۱۰ تیر ۱۴۰۳ |۲۳ ذیحجهٔ ۱۴۴۵ | Jun 30, 2024
সৌদী শাসকদের অব্যবস্থাপনার কারণে ১০০০ এর অধিক হাজী পবিত্র মক্কায় হজ্জব্রত পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।
সৌদী শাসকদের অব্যবস্থাপনার কারণে ১০০০ এর অধিক হাজী পবিত্র মক্কায় হজ্জব্রত পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

হাওজা / ওয়াহহাবী সালাফী সৌদী শাসকদের অব্যবস্থাপনার কারণে ১০০০ এর অধিক হাজী পবিত্র মক্কায় হজ্জব্রত পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।

রিপোর্ট: মুহাম্মদ আব্দুর রহমান

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, হিজাযের পবিত্র মক্কা ও মদীনা সমগ্র নিখিল বিশ্বের সবচেয়ে পবিত্রতম স্হান (আকদাসু আমাকিনিল আলম أقدس أماکن العالم) । পবিত্র মক্কা , পবিত্র মদীনা , পবিত্র বাইতুল মুকাদ্দাস , পবিত্র নাজাফ , পবিত্র কারবালা , পবিত্র কাযেমাইন , পবিত্র সামাররা, পবিত্র কোম ও পবিত্র মাশহাদ - ই ইমাম রিযা ( আ) নিখিল বিশ্বের পবিত্রতম স্থান ও শহর সমূহের অন্তর্ভুক্ত। কারণ এ সব স্থান মহান আম্বিয়া , খাতামুন নাবীয়ীন ওয়াল মুরসালীন হযরত মুহাম্মদ (সা) এবং তাঁর পবিত্র আহলুল বাইতের (আ) মাসূম ইমামগণের ( আ ) সাথে সংশ্লিষ্ট ও সম্পৃক্ত। বেদ্বীন ইহুদী নাসারাদের পা ও মাং চাটা আল - ই সঊদ আল -ই ইয়াহূদ্ শাসকগোষ্ঠীর বদৌলতে হিজায ও আরব উপদ্বীপ যার নামকরণ করণ করা হয়েছে সৌদী আরব তা আজ পাপের স্বর্গরাজ্যে রূপান্তরিত করছে খবীস বদমাইশ আল - ই সঊদ শাসকগোষ্ঠী যাদের শীর্ষে রয়েছে হতচ্ছাড়া যালেম বদমাইশ এমবিএস । এখন সৌদীদের পোষ্য দরবারী আলেমরা সব চুপচাপ টু শব্দটি পর্যন্ত করছে না । কারণ তা করলে তাদের সব মাসোহারা , বেতন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা ভোগ ইত্যাদি সব কিছু তো বন্ধ হয়েই যাবে এবং সেই সাথে জেল ও মৃত্যু দণ্ড পর্যন্ত হতে পারে এদের অনেকের। তাই প্রাণের মায়ায় এই সব খবীস বদমাইশ উচ্ছিষ্ট ভোগী দরবারী আলেমরা (এদেরকে মোটা গোল আলু ও খোদার খাসী বলাই শ্রেয় ) যালেম সৌদী শাসকগোষ্ঠীর এত সব চরম ইসলাম বিরোধী কার্যকলাপের সামনে চুপচাপ ও নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে ।

এ বছর ( ২০২৪ সালের হজ্জে) ওয়াহহাবী সালাফী সৌদী শাসকদের অব্যবস্থাপনার কারণে ১০০০ এর অধিক হাজী পবিত্র মক্কায় হজ্জব্রত পালন করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ও শাহাদাত বরণ করেছেন। অথচ প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও সৌদী পন্থী সালাফী ওয়াহাবী তাকফীরী সন্ত্রাসবাদী সন্ত্রাসীদের হুমকি সত্ত্বেও ইরাকে আহলুল বাইতের (আ) অনুসারী শিয়া ইমামী ইসনা আশারী জাফারী মুসলমানদের তত্ত্বাবধানে ও ব্যবস্থাপনায় ২৩-২৪ মিলিয়ন যায়েরের ( যিয়ারত কারী) অংশগ্রহণে প্রতিবছর কারবালায় ২০ সফর সাইয়েদুশ শুহাদা বেহেশতী যুবকদের নেতা মহান রাসূলুল্লাহর ( সা ) দৌহিত্র ইমাম আলী ( আ ) ও বেহেশতী নারীদের নেত্রী হযরত ফাতিমার ( আ ) সন্তান হযরত আবূ আব্দিল্লাহ ইমাম হুসাইনের (আ) আরবাঈন ( শাহাদাতের চল্লিশ তম দিবস বা চেহলাম) পালিত হচ্ছে এবং এ ধরনের দু:খজনক ও বিপর্যয়কর দুর্ঘটনা ঘটছে না । তবে কিছু কিছু যায়েরের বার্ধক্য ও অসুস্থতার কারণে মৃত্যু নিতান্ত স্বাভাবিক যা হজ্জেও কিছু কিছু হাজী স্বাভাবিক বার্ধক্য ও অসুস্থতার কারণে মৃত্যু বরণ করেন যা দুর্ঘটনা নয় । ইরাকে যদি ২৩-২৪ মিলিয়ন যায়েরের অংশগ্রহণে এবং সন্ত্রাসী সালাফী ওয়াহাবী তাকফীরীদের হুমকির মুখে আরবাঈনের সময় কোনো দুর্ঘটনা ঘটে তাহলে তা হবে অত্যন্ত স্বাভাবিক এবং এরপরও এ ধরনের ঘটনা ২০১৭ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ঘটে নি । অথচ সৌদী ব্যবস্থাপনাধীন পবিত্র মক্কায় হজ্জ ব্রত পালন কালে মাত্র তিন - চার মিলিয়ন হাজীদের ক্ষেত্রে এ ধরনের দুর্ঘটনা কয়েক বছর পরপর ঘটছে যা সৌদী ওয়াহহাবী সালাফী শাসকগোষ্ঠীর চরম অব্যবস্থাপনারই স্বাক্ষর। আর এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে যায় আহলুল বাইত পন্থী ও আহলুল বাইতে অনুসারী মুসলিমদের ও অন্যান্য মাযহাবের অনুসারী মুসলমানদের মধ্যকার মানবীয় ও ইসলামী গুণ ও মানগত পার্থক্য ও যোগ্যতা এবং মুসলিম উম্মাহর জন্য কারা সবচেয়ে বেশি নিবেদিত । গাযা - ইসরাইল যুদ্ধও এ সত্য আরো নগ্ন ও স্পষ্ট ভাবে প্রকাশ করে দিয়েছে।

تبصرہ ارسال

You are replying to: .