রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, এতদসংক্রান্ত মন্তব্য :
অলপ কিছু দিন ( ১৪-১২-২০২৩ ) আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থাৎ মা.যু.রা'র টেক্সাস রাজ্যে মার্কিন আততায়ী ঘাতক নিজের পিতা-মাতা সহ ৬ জনকে গুলি করে হত্যা করে যাদের মধ্যে সাব্রিনা রহমান নাম্নী একজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত নারীও রয়েছেন । আর গত বৃহস্পতিবার ( ২১-১২-২০২৩ ) প্রাগ বিশ্ব বিদ্যালয়ে যে ছাত্রের গণগুলিতে ১৪ জন নিহত হয়েছে সে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করার আগে নিজের পিতাকেও হত্যা করে !! বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ জনকে গুলি করে হত্যা করার পর সে নিজেও আত্মহত্যা করেছে বলে খবরে প্রকাশ।
এই হল তথাকথিত সুসভ্য , সুশিক্ষিত , সুশীল , বিজ্ঞানমনস্ক , আধুনিক উদারমনা গণতান্ত্রিক ইউরোপ ও আমেরিকার হাল - হকিকত । কারো সাথে মনোমালিন্য বা সম্পর্কের অবনতি হওয়ার কারণে অন্যান্য ব্যক্তিকে হত্যা যারা ঐ সব কারণের সাথে মোটেও সংশ্লিষ্ট না পশ্চিমা দেশ সমূহ বিশেষ করে মা.যু.রায় ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) বেশ প্রচলিত।
সাধারণত: শত্রুতা , বসচা , ঝগড়া - বিবাদ , প্রতিদ্বন্দ্বিতা , স্বার্থ সিদ্ধি ও চুরি - ডাকাতি করতে গিয়ে এবং দুর্নীতি ও অপরাধ ঢাকার জন্য হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় । কিন্তু কোনো এক ঘটনা বা কারণের সাথে যারা মোটেও সংশ্লিষ্ট নয় তাদের হত্যা আসলে পশ্চিমা দেশগুলোর সাথেই একান্ত সংশ্লিষ্ট । অপশ্চিমা বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোয় এ ধরনের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয় না ।
আসলে এ সব পশ্চিমা মুলুকের বিশেষ করে সাদা চামড়ার ( শ্বেতাঙ্গ ) বাসিন্দাদের মন মানসিকতা তথা মানসিক অবস্থার চরম অধ:পতন অর্থাৎ ব্যাপক ভিত্তিক মানসিক বিপর্যয় , বিকার ও বিকৃতি এবং ঐ সব দেশের জনগণের মধ্যে বিশেষ ধরনের উন্মাদনা , পাগলামি ও মস্তিষ্ক বিকৃতির প্রসার হয়েছে বলেই এধরনের গণ হত্যা , পিতৃ হত্যা , পিতা - মাতা ও গুরু জন হত্যা , শিশুহত্যা ইত্যাদির মতো জঘন্য হত্যাকাণ্ড ও মানবতা বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয় ঐ সব দেশে। আর বস্তুবাদ , ভোগবাদ , লোভ - লালসা , স্বার্থপরতা , ধর্মহীনতা ( বেদ্বীনী ) , ধর্মবিরোধিতা , নীতি নৈতিকতা পদদলিত করণ, অশালীনতা , চরিত্রহীনতা , অবৈধ ও অবাধ যৌনতা , মদ্যপান , মাদকাসক্তি ও নেশা গ্রস্ততা এবং ইন্দ্রিয় পরায়নতা ইত্যাদির বিপাকে ও দুর্বিপাকে আবর্তিত হচ্ছে এবং ঘুরপাক ও খাবি খাচ্ছে পাশ্চাত্য ( পশ্চিমা দেশ ও সমাজসমূহ ) । পূর্বে যেমন উল্লেখ করেছি ঠিক তেমনি এ সব অপরাধ পশ্চিমা দেশগুলোয় প্রায়ই ঘটছে যা বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোয় সচরাচর ঘটেই না ( যা আমরা আগেও উল্লেখ
করেছি )। আর যদি মুসলিম দেশগুলোয় কদাচিৎ দু একটা এ ধরনের ঘটনাও ঘটে তবে তা পাশ্চাত্যের সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও প্রভাবের ফলেই ঘটে থাকে। আর এ কারণেই আমাদের উচিত বিকৃত বস্তুবাদী অমানবিক শয়তানী পশ্চিমা অপসংস্কৃতি ও অসভ্যতা শক্তহাতে মোকাবেলা ও দমন এবং তা প্রসারের পথ রুদ্ধ করা ।