অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত করন : মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হাদীসে বর্ণিত হয়েছে যে যে কেউ রমযান মাসের প্রতি রাতে যে কোনো মুস্তাহাব নামাযে সূরা -ই ফাতিহা পাঠ করার পর সূরা -ই ইন্না ফাতাহনা ( সূরা -ই ফাতহ অর্থাৎ পবিত্র কুরআনের ৪৮ নং সূরা ) পাঠ করবে সে ঐ বছর মাহফূয ( সুরক্ষিত ) থাকবে । ( দ্র: মাফাতীহুল জিনান , পৃ : ৩৩০ )
পবিত্র রমযান মাসের রাত সমূহের এক অন্যতম আমল হচ্ছে যে গোটা রমযানের রাত সমূহে মোট ১০০০ রাকাত নামায (পড়া ) মুস্তাহাব এ ভাবে যে এ মাসের প্রথম দশ রাতের প্রতি রাতে এবং দ্বিতীয় ১০ রাতের প্রতি রাতে ২০ রাকাত নামায আদায় করতে হবে এ ভাবে যে মাগরিবের নামাজের পর ৮ রাকাত এবং এশার নামাযের পর ১২ রাকাত পড়তে হবে এবং এ মাসের শেষ দশ রাতের প্রতি রাতে ৩০ রাকাত নামায : মাগরিবের নামাজের পর ৮ রাকাত এবং এশার নামাযের পর ২২ রাকাত পড়তে হবে ( তাহলে ৩০ রাতে ৭০০ রাকাত নামায ) ; আর তিন সম্ভাব্য কদরের রাতে ( রমযানের ১৯ , ২১ ও ২৩ - এর রাতে ) মোট ৩০০ রাকাত নামায পড়তে হবে : ১৯ রমযানের রাতে ১০০ রাকাত , ২১ রমযানের রাতে ১০০ এবং ২৩ রমযানের রাতে ১০০ রাকাত নামায । তাহলে এভাবে গোটা রমযান মাসে ১০০০ রাকাত মুস্তাহাব নামায আদায় করা যাবে । রমযান মাসের নফল মুস্তাহাব নামায সমূহের প্রতি দু রাকাত পড়ার পর ( তাশাহহুদ , দরূদ ও সালামান্তে ) নিম্নোক্ত দুআ পাঠ :
اَللّٰهُمَّ اجْعَلْ فِیْمَا تَقْضِيْ وَ تُقَدِّرُ مِنَ الْأَمْرِِ الْمَحْتُوْمِ وَ فِيْمَا تَفْرُقُ مِنَ الْأَمْرِ الْحَکِیْمِ فِيْ لَیْلَةِ الْقَدْرِ أَنْ تَجْعَلَنِيْ مِنْ حُجَّاجِ بَیْتِکَ الْحَرَامِ الْمَبْرُوْرِ حَجُّهُمُ الْمَشْکُوْرِ سَعْیُهُمُ الْمَغْفُوْرِ ذُنُوْبُهُمْ وَ أَسْأَلُکَ أَنْ تُطِیْلَ عُمْرِيْ فِيْ طَاعَتِکَ وَ تّوَسِّعَ لِيْ فِيْ رِزْقِيْ یَا أَرْحَمَ الرَّاحِمِيْنَ.
[ হে আল্লাহ ! আপনি কদরের রাতে যে সব অবশ্যম্ভাবী বিষয় নির্ধারণ ও চূড়ান্ত (ফয়সালা ) করেন সে গুলোয় এবং যে সব প্রজ্ঞা মূলক বিষয় পৃথক করেন সেগুলোর মধ্যে নির্ধারিত করে দিন আপনার গৃহ পবিত্র কা'বার হজ্জব্রত পালনকারীদের মধ্যে আমার অন্তর্ভুক্তি ( অর্থাৎ আমাকে হাজীদের অন্তর্ভুক্ত করে আমাকে হজ্জব্রত পালন করার তৌফিক দিন ) যাদের হজ্জ সঠিক ও ভালোভাবে আঞ্জাম দেওয়া হয় , যাদের চেষ্টা - প্রচেষ্টা ও সাধনার ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয় ( এবং সেটার কদর ও উপযুক্ত মর্যাদা দেওয়া হয় ) , যাদের গুনাহ - খাতা ও পাপ সমূহ ক্ষমা করে দেওয়া হয় ; আর আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করছি যে আপনি আমার জীবনকে দীর্ঘায়িত করে দিন যাতে আপনার আনুগত্যে তা ( আমার জীবন ) অতিবাহিত করি এবং আমার রিযিক ও রূযী প্রশস্ত ( মুওয়াসসা' ) করে দিন ، হে সবচেয়ে দয়াবান ও সর্বোত্তম দয়ালু। ]
সূত্র : মাফাতীহুল জিনান , পৃ : ৩৩০ - ৩৩১