হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হাইফার মেয়র এক বক্তৃতায় বলেছেন, আমি বলতে পারি না যে আমরা হিজবুল্লাহর সাথে যুদ্ধের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত, কারণ যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার অসহযোগিতা ও চরম মতবিরোধের কারণে তা ভেঙে দিতে হয়েছে। হাইফা থেকে সমস্ত সমরাস্ত্র তৈরির কারখানা অপসারণ করতে হবে, কারণ এগুলো হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তু।
তিনি যোগ করেন, দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধের পর থেকে আমি বারংবার বলেছি যে, আমাদের সতর্ক থাকা উচিত এবং হিজবুল্লাহকে সম্মান করা উচিত, কারণ হিজবুল্লাহ এমন একটি সেনাবাহিনী যা সর্বদা সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ ও আত্মোন্নয়নের মধ্যে থাকে, আর আমরা প্রতিদিন সামরিক পুলিশের ভূমিকা পালন করি এবং প্রশিক্ষণ নিই না।
হাইফার মেয়র তার বক্তৃতায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'ইসরায়েলি মন্ত্রিসভা আমাদের ভুলে গেছে এবং এই দুঃসময়ে পৌরসভা একাই সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
লেবাননের হিজবুল্লাহ হামলার ফলে এই ইহুদিবাদী বসতিতে যে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে সম্পর্কে বলতে গিয়ে অভ্যন্তরীণ এই বক্তৃতায় মেয়র কিরিয়াত শামাউনেহ বলেন, যুদ্ধের শুরু থেকে আমরা প্রায় হাজার বার হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছি এবং আমাদের ভবন, অবকাঠামো এবং রাস্তাগুলি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য যে গত মঙ্গলবার, লেবাননের হিজবুল্লাহর মিডিয়া অফিস 'হুদহুদ' ড্রোন থেকে প্রাপ্ত ছবিগুলি প্রকাশ করেছে, যেখানে জিরো পয়েন্ট থেকে ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, অস্ত্রের কারখানা ও গুদাম, আইরন ডোমের প্ল্যাটফর্ম, বন্দর এবং ফ্রিগেটগুলি সুস্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে। এতে স্পট যে অধিকৃত অঞ্চলের উত্তরের হাইফা লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধের পর্যবেক্ষণ ও সনাক্তকরণের আওতাধীন রয়েছে।
হিজবুল্লাহর প্রকাশিত ভিডিওটি ইহুদিবাদী শাসন কর্তৃপক্ষ এবং ইহুদিবাদী বসতি স্থাপনকারীদের বিশেষ করে হাইফার অধিবাসীদের তীব্র ধাক্কা দেয়, যার প্রভাব হাইফার মেয়রের বক্তব্যে স্পষ্ট।
এদিকে গতকাল, লেবাননের হিজবুল্লাহর আরো একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশের ফলে ইহুদিবাদীদের মধ্যে চরম উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
এ বিষয়ে লেবানন ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-মায়াদিন নেটওয়ার্ক ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর মিডিয়াকে উদ্ধৃত করে রিপোর্ট করেছে যে: হিজবুল্লাহর প্রকাশিত এই ভিডিওতে আপনারা হাইফা এবং অন্যান্য স্থানগুলি দেখতে পাচ্ছেন যেগুলো হিজবুল্লাহ তাদের নতুন লক্ষ্যবস্তুতে যুক্ত করেছে।
উল্লেখ্য যে, সম্প্রতি ইহুদিবাদী দখলদার সরকারের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু’র মন্ত্রীসভা লেবাননের বিরুদ্ধে যুদ্ধের প্রস্তুতির ঘোষণা দিয়েছে। এই ঘোষণার পরপরই হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন লেবাননের প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহপ্রধান। হাসান নাসরুল্লাহর হুঁশিয়ারির পর হিজবুল্লাহ দুটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। একদম নিকটবর্তী স্থান থেকে করা এই ভিডিওতে সুস্পষ্ট ভাবে দেখানো হয়েছে যে ইসরায়েলের স্পর্শকাতর সামরিক স্থানগুলো হিজবুল্লাহর নখদর্পন ও হামলার আওতাধীন রয়েছে। যার ফলে অবৈধ রাষ্ট্রের শাসক ও জনগণের মধ্যে ভয় ও আশংকা ছড়িয়ে পড়েছে।