হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, তিন হজ এজেন্সির বিরুদ্ধে নেশাজাতীয় দ্রব্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে। গত ১২ জুন হজযাত্রীদের শেষ ফ্লাইটের দিনে এ ঘটনা ঘটেছে। এমন অভিযোগে ওই দিনেই বিমানবন্দর থানায় জিডি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিষয়টি দেশ রূপান্তরকে নিশ্চিত করেছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. সাইফুল ইসলাম।
তিনি আরও বলেন, ‘খেদমা, আত তাবলিক এবং জিলহজ ট্রাভেল এজেন্সি এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। নেশা জাতীয় দ্রব্য মধ্যে রয়েছে সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুল ও পান। এগুলো খাওয়া বাংলাদেশে স্বাভাবিক ঘটনা হলও সৌদি সরকার বিষয়টি গুরুত্বর অভিযোগ হিসেবে বিবেচনা করেন।’
এ বিষয়ে জিলহজ্জ ট্র্রাভেলস এজেন্সি, খেদমা হজ এজেন্সির সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এদিকে হজে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে ১৮টি ট্রাভেল এজেন্সির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে সৌদি সরকার। উন্নত হজ ব্যবস্থাপনায় একসঙ্গে কাজ করার কথা জানিয়েছে সৌদি আরব ও বাংলাদেশ। মক্কায় হজ এজেন্সিজ অ্যাসোসিয়েশনের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে সৌদি হজ ও ওমরা উপমন্ত্রী ডক্টর আল হাসান আল মানখড়া মিনা-মুজদালিফা-আরাফায় অব্যবস্থাপনায় জড়িত সৌদি মোয়াল্লেমদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন।
হজ প্রশাসনিক দলের প্রধান মাতিউল ইসলাম বলেন, বারাকাত ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস এজেন্সিসহ ১৮টি বেসরকারি ট্রাভেল এজেন্সির বিভিন্ন অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে হজ করতে যান। এদের মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চার হাজার ৫৬২ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮০ হাজার ৬৯৫ জন। বাংলাদেশ থেকে ২১৮টি ফ্লাইটে সৌদি আরব গিয়েছিলেন তারা।