মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, মার্কিন অ্যানালাইটিক্যাল প্রতিষ্ঠান গ্যালাপের তথাকথিত জরিপে প্রকাশ : " মধ্যপ্রাচ্যের ১৩ টি দেশের জনগণের মধ্যে ইরানের চেয়ে সৌদি নেতৃবৃন্দের জনপ্রিয়তা নাকি বেশি!!! "
এ পরিসংখ্যান ও জরিপ তৈরি করা হয়েছে মার্কিন অ্যানালাইটিক্যাল প্রতিষ্ঠান গ্যালাপ কর্তৃক । তাই সহজেই অনুমেয় যে তাদের জরিপ ও পরিসংখ্যান কতটা বস্তুনিষ্ঠ , বাস্তব , সত্য ও সঠিক হবে !! ইরান পশ্চিমাদের বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শত্রুপক্ষ ও চক্ষুশূল । আর পশ্চিমারা বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন তাদের শত্রু ও প্রতিপক্ষকে সবসময় তথাকথিত মনগড়া ম্যানিপুলেটেড বানোয়াট জরিপ, সমীক্ষা ও পরিসংখ্যান দেখানোর মত বিভিন্ন মিথ্যা প্রক্রিয়ায় অজনপ্রিয় দেখিয়েই থাকে এবং এ ক্ষেত্রে তারা খুবই ওস্তাদ ও সিদ্ধহস্তও বটে । পাশ্চাত্য সত্যকে মিথ্যা ও মিথ্যাকে সত্য দেখানোর ক্ষেত্রেও খুবই পারঙ্গম ও দক্ষ । এ ধরনের গর্হিত অন্যায় কাজ তারা হর-হামেশা করেই থাকে।
শুধু ইরান কেন ভেনেজুয়েলা, উত্তর কোরিয়া , কিউবা , রাশিয়া , চীন ইত্যাদি দেশের ক্ষেত্রেও বহু উদ্ভট গাঁজাখুরি তথ্য , পরিসংখ্যান, বিকৃত ও মিথ্যা খবরও পরিবেশন করে থাকে পশ্চিমারা । ইরানের প্রতিবেশী ১৩ টা দেশের জনগণের মধ্যে ইরানের চেয়ে সৌদি আরবের নেতাদের জনপ্রিয়তার যে জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে তাতে এমনকি লেবানন , ইরাক , ইয়েমেনেও সৌদি নেতৃবর্গের জনপ্রিয়তা ইরানের চেয়ে নাকি ঢেড় বেশি । এ কেমন কথা ? এটা নি:সন্দেহে গাঁজাখুরি ডাহা মিথ্যা কথা ছাড়া আর কিছু কী ? কারণ এই পশ্চিমারাই বলে থাকে যে ইরানের প্রভাব বলয়ের মধ্যে রয়েছে গাযা, লেবানন, সিরিয়া , ইরাক ও ইয়েমেন । আর ইরান নাকি এদেশ গুলোর সরকার ও রাজধানী কন্ট্রোল করে । এটা কিভাবে সম্ভব ? গণ সমর্থন না থাকলে এবং ইরানের প্রতি ঐ সব দেশের জনগণের সুধারণা না থাকলে ঐ সব দেশের সরকার চরম মার্কিন বিরোধী হয়েও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপস্থিতিতে শুধু ইরানের সমর্থন নিয়ে কিভাবে টিকে থাকতে পারে? আর
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সব দেশের জনগণকে উসকে দিয়ে ঐ সব ইরান পন্থী সরকারের পতন ঘটিয়ে নিজেদের অনুগত সমর্থক দাস ভৃত্য মার্কা সরকারকে ক্ষমতায় আনতে পারছে না কেন ও সব দেশে ?! পশ্চিম এশিয়ায় ( মধ্যপ্রাচ্য ) মার্কিন সেনাবাহিনীর সেন্ট্রাল কম্যান্ড অর্থাৎ সেন্ট কমের পূর্বেকার ( প্রাক্তন ) ও বর্তমান প্রধানগণ কেন মার্কিন কংগ্রেসের শুনানির সাক্ষ্যদানকালে মধ্যপ্রাচ্য অর্থাৎ পশ্চিম এশিয়ায় ইরানের ক্রমবর্ধমান ও সম্প্রসারণশীল প্রভাবের মুখে নিজেদের অপারগতা ও অসহায়ত্বের কথা বার বার স্বীকার ও উল্লেখ করেছে ও করছে কেন ? ইরানের এ প্রভাব কি নিছক সামরিক কারণে না আদর্শিক কারণে? উত্তরে বলতে হয় তা শুধু সামরিক কারণে নয় । কারণ ইরানের সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তির কাছে কিছুই না ; আসলে কোনো তুলনা করাই ঠিক না । তাহলে প্রমাণিত হয় যে ইরানের এ প্রভাব তার নীতি ও আদর্শিক কারণে যা অত্র অঞ্চলের জনগণকে আকৃষ্ট করতে পেরেছে এবং ইরান প্রভাবিত ঐ কয়টি দেশের সরকার সমূহ জনগণের ভোটেই বারবার নির্বাচিত হয়েছে ও হচ্ছে। তাই জনগণ যদি ইরানকে পছন্দ না করে তাহলে ওসব দেশের গণ নির্বাচিত সরকার গুলো জনগণের পছন্দ অপছন্দকে উপেক্ষা করে ইরানের সাথে বন্ধুত্ব পূর্ণ সম্পর্ক করতে যাবে কোন্ দু:খে ? এতে করে তাদেরকে জনগণের তীব্র রোষানলে পড়ে ক্ষমতার রঙ্গ মঞ্চ থেকে বিদায় নিতে হবে । অথচ আমরা দেখতে পাচ্ছি যে প্রতিবারের নির্বাচনে ও সব দেশে ইরান প্রভাবিত এ সরকার গুলোই বার বার ক্ষমতায় ফিরে আসছে মার্কিন সৌদি প্রচার প্রচারণা এবং প্রচুর অর্থ ব্যয় সত্ত্বেও যার প্রকৃষ্ট উদাহরণ হচ্ছে ইরাক ও লেবানন ! অথচ এটা কেন হচ্ছে বারবার ? ইরানের সাথে কাতার ও ওমানের বন্ধুত্ব ও সুসম্পর্কও বহুদিনের । ইরানের জনপ্রিয়তা যদি না থাকে তাহলে ইরানের নেতৃত্বাধীন মার্কিন ও ইসরাইল বিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রাম সমগ্র পশ্চিম এশিয়ায় ( মধ্যপ্রাচ্যে ) কেন বিস্তৃতি লাভ করেছে ও দিন দিন তা শক্তিশালী হচ্ছে যার কারণে ইসরাইল আজ ভয়াবহ ভাবে কোণঠাসা হয়ে গেছে এবং ইসরাইলী নেতা ও কর্মকর্তারা এবং যায়নবাদী ও ইহুদী প্রাক্তন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড: হেনরী কিসিঞ্জারের মতো খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বহু উর্ধ্বতন নেতা ও কর্মকর্তারা কেন অদূর ভবিষ্যতে শক্তিশালী ইরান ও ইরান সমর্থিত ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগ্রামের হাতে ইসরাইলের অস্তিত্ব বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার কথা প্রকাশ্যে বলছেন ? ইসরাইলের এ নাজুক অবস্থা ইরানের কারণেই হয়েছে । আর অত্র অঞ্চলের জন সমর্থন না থাকলে ইরান এ কাজ করতেই পারত না । ৪৪ বছর আগে ইমাম খোমেনির আহবানে আল - কুদস , মসজিদুল আকসা ও ফিলিস্তিন মুক্ত করার লক্ষ্যে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে জাগ্রত করার জন্য ইরানে রমযান মাসের শেষ শুক্রবার যে বিশ্ব আল - কুদস দিবস হিসেবে উদযাপন শুরু হয় তা আজ ৪৪ বছর পরে সমগ্র মধ্যপ্রাচ্য , মুসলিম দেশ সমূহে , আফ্রিকায় এমনকি ইউরোপ ও আমেরিকা মহাদেশেও পালিত হচ্ছে এমনকি খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়ও । এর কারণ কী ? ইরানের প্রতি ঐ সব দেশ ও অঞ্চলের অধিবাসীদের সমর্থন না থাকলে আজ কী করে ঐ সব দেশ ও অঞ্চলে বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপক পরিসরে ইমাম খোমেইনী ও ইরান প্রবর্তিত বিশ্ব আলকুদস দিবস গাযা , ফিলিস্তিন, লেবানন , তিউনিসিয়া, সিরিয়া , ইরাক , ইয়েমেন , আফগানিস্তান , পাকিস্তান , তুরস্ক ও নাইজেরিয়ায় ব্যাপক ভাবে পালিত হচ্ছে প্রতি বছর ?! এটাই কি পশ্চিম এশিয়ায় ( মধ্য প্রাচ্য ) ইরানের বৈপ্লবিক আদর্শের প্রভাব ও প্রসারের নমুনা নয় ?!! এ টা কি ইরানের আদর্শিক প্রভাব ও জন প্রিয়তার আরেকটা জাজ্জ্বল্য দৃষ্টান্ত ও প্রমাণ নয় ? মিসর , জর্দান , সৌদি আরব ও উপসাগরীয় রাজশাসিত দেশগুলোয় মিছিলের অনুমতি দিলে ঐ সব দেশগুলোতেও আল - কুদস দিবসের বড় বড় মিছিল ও শোভা যাত্রা অনুষ্ঠিত হত ।
আর সবচেয়ে গাঁজাখুরি ডাহা মিথ্যা কথা হচ্ছে যে যে সৌদি আরব আট বছর ধরে ( ২০১৫ - ২০২৩ ) ইয়েমেনে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ , আগ্রাসন , নির্দয় বেধড়ক , বোমাবর্ষণ ও সার্বিক অবরোধ চালিয়ে লক্ষাধিক ইয়েমেনীকে হত্যা , ৪ মিলিয়নের অধিক উদ্বাস্তু, ২০ মিলিয়ন ইয়েমেনীকে তীব্র খাদ্য সংকট , অপুষ্টি ও দুর্ভিক্ষ কবলিত করেছে এবং ব্যাপক নির্বিচারে বোমা বর্ষণ করে দেশটির অবকাঠামো সম্পূর্ণ ধ্বংস করেছে সেই ইয়েমেনে ইরানের চাইতে সৌদি নেতৃবৃন্দের জনপ্রিয়তা বেশি হয় কী করে? যদি তাই হত তাহলে সৌদি পশ্চিমা মার্কিনীদের দৃষ্টিতে বিদ্রোহী হুথি গোষ্ঠীকে মাত্র কয়েক দিন বা কয়েক মাসের মধ্যে রাজধানী সানা থেকে হটিয়ে দিয়ে পাশ্চাত্য মার্কিন সমর্থন পুষ্ট সৌদি আমারাতি জোট বিতাড়িত পলাতক সৌদি আরবে আশ্রয় গ্রহণকারী আব্দু রব্বিহ্ মনসূর আল হাদী সরকারকে ইয়েমেনের ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনত । কেন তা ৮ বছরেও পাশ্চাত্য ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক সামরিক অস্ত্রে সুসজ্জিত ধনী সৌদি আমিরাতি জোট হত দরিদ্র ইয়েমেনের হুথিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সফল হল না বরং কেন সৌদি আরব ইয়েমেনের হুথিদের সাথে যুদ্ধ বিরতি করে সন্ধি করার চেষ্টা ও তদবীর চালাচ্ছে ? হুথিরা ইরান পন্থী । আর হুথিদের প্রতি ইয়েমেনী জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণেই সৌদি আমিরাতি জোট যুদ্ধে ব্যর্থ হয়েছে এবং স্বাভাবিক ভাবেই ইয়েমেনী জনগণ সৌদি আরব ও আমিরাত বিরোধী এবং ইরান সমর্থক হবেই । আর এর অন্যথা হলে তা হবে অবাস্তব , মিথ্যা ও গাঁজাখুরি বিষয় ।
খুব সম্ভবত সৌদিদের পয়সা ও পেট্রোডলারের ঘুষ খেয়েই উক্ত মার্কিন অ্যানালাইটিক্যাল প্রতিষ্ঠানটি ( গ্যালাপ ) এ ধরণের অবাস্তব অবস্তুনিষ্ঠ ফরমায়েশী জরিপ ও সমীক্ষা তৈরি করে বিশ্বব্যাপী তা প্রচার করছে । আর মিডিল ইস্ট মনিটরও সৌদি পয়সা পেয়ে তা ছেপেছে এবং বাংলাদেশের কোনো কোনো প্রচার ও সংবাদ মাধ্যমে তা প্রকাশিত হয়েছে। আমাদের সবার বাতিক আছে যে আমরা পশ্চিমাদের তথাকথিত সমীক্ষা, জরিপ ও পরিসংখ্যানের নাম শুনলেই তা অনুসন্ধান ও যাচাই বাছাই না করেই গ্রহণ করি যা পবিত্র কুরআনের নির্দেশেরই সুষ্পষ্ট লংঘন । কারণ পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে :
" হে মুমিনগণ ! তোমাদের কাছে কোনো ফাসেক ( লম্পট , অবাধ্য , পাপাচারী , মিথ্যাবাদী অনির্ভরযোগ্য ব্যক্তি এবং হাল জমানার গ্রুপ , গোষ্ঠী , মাধ্যম ও প্রতিষ্ঠান) যদি কোনো গুরুত্বপূর্ণ খবর , সংবাদ ও তথ্য আনে তবে তা তোমরা উত্তমরূপে অনুসন্ধান ও যাচাই-বাছাই করো , যাতে ( যাচাই-বাছাই না করে ফাসেকের পরিবেশিত সংবাদ, তথ্য ও খবর গ্রহণ করলে ) তোমরা অজ্ঞতাবশত: কোনো সম্প্রদায়ের ক্ষতি করে না বস এবং নিজেদের কৃতকর্মের জন্য পরে তোমাদের অনুশোচনা করতে হয়। ( সূরা -ই হুজুরাত : ৬ )
یا أیها الذین آمنو إن جاءکم فاسق بنبإ فتبینوا أن تصیبوا قوماً بجهالة فتصبحوا علیٰ ما فعلتم نادمین. বলার আর অপেক্ষা রাখে না যে পশ্চিমা মার্কিন এ সব প্রতিষ্ঠান ও মিডিয়া ফাসেক ফাজেরের (লম্পট অবাধ্য পাপাচারী মিথ্যাবাদী দুর্নীতি পরায়ণ ও অপরাধী মাধ্যম ও প্রতিষ্ঠান ) উৎকৃষ্ট নমুনা । ইরান এবং পশ্চিমা বিরোধীদের ব্যাপারে এরা সব সময় বিষাক্ত প্রচারপ্রচারণা চালিয়েই যাচ্ছে। বিশেষ করে গত বছর থেকে এরা ইরান বিরোধী বহু ডাহা মিথ্যা ভিত্তিহীন বিকৃত খবর , তথ্য ও সংবাদ এবং গাঁজাখুরি খবর কাল্পনিক , উদ্ভট অবাস্তব সব সমীক্ষা , জরিপ ও পরিসংখ্যান প্রকাশ করেই চলেছে এবং দেখাচ্ছে ইরানী জনগণের এখন ইসলামী বিপ্লব, ইসলামী প্রজাতন্ত্র ও ইরান সরকারের প্রতি কোনো সমর্থন নেই! ১১ ফেব্রুয়ারি বিপ্লব বার্ষিকী এবং গত ১৫ এপ্রিল শুক্রবারের আল কুদস দিবস উপলক্ষে সমগ্র ইরান জুড়ে কোটি কোটি ইরানী জনতা মিছিল ও সমাবেশ করেছে। কিন্তু এ সব খবর , সংবাদ ও তথ্য ও সব পশ্চিমা ও মার্কিন প্রতিষ্ঠান ও মিডিয়া আদৌ প্রচার করে নি বা দায়সারা ভাবে অল্প কিছু প্রচার করেছে !!
সুতরাং এত সব কিছুর পরেও কি পশ্চিমাদের এ সব বস্তা পচা খবর , পরিসংখ্যান, সমীক্ষা ও জরিপের বাস্তব ও বস্তুনিষ্ঠ কোনো মূল্য আছে কি ?
সৌদিদের যদি এতই আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা থেকে থাকে মুসলিম বিশ্বে তাহলে কেন ইরান ও ইয়েমেনের সাথে ৭-৮ বছর ধরে বৈরিতা , দ্বন্দ্ব ও সরাসরি ও প্রক্সি যুদ্ধ করার পর মিটমাট করার উদ্যোগ নিল ? !!! গরীব হত দরিদ্র ইয়েমেনের সাথে যুদ্ধেই জিতলে পারল না সৌদি আমিরাতী জোট । সিরিয়া , ইরাক , লেবাননেও বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে গৃহযুদ্ধ বাধিয়েও ইরানের আদর্শিক প্রভাব বলয়কে স্তিমিত করতে পারে নি স্বয়ংমার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , পাশ্চাত্য , ইসরাইল , সৌদি আমিরাত চক্র । যে বাশার আসাদের পতন ছাড়া আর কিছু কামনা করত না সৌদি আরব , আমিরাত , কাতার কুয়েত বাহরাইন সেই তারাই এখন দামেস্কের সাথে সম্পর্ক পুনঃ প্রতিষ্ঠার ম্যারাথন রেসে অংশ নিচ্ছে । সৌদিদের জনপ্রিয়তা থাকলে সিরিয়া থেকে বাশার আসাদ ও ইরানকে কান ধরে বের করে দিতে পারত সৌদিরা । একই ভাবে জনপ্রিয়তার শক্তি কাজে লাগিয়ে সৌদিরা বাগদাদ থেকে ইরানপন্থী সরকার এবং ইরানকে ইরাক থেকে হটাতে পারত ।
যাহোক সৌদিদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য বোধ হয় সৌদিদের পয়সা খেয়ে অথবা খোদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার ও সি.আই.এর নির্দেশে ঐ প্রতিষ্ঠানটি এ ধরণের ভিত্তিহীন ও অমূলক জরিপ বানিয়ে বাজারে ও ময়দানে ছেড়েছে । যদি এতে খানিকটা হলেও পরান জুড়ায় তাতে ক্ষতি কি ?!!