হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামী বিপ্লবী নেতা হযরত আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী এই বৈঠকে বলেন, শত্রুরা জনগণের আত্মত্যাগের সুবাদে সংঘটিত অনন্য, মহান ও গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লবকে দমন করতে চায় এবং ইরানের আঞ্চলিক অখণ্ডতাকে ধ্বংস ও ধ্বংস করতে চায়।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি আরও বলেন, এই বিপ্লবের এত ক্ষমতা ছিল যে, এই দেশ শাসনকারী পশ্চিমা ও দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যবস্থাকে অপসারণ করে এদেশে একটি নতুন সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে, তাই শত্রুরা এই বিপ্লবকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল।
ইসলামি বিপ্লবী নেতা বলেন, প্রতিরক্ষা পবিত্র ইরানের ইতিহাসে একটি বিস্ময়কর ও গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় এবং এই মুহূর্তে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মনের সাথে এর তাৎপর্য তুলে ধরতে হবে।
আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি পবিত্র প্রতিরক্ষার গুরুত্বপূর্ণ ও অর্থবহ দিকগুলো জানে এবং এটাও জানে যে কীভাবে ইরানি জাতি এই শিখরে পৌঁছেছে এবং সেখানে শক্তি ও গর্বের সঙ্গে দাঁড়িয়ে আছে, তাহলে এই পরিচয়ে অনেক বড় শিক্ষা রয়েছে যার আলোকে মহৎ কাজ করা যায়।
ইসলামি বিপ্লবী নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি পবিত্র প্রতিরক্ষা আমাদের সীমানাকে প্রসারিত করেছে উল্লেখ করে বলেন যে এর উদ্দেশ্য ভৌগলিক সীমানা নয়, বরং এটি প্রতিরোধের সীমানা সহ আমাদের আধ্যাত্মিক ও নৈতিক সীমানাকে প্রসারিত করেছে।এবং আজ প্রতিরোধের উপাদান এই অঞ্চলে শিকড় গেড়েছে।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি জোর দিয়ে বলেন যে পবিত্র প্রতিরক্ষা বিশ্বের কাছে প্রতিরোধের শিরোনাম প্রবর্তন করেছে এবং এটিকে স্থিতিশীল করেছে, এটি অবশ্যই বিদ্যমান এবং এই আধ্যাত্মিক এবং নৈতিক উপস্থিতি আমেরিকা এবং কিছু দেশকে আতঙ্কিত করেছে।
ইসলামি বিপ্লবী নেতা শত্রুর সমস্যা এখনও ইসলামী প্রজাতন্ত্র উল্লেখ করে বলেন, পবিত্র প্রতিরক্ষার সময় শত্রুর প্রধান লক্ষ্য আঞ্চলিক অখণ্ডতা ছিল না, বরং শত্রুরা এই বিপ্লবকে দমন করতে চেয়েছিল।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, কখনো কখনো দুই দেশের সীমান্তের কোনো অংশ দখল করতে বা কোনো জাতির পরিচয় ধ্বংস করার জন্য যুদ্ধ হয়। কিন্তু ইরানের সঙ্গে ইরাকের বাথিস্ট সরকার চাপিয়ে দেওয়া যুদ্ধের বিষয়টি শুধু সীমান্ত সমস্যা ছিল না।
ইসলামি বিপ্লবী নেতা পবিত্র প্রতিরক্ষার সময় সমগ্র বিশ্ব ইরানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমেছিল উল্লেখ করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় দেশ এবং পূর্বাঞ্চলীয় ব্লকসহ তৎকালীন সব বড় শক্তি ইসলামী বিপ্লবের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দিয়ে ছিল।
আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন, ইরানি জাতির কাজ দূরবর্তী দেশগুলোতেও প্রভাব ফেলেছে।তিনি বলেন, ইরানি জাতির অর্জন পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার অঞ্চলে একটি আদর্শ হয়ে উঠেছে।