَدِّيَ عَنِّي أَمانَتِي وَدَيْنِي ، آمِينَ رَبَّ العالَمِينَ.

উচ্চারণ: ওয়াজ আল ফিমা তাকজি ওয়া তুকাদ্দিরু আন তুতিলা উমরি ওয়া তুয়াসসিয়া আলাইয়া রিযকি, ওয়া তুয়াদ্দিয়া আন্নি আমানাতি ওয়া দাইনি, আমিনা ইয়া রাব্বাল আলামিন।

অনুবাদ: হে আল্লাহ্! তুমি যা নির্ধারণ করেছে তার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত কর আমার দীর্ঘায়ু এবং প্রশস্ত জীবিকা। আমার হয়ে তুমি আমার যাবতীয় আমানত প্রদান ও ঋণ আদায় করে দাও, তুমি তো জগৎসমূহের প্রতিপালক!

২- اللّهُمَّ أَدْخِلْ عَلى أَهْلِ القُبُورِ السُّرُورِ ، اللّهُمَّ أَغْنِ كُلَّ فَقِيرٍ ، اللّهُمَّ اشْبِعْ كُلَّ جائِعٍ ،

আল্লাহুম্মা আদখিল আলা আহলিল কুবুরিস সুরুর। আল্লাহুম্মা আগনি কুল্লা ফাকির। আল্লাহুম্মা আশবি’ কুল্লা যায়ি’।

হে আল্লাহ্‌! যারা কবরে শায়িত আছে তাদেরকে সুখ-কাননে প্রবেশ করাও। হে আল্লাহ্‌! সমস্ত দরিদ্রকে সম্পদশালী করো। হে আল্লাহ্‌! প্রতিটি ক্ষুধার্তকে খাদ্য দারা তৃপ্ত কর।

اللّهُمَّ اكْسُ كُلَّ عُرْيانٍ ، اللّهُمَّ اقْضِ دَيْنَ كُلِّ مَدِينٍ ، اللّهُمَّ فَرِّجْ عَنْ كُلِّ مَكْروَبٍ ،

আল্লাহুম্মাকসু কুল্লা উরয়ান। আল্লাহুম্মাকদি দাইনা কুল্লি মাদিন। আল্লাহুম্মা ফাররিজ আন কুল্লি মাকরুব।

হে আল্লাহ্‌! সব বস্ত্রহীনদেরকে বস্ত্র পড়াও। হে আল্লাহ্‌! সকল ঋণীদের ঋণ পরিশোধ করে দাও। সব দুঃখীদের দুঃখ দূর করে দাও।

اللّهُمَّ رُدَّ كُلَّ غَرِيبٍ ، اللّهُمَّ فُكَّ كُلَّ أَسِيرٍ ، اللّهُمَّ أَصْلِحْ كُلَّ فاسِدٍ مِنْ أُمُورِ المُسْلِمِينَ ،

আল্লাহুম্মা রুদ্দা কুল্লা গারিব। আল্লাহুম্মা ফুক্কা কুল্লা আসির। আল্লাহুম্মা আসলিহ কুল্লা ফাসিদিন মিন উমুরিল মুসলিমিন।

হে আল্লাহ্‌! সকল প্রবাসিকে দেশে ফেরার তৌফিক দাও। হে আল্লাহ্‌

! সকল বন্দীকে মুক্ত কর। হে আল্লাহ্‌! মুসলমানদেরকে যাবতীয় বিশৃঙ্খলা থেকে মুক্ত কর।

اللّهُمَّ اشْفِ كُلَّ مَرِيضٍ ، اللَّهُمَّ سُدَّ فَقْرَنا بِغِناكَ ، اللّهُمَّ غَيِّرْ سُوءَ حالِنا بِحُسْنِ حالِكَ ،

আল্লাহুম্মাসফি কুল্লা মারিজ। আল্লাহুম্মা সুদ্দা ফাকরানা বিগিনাক। আল্লাহুম্মা গাইয়ির সুআ হালিনা বি হুসনি হালিক।

হে আল্লাহ্‌! সব রোগীদেরকে আরোগ্য দান কর। হে আল্লাহ্‌! তোমার প্রাচুর্যের দ্বারা আমাদের দারিদ্র্য মোচন কর। হে আল্লাহ্‌! আমাদের দুরাবস্থাকে তোমার বৈশিষ্ট্য দ্বারা সু-অবস্থায় পরিণত করে দাও।

اللّهُمَّ اقْضِ عَنّا الدَّيْنَ وَأَغْنِنِا مِنَ الفَقْرِ إِنَّكَ عَلى كُلِّ شَيْءٍ قَدْيرٌ .

আল্লাহুম্মাকদি আন নাদ্দাইনা ওয়া আগনিনা মিনাল ফাকরি। ইন্নাকা আলা কুল্লি শাইয়িন কাদীর।

হে আল্লাহ্‌! আমাদের ঋণ পরিশোধ করে দাও এবং আমাদের দারিদ্র্য ও অভাব দূর কর। কারণ তুমি তো সর্বশক্তিমান।

৩- اللّهُمَّ رَبَّ شَهْرَ رَمَضانَ الَّذِي أَنْزَلْتَ فِيهِ القُرْآنَ وَافْتَرَضْتَ عَلى عِبادِكَ فِيهِ الصِّيامَ ،

আল্লাহুম্মা রাব্বা শাহরা রামাজান আল্লাযি আনযালতা ফীহিল কুরআন ওয়াফ তারাজতা আলা ইবাদিকা ফীহিস ছিয়াম,

হে আল্লাহ্‌! হে রমযান মাসের প্রভু! এ মাসে তুমি পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ করেছ এবং এ মাসে তুমি তোমার বান্দাদের ওপর রোজা ফরজ করেছ।

صَلِّ عَلى مُحَمَّدٍ وَآلِ مُحَمَّدٍ وَارْزُقْنِي حَجَّ بَيْتِكَ الحَرامِ فِي عامِي هذا وَفِي كُلِّ عامٍ

ছাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলি মুহাম্মাদ, ওয়ারযুকনী হাজ্জা বাইতিকাল হারাম, ফী আমি হাযা ওয়া ফী কুল্লি আম,

হে আল্লাহ্‌! হযরত মুহাম্মাদ (সা.) ও তাঁর বংশধরদের ওপর সালাম ও দরূদ প্রেরণ কর। এ বছর এবং প্রতি বছর তোমার পবিত্র কাবা গৃহের হজ্ব করার তৌফিক দান কর।

وَاغْفِرْ لِي تِلْكَ الذُّنُوبَ العِظامَ فَإِنِّهُ لا يَغْفُرها غَيْرُكَ يا رَحْمنُ يا عَلامُ.

ওয়াগফিরলী তিলকায যুনুবাল ইযাম, ফাইন্নাহু লা ইয়াগফিরুহা গাইরাক, ইয়া রাহমানু ইয়া আল্লাম।

আমার সকল বড় পাপ ক্ষমা করে দাও। কেননা, তুমি ছাড়া আর কেউই পাপ ক্ষমা করতে পারে না। হে দয়ালু ও সর্বজ্ঞানী!

৪- يا عَلِيُّ يا عَظِيمُ، يا غَفُورُ يا رَحِيمُ، أَنْتَ الرَّبُّ العَظِيمُ الَّذِي لَيْسَ كَمِثْلِهِ شَيءٌ وَهُوَ السَمِيعُ البَصِيرُ،

ইয়া আলিয়্যূ ইয়া আজিম, ইয়া গাফুরু ইয়া রাহিম, আনতার রাব্বুল আজিমুল ল্লাযি লাইসা কামিসলিহি শাইউন, ওয়া হুয়াস সামীঊল বাছির।

ওহে সর্বোচ্চ! ওহে মহান! হে ক্ষমাশীল! হে দয়ালু! তুমিই মহিমান্বিত প্রভু, যার সমকক্ষ কোন কিছুই নেই। আর তিনি তো সর্বশ্রোতা ও সর্বদ্রষ্টা।

وَهذا شَهْرٌ عَظَّمْتَهُ وَكَرَّمْتَهُ وَشَرَّفْتَهُ وَفَضَّلْتَهُ عَلى الشُهُورِ وَهُوَ الشَّهْرُ الَّذِي فَرَضْتَ صِيامَهُ عَلَيَّ وَهُوَ شَهْرُ رَمَضانَ الَّذِي أَنْزَلْتَ فِيهِ القُرْآنَ هُدىً لِلناسِ وَبَيِناتٍ مِنَ الهُدى وَالفُرْقانِ،

ওয়া হাযা শাহরুন আযযামতাহু ওয়া কাররামতাহু ওয়া শাররাফতাহু ওয়া ফাজ্জালতাহু আলাশ শুহুর। ওয়া হুয়াশ শাহরুল ল্লাযি ফারাজতা সিয়ামাহু আলাইয়্যা। ওয়া হুয়া শাহরু রামাজান আল্লাযি আনযালতা ফিহিল কুরআন হুদাল লিন্নাসি ওয়া বাইয়্যিনাতিম মিনাল হুদা ওয়াল ফুরকান।

আর এটা এমন একটি মাস যাকে তুমি মহিমান্বিত, সম্মানিত ও মর্যাদাবান এবং সকল মাসের চেয়ে শ্রেষ্ঠ করেছো। আর এটাই সে মাস যে মাসে আমার উপর রোজা ফরজ করেছো, আর এটা সেই রমজান মাস যে মাসে অবতীর্ণ করেছো কোরআন, মানব জাতির হেদায়েতের জন্য; এবং হেতায়েত প্রদর্শন ও সত্য-মিথ্যার স্পষ্ট পার্থক্য করার লক্ষ্যে।

وَجَعَلْتَ فِيهِ لَيْلَةَ القَدْرِ وَجَعَلْتَها خَيْراً مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ فَياذا المَنِّ وَلا يُمَنُّ عَلَيْكَ مُنَّ عَلَيَّ بِفَكَاكِ رَقَبَتِي مِنَ النّارِ فِي مَنْ تَمُنُّ عَلَيْهِ وَأَدْخِلْنِي الجَنَّةَ بِرَحْمَتِكَ يا أَرْحَمَ الرَّاحِمِينَ.

ওয়া জাআলতা ফিহি লাইতাল কাদর, ওয়া জাআলতাহা খাইরাম মিন আলফি শাহর, ফায়া যাল মান্নি ওয়া লা ইউমান্নু আলাইক, মুন্না আলাইয়্যা বিফাকাকি রাকাবাতি মিনান নার। ফি মান তামুন্নু আলাইহ। ওয়াদ খিলনিল জান্নাতা বিরাহমাতিকা ইয়া আর হামার রাহীমীন।

আর সে মাসেই তুমি ‘মহিমান্বিত কদরের রাত’ নির্ধারণ করেছো এবং তাকে হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ করেছো। তাইতো তোমাকে ডাকছি ওহে অনুগ্রহকারী! ওহে মিন্নতকারী তোমাকে তো কেউ অনুগ্রহের মিন্নত দিতে পারে না, আমাকে দোযখের আগুন থেকে মুক্তি দেয়ার মাধ্যমে আমার প্রতি অনুগ্রহ কর (তোমার মিন্নত আমার উপরই থাকুক), যাদের ওপর তুমি অনুগ্রহ কর আমাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত কর। তোমার রহমতের দ্বারা আমাকে অবশ্যই বেহেশতে প্রবেশ করিও, ওহে সর্বশ্রেষ্ঠ দয়ালু!

تبصرہ ارسال

You are replying to: .