রিপোর্ট: মুহাম্মদ আব্দুর রহমান
হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হিজাযের পবিত্র মক্কা ও মদীনা সমগ্র নিখিল বিশ্বের সবচেয়ে পবিত্রতম স্হান (আকদাসু আমাকিনিল আলম أقدس أماکن العالم) । পবিত্র মক্কা , পবিত্র মদীনা , পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস , পবিত্র নাজাফ , পবিত্র কারবালা , পবিত্র কাযেমাইন , পবিত্র সামাররা, পবিত্র কোম ও পবিত্র মাশহাদ - ই ইমাম রিযা ( আ) নিখিল বিশ্বের পবিত্রতম স্থান ও শহর সমূহের অন্তর্ভুক্ত। কারণ এ সব স্থান মহান আম্বিয়া , খাতামুন নাবীয়ীন ওয়াল মুরসালীন হযরত মুহাম্মদ (সা) এবং তাঁর পবিত্র আহলুল বাইতের (আ) মাসূম ইমামগণের ( আ ) সাথে সংশ্লিষ্ট ও সম্পৃক্ত। বেদ্বীন ইহুদী নাসারাদের পা ও মাং চাটা আল - ই সঊদ আল -ই ইয়াহূদ্ শাসকগোষ্ঠীর বদৌলতে হিজায ও আরব উপদ্বীপ যার নামকরণ করণ করা হয়েছে সৌদী আরব তা আজ পাপের স্বর্গরাজ্যে রূপান্তরিত করছে খবীস বদমাইশ আল - ই সঊদ শাসকগোষ্ঠী যাদের শীর্ষে রয়েছে হতচ্ছাড়া যালেম বদমাইশ এমবিএস । এখন সৌদীদের পোষ্য দরবারী আলেমরা সব চুপচাপ টু শব্দটি পর্যন্ত করছে না । কারণ তা করলে তাদের সব মাসোহারা , বেতন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা ভোগ ইত্যাদি সব কিছু তো বন্ধ হয়েই যাবে এবং সেই সাথে জেল ও মৃত্যু দণ্ড পর্যন্ত হতে পারে এদের অনেকের। তাই প্রাণের মায়ায় এই সব খবীস বদমাইশ উচ্ছিষ্ট ভোগী দরবারী আলেমরা (এদেরকে মোটা গোল আলু ও খোদার খাসী বলাই শ্রেয় ) যালেম সৌদী শাসকগোষ্ঠীর এত সব চরম ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের সামনে চুপচাপ ও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে ।
এ বছর ( ২০২৪ সালের হজ্জে) ওয়াহহাবী সালাফী সৌদী শাসকদের অব্যবস্থাপনার কারণে ১০০০ এর অধিক হাজী পবিত্র মক্কায় হজ্জব্রত পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ও শাহাদাত বরণ করেছেন। অথচ প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও সৌদী পন্থী সালাফী ওয়াহাবী তাকফীরী সন্ত্রাসবাদী সন্ত্রাসীদের হুমকি সত্ত্বেও ইরাকে আহলুল বাইতের (আ) অনুসারী শিয়া ইমামী ইসনা আশারী জাফারী মুসলমানদের তত্ত্বাবধানে ও ব্যবস্থাপনায় ২৩-২৪ মিলিয়ন যায়েরের ( যিয়ারত কারী) অংশগ্রহণে প্রতিবছর কারবালায় ২০ সফর সাইয়েদুশ শুহাদা বেহেশতী যুবকদের নেতা মহান রাসূলুল্লাহর ( সা ) দৌহিত্র ইমাম আলী ( আ ) ও বেহেশতী নারীদের নেত্রী হযরত ফাতিমার ( আ ) সন্তান হযরত আবূ আব্দিল্লাহ ইমাম হুসাইনের (আ) আরবাঈন ( শাহাদাতের চল্লিশ তম দিবস বা চেহলাম) পালিত হচ্ছে এবং এ ধরনের দু:খজনক ও বিপর্যয়কর দুর্ঘটনা ঘটছে না । তবে কিছু কিছু যায়েরের বার্ধক্য ও অসুস্থতার কারণে মৃত্যু নিতান্ত স্বাভাবিক যা হজ্জেও কিছু কিছু হাজী স্বাভাবিক বার্ধক্য ও অসুস্থতার কারণে মৃত্যু বরণ করেন যা দুর্ঘটনা নয় । ইরাকে যদি ২৩-২৪ মিলিয়ন যায়েরের অংশগ্রহণে এবং সন্ত্রাসী সালাফী ওয়াহাবী তাকফীরীদের হুমকির মুখে আরবাঈনের সময় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তা হবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং এরপরও এ ধরনের ঘটনা ২০১৭ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ঘটে নি । অথচ সৌদী ব্যবস্থাপনাধীন পবিত্র মক্কায় হজ্জ ব্রত পালন কালে মাত্র তিন - চার মিলিয়ন হাজীদের ক্ষেত্রে এ ধরনের দুর্ঘটনা কয়েক বছর পরপর ঘটছে যা সৌদী ওয়াহহাবী সালাফী শাসকগোষ্ঠীর চরম অব্যবস্থাপনারই স্বাক্ষর। আর এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় আহলুল বাইত পন্থী ও আহলুল বাইতে অনুসারী মুসলিমদের ও অন্যান্য মাযহাবের অনুসারী মুসলমানদের মধ্যকার মানবীয় ও ইসলামী গুণ ও মানগত পার্থক্য ও যোগ্যতা এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য কারা সবচেয়ে বেশি নিবেদিত । গাযা - ইসরাইল যুদ্ধও এ সত্য আরো নগ্ন ও স্পষ্ট ভাবে প্রকাশ করে দিয়েছে।