۳ آذر ۱۴۰۳ |۲۱ جمادی‌الاول ۱۴۴۶ | Nov 23, 2024
ইসরাইলী দৈনিক টাইমস অব ইসরাইল এ খবর প্রচার করেছে : ভিডিও ক্লিপে " গাযার ভিতরে শত শত ইসরাইলী সৈন্যকে ইসরাইলের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করতে " দেখা যাচ্ছে।
ইসরাইলী দৈনিক টাইমস অব ইসরাইল এ খবর প্রচার করেছে : ভিডিও ক্লিপে " গাযার ভিতরে শত শত ইসরাইলী সৈন্যকে ইসরাইলের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করতে " দেখা যাচ্ছে।

হাওজা / ইসরাইলী দৈনিক টাইমস অব ইসরাইল এ খবর প্রচার করেছে : ভিডিও ক্লিপে " গাযার ভিতরে শত শত ইসরাইলী সৈন্যকে ইসরাইলের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করতে " দেখা যাচ্ছে।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ মুনীর হুসাইন খান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসরাইলী দৈনিক টাইমস অব ইসরাইল এ খবর প্রচার করেছে : ভিডিও ক্লিপে " গাযার ভিতরে শত শত ইসরাইলী সৈন্যকে ইসরাইলের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করতে " দেখা যাচ্ছে।

এ খবর নিয়ে বিশ্লেষণ : গাযায় শত শত ইসরাইলী সৈন্য কর্তৃক ইসরাইলের জাতীয় সংগীত গাওয়ার ভিডিও ফুটেজ প্রচার করে দুর্নীতি পরায়ণ বেন নেতানিয়াহুর সরকার ইসরাইলীদেরকে বিশেষ করে প্রতিবাদী , বিক্ষোভকারী নেতানিয়াহুর বিরোধীদের দেখাতে চাচ্ছে যে গাযা যুদ্ধে নেতানিয়াহুর সরকারই জিতেছে, ইসরাইল গাযা জয় করে ফেলেছে যদিও হামাসকে গাযা শাসন থেকে অপসারণ ও হামাস সহ ফিলিস্তিনী যোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করতে এবং হামাস ও অন্যান্য ফিলিস্তিনী দলগুলোর হাত থেকে যুদ্ধবন্দী ইসরাইলীদের উদ্ধার ও মুক্ত করতেও পারে নি। (জাতীয় সংগীত)

যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরাইল হামাসের সাথে বারংবার পরোক্ষ আলোচনায় বসেছে কিন্তু ইসরাইলের নিজের গোঁয়ার্তুমির জন্যই আলোচনা ফলপ্রসূ হয় নি। এখন যুদ্ধে সার্বিক ব্যর্থতার গ্লানি ঢাকার জন্য গাযায় বেন নেতানিয়াহু সরকার কয়েক শো ইসরাইলী সৈন্যকে দিয়ে ইসরাইলের জাতীয় সংগীত গাইয়েছে যাতে অনেকেই ধারণা করে যে গাযায় হামাস ও ফিলিস্তিনী যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতানিয়াহু সরকার জিতে গেছে! যুদ্ধে জিতার এক কাল্পনিক অলীক মিথ্যা চিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করছে ইসরাইল বিশ্ববাসী ও নিজ দেশবাসীদের কাছে । আর এটা করে এবং যুদ্ধে জিতার ফলস ইমেজ ( ভূয়া চিত্র ) তৈরি করে ইসরাইলের ( অধিকৃত ফিলিস্তিনে ) ভিতরে ও বাইরে তা জোরেশোরে প্রচার করে নেতানিয়াহু এরপর যুদ্ধ বন্ধ / যুদ্ধবিরতি করলে যেন দুর্নীতি ও যুদ্ধে ব্যর্থতার দায়ে তার ( নেতানিয়াহু ) জেলে যেতে না হয় সেজন্য এই ব্যবস্থা করছে যুদ্ধবাজ ও যুদ্ধাপরাধী ইসরাইলী সরকার ও প্রশাসন।

বরং দুর্নীতি পরায়ণ যুদ্ধবাজ যুদ্ধাপরাধী গাযার কসাই, শিশু, নারী ও গণ হত্যাকারী নেতানিয়াহু এরপর ইসরাইলের যুদ্ধ বিজয়ী জাতীয় বীর , উদ্ধারকর্তা ও পুরুষোত্তমের তকমা ও মেডেলও হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে !!!

আর ঠিক এ রকম একবার কেন শত শত বার গাযায় ইসরাইলের জাতীয় সংগীত গাইলেও কোনো লাভ ও ফায়দা নেই ইসরাইল নামক সন্ত্রাসী সন্ত্রাসবাদী মেকি কৃত্রিম রাষ্ট্রটির !! নেতানিয়াহু গাযা যুদ্ধে তার ঘোষিত লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যগুলোর কোনো একটিও হাসিল করতে পারে নি এ দীর্ঘ ৭ মাসের আগ্রাসন ও যুদ্ধে। হামাস ও ফিলিস্তিনী ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনের যোদ্ধারা তীব্র প্রতিরোধ যুদ্ধ করেই যাচ্ছে এবং ৭ মাস ধরে যুদ্ধ , আগ্রাসন , গণহত্যা এবং সব ধরনের যুদ্ধাপরাধ করেও ইসরাইল গাযায় ফিলিস্তিনীদের প্রতিরোধ যুদ্ধ ও সংগ্রামকে দমন ও পর্যদুস্ত করতে পারেনি। গাযার সর্বত্র প্রতিরোধ সংগ্রাম চলছে। গাযায় সশস্ত্র ইসলামী প্রতিরোধ সংগ্রামের নেতা ইয়াহইয়া সিনওয়ারকেও বন্দী বা ঘায়েল করতে পারে নি দখলদার হানাদার যুদ্ধাপরাধী ইসরাইলী সেনাবাহিনী। আর এটা করতে পারলে ইসরাইল গাযা যুদ্ধ বিজয়ের মহোৎসব করবে এবং খুব জোরেশোরে শত শত কেন হাজার হাজার ইসরাইলী সৈন্যদের দিয়ে গাযার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলের জাতীয় সংগীত গাওয়াতে থাকবে !

আর একবার কেন ইসরাইল শত শত বার বা হাজার হাজার বার এভাবে জাতীয় সংগীত গাওয়াতেই পারে। এ ধরনের জাতীয় সংগীত গাইয়ে মিথ্যা বিজয়ের ইমেজ ( চিত্র ) পৃথিবীতে প্রচার করলেও প্রকৃত বিজয়ের মুখ দেখবে না ইসরাইল। 2007 সালের ৩১ ডিসেম্বরে ইসরাইলী ynet news.com / opinion - এ প্রকাশিত We won't win in Gaza . IDF hasn't won a war in 30 years ; noting that Gaza reoccupation will lead to a victory false ! - ( আমরা গাযায় জিতব না । ইসরাইলী সেনাবাহিনী ৩০ বছরে একটা যুদ্ধেও জিতে নি ; স্মর্তব্য যে গাযা পুনর্দখল একটা মিথ্যা অমূলক বিজয়ের দিকে ধাবিত করবে। ) -- এ শিরোনামের প্রবন্ধিটি পড়লে বোঝা যাবে যে ইসরাইল গাযায় কেন জিততে পারবে না ?!! কারণ হিসেবে ঐ প্রবন্ধে লেখা হয়েছে যে ইসরাইলী সেনাবাহিনী বিগত ৩০ বছরের ( ১৯৭৭ সালের পর থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত ) কোন যুদ্ধেই জিততে পারে নি। শুধু ঐ ৩০ বছর কেন এরপরেও (২০০৭ থেকে আজ পর্যন্ত ) ইসরাইল গাযার বিরুদ্ধে যে কয়টা যুদ্ধ করেছে সেগুলোর কোনো একটিতেও বিজয়ের মুখ দেখতে পারে নি । আর ৭ মাস ধরে চলা এ যুদ্ধেও ইসরাইল এখন পর্যন্ত জিততেই পারে নি এবং ইনশাআল্লাহ জিততেও পারবে না । তাই গাযায় শত শত ইসরাইলী সৈন্যের জাতীয় সংগীত পরিবেশন আসলে মিথ্যা প্রবঞ্চনা ছাড়া আর কিছু কী ?!!! জবর দখল , ধ্বংসযজ্ঞ , গণহত্যা , উচ্ছেদ ও সব ধরণের যুদ্ধাপরাধ তো যুদ্ধে জিতা ও বিজয় নয় যদিও ইসরাইল ও ওর পৃষ্ঠপোষক পশ্চিমা দেশগুলো বিশেষ করে মাযুরা (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরা (যুক্তরাজ্য) সেটাই ভেবে থাকে । 35000 এর অধিক গাজা বাসীকে হত্যা যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী এবং ৭৮০০০ এর অধিক আহত যাদের অধিকাংশই শিশু ও নারী এবং ১০০০০ এর অধিক নিখোঁজ , নির্বিচারে বোমাবর্ষণে অবকাঠামো সহ প্রায় সম্পূর্ণ গাযযা ধ্বংস ইত্যাদি বিশ্ববাসীর হৃদয় এমনকি মার্কিন ছাত্র ও যুব সমাজের সুপ্ত বিবেক , হৃদয় ও মানব প্রকৃতিকে ( ফিতরাত - ই ইনসানী ) জাগ্রত করতে পেরেছে বলেই মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয় গুলো গত তিন সপ্তাহের অধিক কাল ধরে মযলূম গাযাবাসীদের পক্ষে ইসরাইল ও খোদ মাযুরার (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ আন্দোলনের কেন্দ্র বিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

গাযা তথা ফিলিস্তিনের সমস্যা এখন আরব ও ইসলামী সমস্যা নয় বরং তা আন্তর্জাতিক ও মানবিক সমস্যা ও ইস্যুতে পরিণত হয়েছে ! সমগ্র পৃথিবী এ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। এখন খোদ জাগ্রত মার্কিন ছাত্র ও যুব সমাজ খণ্ডিত ফিলিস্তিন নয় বরং জর্দান নদী থেকে ভূমধ্য সাগর পর্যন্ত সমগ্র ফিলিস্তিন ভূখণ্ড ইসরাইলী জবরদখল ও দখলদারিত্ব থেকে মুক্ত ও স্বাধীন করার বৈপ্লবিক শ্লোগান দিচ্ছে ও বলছে : From the river to the sea Palestine should be free ! জাগ্রত প্রতিবাদী বিক্ষোভকারী মার্কিন ছাত্র ও যুব সমাজও বুঝতে পেরেছে গোটা ফিলিস্তিনী ভূখণ্ড ( ফিলিস্তিন ) নিপীড়িত , নির্যাতিত , অত্যাচারিত , অধিকার হত , বিতাড়িত ও বহিষ্কৃত ফিলিস্তিনী জাতির । ঐ ভূখণ্ডে বহিরাগত, দখলদার হানাদার জবরদখলকারী জায়নিস্ট ইহুদীবাদী ইসরাইলীদের বৈধ অধিকার নেই এবং সেজন্যই মার্কিন ছাত্র ও যুব সমাজ সমস্বরে বলছে : From the river to the sea Palestine should be free ( জর্দান নদী থেকে ভূমধ্য সাগর পর্যন্ত সমগ্র ফিলিস্তিন অবশ্যই মুক্ত ও স্বাধীন হতে হবে ) । " অর্থাৎ ফিলিস্তিন সমস্যার ন্যায্য সমাধান টু স্টেট সলিউশন ( দ্বি রাষ্ট্র সমাধান ) নয় বরং তা হচ্ছে এক রাষ্ট্র সমাধান ( ওয়ান স্টেট সলিউশন) এবং সেটা ইসরাইল নয় বরং সেটা হচ্ছে সমগ্র ফিলিস্তিন ভূখণ্ড জুড়ে এক ফিলিস্তিনী স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা । স্বয়ং জাগ্রত প্রতিবাদী মার্কিন ছাত্র ও যুব সমাজ এই যুদ্ধ থেকে এ নিগুঢ় সত্য ও প্রকৃত বাস্তবতা বেশ ভালোভাবেই উপলব্ধি করতে পেরেছে যা বহু আরব ও মুসলিম সরকার বুঝেও না বোঝার ভান করছে ইসলাম , মুসলিম উম্মাহ ও মযলূম ফিলিস্তীনী জাতির প্রতি তাদের চিরাচরিত বিশ্বাসঘাতকতা ( খিয়ানত ) ও গাদ্দারীর কারণে ।

এটা কিসের চিহ্ন ও লক্ষণ ? এটা ফিলিস্তীন ও ফিলিস্তীনী জাতির বিজয়ের আলামত ও লক্ষণ নয় কি ?!!! পশ্চিমারা বিশেষ করে মাযুরা ( মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) ও যুরা (যুক্তরাজ্য) ইসরাইল এবং খায়েন গাদ্দার ( বিশ্বাসঘাতক ) আরব সরকারগুলোর সাথে ট্রাম্পের আমলে ( ২০১৯ সালে ) ভাওতাবাজি পূর্ণ আব্রাহাম একর্ড ( ইবরাহীমী শান্তিচুক্তি) করিয়ে ফিলিস্তীনকে চিরতরে ভুলিয়ে এর সকল নাম - নিশানা মিটিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করেছিল । কিন্তু তা আজ ব্যর্থ হয়েছে।

ঐ প্রবন্ধে ( We won't win in Gaza ) আরো লেখা হয়েছে : " এমনকি ইসরাইল যদি অনেক অনেক জীবন্ত বলি ও কুরবানী ছাড়াই পুরো গাযা পুনর্দখল করে নিতে সক্ষমও হয় যা আসলেই ইসরাইলী সেনাবাহিনীর ভিতরে ও বাইরে একটা বিতর্কিত বিষয় এবং এমনকি ইসরাইলী সেনাবাহিনী হামাস ও জিহাদের নেতাদের, কম্যান্ডারদের এবং কর্মীদের সবাইকে হত্যা অথবা বন্দীও করে তবুও আমরা ( ইসরাইল ) এ ধরনের জবরদখল ও দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ( ফিলিস্তীনীদের ) প্রতিরোধ সংগ্রাম নিশ্চিহ্ন করতে ও মিটিয়ে দিতে পারব না । আর এ ধরনের জবরদখল ও দখলদারিত্বের ঠিক পরপরই শুধু মাত্র গাযায় নয় বরং পশ্চিম তীরেও ফিলিস্তীনীদের বরাবরে স্বল্প তীব্রতা ও নিচু মাত্রার অবিরাম যুদ্ধ আমরা অবশ্যই প্রত্যক্ষ করব । আর এ ধরনের উদ্যোগ আরব দেশগুলো এবং সম্ভবত ইসরাইল আক্রমণ সংক্রান্ত তাদের ইচ্ছা ও অভিপ্রায়েরও বরাবরে উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে । আর এ ধরনের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সাংঘাতিক মারাত্মক রাজনৈতিক ও আন্তর্জাতিক তাৎপর্য নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা একেবারেই নিষ্প্রয়োজন।

আর গাযায় ৭ মাসাধিক কালের এ যুদ্ধেও ঠিক এ অবস্থাটাই ইসরাইলের হয়েছে !!! গাযায় ইসরাইলের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করে বেন নেতানিয়াহু সরকার মিথ্যা সান্ত্বনা দিচ্ছে নিজেকে এবং ইসরাইলীদেরকে । তাই ঐ গীত গাইয়ে ও গেয়ে ইসরাইলের শেষ রক্ষা আর হবে না।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .