۳۰ اردیبهشت ۱۴۰۳ |۱۱ ذیقعدهٔ ۱۴۴۵ | May 19, 2024
রমজান মাসের ৩য় দিনের দুআ অনুবাদসহ ও দুআর বিশেষ বাক্যগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ
রমজান মাসের ৩য় দিনের দুআ অনুবাদসহ ও দুআর বিশেষ বাক্যগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ।

হাওজা / হে আল্লাহ! আজকের দিনে আমাকে সচেতনতা ও বিচক্ষণতা দান কর।

মজিদুল ইসলাম শাহ

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩য় রমযানের দুআ

اَللّـهُمَّ ارْزُقْني فيهِ الذِّهْنَ وَالتَّنْبيهَ، وَباعِدْني فيهِ مِنَ السَّفاهَةِ وَالَّتمْويهِ، وَاجْعَلْ لى نَصيباً مِنْ كُلِّ خَيْر تُنْزِلُ فيهِ، بِجُودِكَ يا اَجْوَدَ الاَجْوَدينَ .

হে আল্লাহ! আজকের দিনে আমাকে সচেতনতা ও বিচক্ষণতা দান কর। আর আমাকে দূরে রাখ অজ্ঞতা,নির্বুদ্ধিতা ও ভ্রান্ত কাজ-কর্ম থেকে। এ দিনে যত ধরণের কল্যাণ দান করবে তার প্রত্যেকটি থেকে তোমার দয়ার উসিলায় আমাকে উপকৃত কর। হে দানশীলদের মধ্যে সর্বোত্তম দানশীল।

গুরুত্বপূর্ণ দিক

তৃতীয় দিনের দুআয় পাঁচটি বিষয় উল্লেখ রয়েছে,যার মধ্যে তিনটি ইতিবাচক; অর্থাৎ এমন গুণাবলীর বিষয়ে বর্ণনা রয়েছে যা পাওয়ার জন্য আমরা আল্লাহর নিকট অনুরোধ করি যেন সেই জিনিস আল্লাহ আমাদের দেয়,এবং দুটি দিক নেতিবাচক; তা হল, আমরা আল্লাহর নিকট অনুরোধ করি যে এই সমস্ত জিনিস থেকে আমাদেরকে দূরে রাখো।

এছাড়াও তিনটি ইতিবাচক দিক: সতর্কতা, সচেতনতা এবং ভাল কাজে অংশ নেওয়া। দুটি নেতিবাচক দিক: অপছন্দ এবং মন্দ কর্ম থেকে দূরত্ব এবং প্রতারণা ও জালিয়াতি থেকে দূরত্ব।

দুআর বিশেষ বাক্য গুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ

১-ّ اللَّهُمَّ ارْزُقْنِي فِيهِ الذِّهْنَ وَ التَّنْبِيهَ

ওই দিন আমরা আল্লাহর কাছে আমাদের একটি তীক্ষ্ণ মন এবং সচেতনতা দেওয়ার অনুরোধ করি, আমাদের জানতে এবং বুঝতে হবে যে মন কী? অভিধানে মনের বিভিন্ন অর্থ উল্লেখ রয়েছে যা একে অপরের নিকটবর্তী, মনের অর্থ বুদ্ধি এবং চেতনা এবং একটি অভ্যন্তরীণ শক্তি যা পরিপূর্ণতা অর্জনের জন্য ক্ষেত্র সরবরাহ করে, সংক্ষেপে, আমরা আল্লাহর কাছে চাই আমাদের সঠিক বুঝ, বোধগম্যতা এবং বুদ্ধি এবং জ্ঞান দিয়ে আমাদের অন্তর্দৃষ্টি এবং সচেতনতার চোখ খুলুন ..., একইভাবে,(التَّنْبِيهَ)আল-তাবিয়াহের অর্থ সচেতনতা: اَلنَّاسُ نِيَامٌ فَإِذَا مَاتُوا اِنْتَبَهُوا ঘটনা থেকে শিক্ষা সচেতনতার কারণ হয়।

২- ‏ وَ بَاعِدْنِي فِيهِ مِنَ السَّفَاهَةِ وَ التَّمْوِيهِ

মূর্খতা মানে বোকামি এবং কোন মুসলিম যদি চায় তার জীবন বরকতময় হোক (সে কখনো কুকর্ম করবে না), তবে তার জন্য প্রয়োজন ইসলামের শিক্ষা অনুসারে তার প্রতিদিনের জীবনযাত্রা করা এবং নিরর্থক কর্ম থেকে দূরে থাকা, আসল বিষয়টি হল আমাদের তরুণ প্রজন্ম ঘন্টার পর ঘন্টা ইন্টারনেট, টিভি এবং কম্পিউটার গেম খেলতে ব্যস্ত থাকে এবং বিশ্বের চমকদমকে নিজেকে হারিয়ে ফেলে;(التَّمْوِيهِ) এর অর্থ হল প্রতারণা, জালিয়াতি; আর ঈমানদার ব্যক্তি কখনও প্রতারিত হবে না।

৩- وَ اجْعَلْ لِي نَصِيباً مِنْ كُلِّ خَيْرٍ تُنْزِلُ فِيهِ

এই দুআর তৃতীয় ইতিবাচক বাক্যটি হল নেক কাজে অংশ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, এই দুআর বাক্যে খুবই সুন্দর একটি জিনিস বলা হয়েছে, সেটি হল নেকি থেকে উপকৃত হওয়া, সৎকর্ম ও পুণ্যের বিষয়গুলি সূর্যের মতো যে সব সময় জ্বলন্ত অবস্থায় থাকে; এখানে এবং এই জায়গার বিষয়টি হল এই সূর্যের আলোকে কাজে লাগানোর জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। সুতরাং, সৎকাজে অংশ নেওয়াও একটি সৎকর্ম কারণ কখনও কখনও ব্যক্তি নিজে একটি ভাল কাজ করে এবং কখনও কখনও সে অন্যের ভাল কাজে অংশগ্রহণ করে।

৪– بِجُودِكَ يَا َْجْوَدَ الْأَجْوَدِينَ

এবং পরিশেষে,আমরা আল্লাহ তাঁর অনুগ্রহ এবং ক্ষমার জন্য মাধ্যম বানাই।

ফলাফল

দুয়ার বার্তা: ১- সচেতনতা ২- অজ্ঞতা থেকে দূরত্ব ৩- সৎকর্ম থেকে লাভবান হওয়া ৪- আল্লাহর অনুগ্রহ থেকে উপকৃত হওয়া।

নির্বাচিত বার্তা: কোনও ভাল কাজকে ছোটো বা অবমূল্যায়ন করা উচিত নয়; ঠিক তেমনি যেমন সৎকর্ম করতে গিয়ে গর্ব করা উচিত নয়; কারণ ঘনিষ্ঠতা এবং আন্তরিকতার অভিপ্রায় উভয় ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয়।

ইমাম সাদিক (আ:) বলেছেন: لاتُصَغِّر شَیئاً مِنَ الخَیرِ، فَإنَّکَ تَراهُ غَداً حَیثُ یَسُرُّکَ কোনও ভাল কাজকে অবমূল্যায়ন করবেন না কারণ আগামীকাল এটিই হবে আপনার সমৃদ্ধির কারণ।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .